নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদারের কাছে নির্বাচন সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি প্রস্তাবনা দিয়েছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদ।
বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আহ্বায়ক শেখ আব্দুন নুরের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের প্রতিনিধি দল এসব প্রস্তাবনা দেন।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের নির্বাচন সংস্কার প্রস্তাবনাগুলো হলো
সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আনুপাতিক গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ৩০০ আসনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে হবে (ইউপি মেম্বার, চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, কাউন্সিলর ও জাতীয় সংসদ সদস্য দ্বারা নির্বাচিত হবে)। স্থানীয় সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা নির্দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে অধিক স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে মোট ভোটারের ১% স্বাক্ষর বিধান বাতিল করতে হবে।
জাতীয় সংসদে মহিলা কোটার আসনসমূহ স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দ্বারা নির্বাচিত হতে হবে, আসন সংখ্যা সরাসরি নির্বাচিত হবে মহিলা ৩৫ জন এবং পেশাজীবী হবে ১৫ জন। জাতীয় নির্বাচনে ‘না’ ভোটের বিধান রাখতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবলকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার সরকারদলীয় এবং ডেপুটি স্পিকার বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। যে কোনো আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটের পরিবর্তে এসএমএসের মাধ্যমে ভোটাভুটির বিধান রাখতে হবে।
যেকোনো দলের সংসদ সদস্য তার মতামত স্বাধীনভাবে ব্যক্ত করতে পারবে এবং ভোটাভুটির ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে ভোট প্রদান করতে পারবে, তবে সে ক্ষেত্রে তার দলীয় সদস্যপদ বাতিলের বিধান রহিতকরণ করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি সহজীকরণ করতে হবে, সে ক্ষেত্রে যে কোনো দল একটি জেলার কার্যক্রমের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই