পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের একটি সূত্র এ কথা জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বিএসইসি চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা পায়নি বলে জানায় গোয়েন্দা ইউনিট। অভিযোগকারীদের তথ্য ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি কমিশনে উপস্থাপন করা হয়েছে। অভিযোগকারীর কোনো অস্তিত্ব নেই। অভিযোগকারী ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট অভিযোগের আলোকে দুদকের পক্ষ থেকে বিএসইসির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন গোষ্ঠীর যোগসাজশে দুর্বল কম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও অনুমোদনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করে দিয়ে অর্থ আত্মসাত্ ও পাচার করা হয়েছে।
দুদকের পরিচালক (মানি লন্ডারিং) গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তাঁকে ‘অতিদ্রুত গোপনীয়ভাবে’ অনুসন্ধান শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল