বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলন চলাকালে গুলিতে শহীদ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আবু সাঈদের বাড়িতে গেলেন ১৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। গতকাল ঢাকার দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জের মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়া বাবনপুর গ্রামে আবু সাঈদের বাড়িতে গিয়ে তারা কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন। এ সময় তারা আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, ভাই আবু হোসেন মাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান এবং সমবেদনা জানান।
এ সময় আবু সাঈদের বাবা বলেন, আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পরে প্রশাসন তড়িঘড়ি করে রাতেই লাশ দাফন করতে চেয়েছিলেন। প্রথমে তারা রাত ১২টায় লাশ দাফনের কথা বলেন। পরে ভোর ৬টায় লাশ দাফন করতে চেয়েছিলেন। পরিবারের লোকজন বাধা দেওয়ায় সকাল ৮টায় লাশ দাফন করা হয়। আবু সাঈদের বাবা ছেলে হত্যায় জড়িতদের ফাঁসি দাবি করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বৈরাচাররা আবু সাঈদের লাশটা ঠিকমতো দাফন করতে দেননি। এর চেয়ে বড় অবিচার আর কী হতে পারে। এ সময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের হৃদয়, স্বজন, সামি, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তুল্লাহ বেহেস্তি, তানিম, আতিক, গ্রিন ইউনিভার্সিটির মারুফ তাহসিন, ইমরান, নর্দান ইউনিভার্সিটির তৌহিদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাকিন, সিফাত, ফারাবি, ফরিদ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসেফিকের লাবিব, বর্ণ প্রমুখ। পরে তারা রংপুর মেডিকেলে আহতদের দেখতে যান।