দিনাজপুরে চলছে লিচুর ভরা মৌসুম। এই সময় বাগানে ঝরে পড়া লিচু কুড়িয়ে বিক্রির পসরা নিয়ে বসেছে স্থানীয় শিশুরা। সকালবেলা বাগান থেকে লিচু কুড়িয়ে বিকেলবেলা রাস্তার পাশে বাটিতে সাজিয়ে বিক্রি করে তারা। পাশে থাকে দাদি, মা কিংবা বোনের সহায়তা।
ঐতিহাসিক রামসাগর যাওয়ার সড়কের মাসিমপুর, কসবা, ঘুঘুডাঙ্গা, চিরিরবন্দর, বিরল, বীরগঞ্জ ও কাহারোল এলাকার সড়কের ধারে এমন দৃশ্য প্রতিদিনই দেখা যায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশুদের উপস্থিতি এবার আরও বেশি।
প্রতি বাটি লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ১০০ টাকায়। এই বিক্রির অর্থ দিয়ে কেউ কিনতে চায় ঘড়ি, কেউ নতুন পোশাক, কেউবা স্বপ্ন দেখে একটি সাইকেল কেনার। কেউ আবার ঈদের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।
তামিম ইসলাম শুভ জানায়, দাদাবাড়ি মাসিমপুরে এসে দাদির সহযোগিতায় সে লিচু কুড়িয়ে বিক্রি করছে। স্বপ্ন দেখছে নিজের একটি সাইকেলের। সেলিম নামের আরেক শিশু ৫০ টাকা দামে লিচু বিক্রি করছে, যাতে সে পছন্দের জামাকাপড় কিনতে পারে। মাসিমপুরের আকাশ এখন পর্যন্ত লিচু বিক্রি করে জমিয়েছে ৩৫০০ টাকা।
কসবার আসাদুজ্জামান লিটন বলেন, ‘এটা প্রতিবছরের চিত্র। শিশুরা আনন্দ নিয়েই ঝরা লিচু কুড়িয়ে বিক্রি করে।’
কমলপুরের আব্দুর রহমান জানান, ‘ঝরা লিচু হলেও এগুলো বেশ ভালো মানের, দামও কম। বাজারে যেখানে ২০০০ টাকায় একশো চায়না থ্রি বিক্রি হচ্ছে, সেখানে এখানে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়।’
শিশুদের এমন উদ্যোগ শুধু অর্থনৈতিক নয়, বরং তাদের স্বপ্ন দেখা, পরিশ্রম শেখা ও বাস্তব জীবনের সঙ্গে সংযোগ তৈরির একটি অনন্য উদাহরণ।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ