রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে তুরস্কের জোরালো ভূমিকা চায় বাংলাদেশ। ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত দেভরিম ওজতুর্ক মঙ্গলবার সংসদ ভবনে স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার নবদ্বার উন্মোচন করেছেন। তখন বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় তুরস্কও রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। এখন সময় এসেছে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে জোরালো ভূমিকা রাখার।
এসময় তুরস্কের ফার্স্ট লেডির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করায় তুরস্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন, সংসদীয় কার্যক্রম, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার নিয়ে আলোচনা হয়।
এসময় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের ইতিবাচক পরিবেশ রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে তুরস্কের ব্যবসায়ী সমাজকে বাংলাদেশে ওষুধ, তৈরি পোষাক ও আইসিটি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
জবাবে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত দেভরিম ওজতুর্ক বলেন, ওষুধ শিল্পে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের সাফল্য অনুকরণীয়। শিগগিরই তুরস্ক হতে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশ দেখতে বাংলাদেশ সফর করবেন। এসময় তিনি বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে ভূমিকা রাখবেন বলে স্পিকারকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের সাথে তুরস্কের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ব্যবসা বাণিজ্যের সামঞ্জস্য রয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন করতে তুরস্ক খুবই আন্তরিক। তুরস্ক বিশ্বাস করে দু’দেশের সংসদ সদস্যগণ পারস্পরিক মতবিনিময় ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন।
স্পিকার বলেন, দ্রুততম সময়ে সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম