ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘পরাজিত শক্তি অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশপ্রেমিক জনগণকে যে কোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পাঁয়তারা রুখে দিতে হবে। সব নাগরিককে স্ব-স্ব জায়গায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায়ে ভূমিকা রাখতে হবে।’ এ জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি ও উপাসনালয়গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি উপাসনালয়ে সিসি ক্যামেরা প্রতিস্থাপন করার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল পুরানা পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইনুছ আহমাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান প্রমুখ। মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘পরাজিত শক্তি সংখ্যালঘুদের ঢাল বানিয়ে দেশকে নতুন করে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিতে চক্রান্ত করছে। আওয়ামী লীগের হাতিয়ার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এরাই সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা করে বিরোধী মতকে দমন করেছে অতীতে। অনেককে গ্রেপ্তার করার পর জানা যায় তারা আওয়ামী লীগের কর্মী, অনেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক।’ তিনি বলেন, ‘এবার বিশ্বে নজির স্থাপন করেছে ইসলামপন্থি সংগঠন ও কওমি মাদরাসার ছাত্রসহ অন্যান্য ছাত্ররা। বিশেষ করে গণহত্যাকারী সরকারের দেশ থেকে পলায়নের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ওই সময় ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী যুব আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা পুরো দেশে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থানা, উপজেলা, সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়, বাড়িঘর পাহারা দেন। সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন, রাস্তাঘাট পরিষ্কারকরণ, চোর-ডাকাত রোধে রাত জেগে পাহারা দেওয়া প্রদানসহ দেশের সর্বক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে দেশ-বিদেশের প্রশংসিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোতে সচিত্র সংবাদ পরিবেশন করেছে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ও ইসলামপন্থিদের প্রশংসা করে ভারতের জয়শঙ্কর মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়েছেন। এর পরও এ দেশের কিছু দালাল দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে সংখ্যালঘুদের দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপরিণামদর্শী খেলায় মেতে উঠেছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশের আইন, বিচার, সংসদ, প্রশাসন, অর্থ, শিক্ষা, শিল্প ও দেশ পরিচালনার প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা সাম্য ও ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ চাই।