শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৭ আপডেট:

আলো ছড়ানো তারকারা

Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
আলো ছড়ানো তারকারা

একের ভিতরে দুই। ক্রীড়াঙ্গনে দুই খেলা খেলেছেন এমন খেলোয়াড়ের সংখ্যা একেবারে কম নয়। ইব্রাহিম সাবের ক্রিকেট, বাস্কেটবল এমনকি ফুটবলও খেলেছেন। নওশের ফুটবল ও ক্রিকেট, কাওসার আলী ফুটবল ও হকি, এহতেশামও একই সঙ্গে ফুটবল ও হকির গোলরক্ষক ছিলেন। কিন্তু একাধিক খেলায় সেভাবে তারা মাঠ কাঁপাতে পারেননি। বশির আহমেদ, আবদুস সাদেক, কাজী সালাউদ্দিন, প্রতাপ শংকর হাজরা, হাফিজউদ্দিন আহমদ, শহিদুর রহমান শান্টু ও রামা লুসাই ছিলেন ব্যতিক্রম। এরা দুই খেলাতেই আলো ছড়িয়েছেন। কেউ আবার একসঙ্গে জাতীয় বা ক্লাবকেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৬০ থেকে ৮০ দশক পর্যন্ত তাদের দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। এরা কেউ ফুটবল, ক্রিকেট, হকি বা অ্যাথলেটিকসেও নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ রাখেন। সেই তারকাদের ক্যারিয়ার নিয়েই এ আয়োজন।

 

ফুটবলে আবাহনীর প্রথম অধিনায়ক

ক্রীড়াঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র আবদুস সাদেক। হকি খেলেই তিনি দেশব্যাপী পরিচিত হন। বাংলাদেশের হকির ইতিহাস লিখতে গেলে তারই নাম উচ্চারিত হবে সবার আগে। পূর্ব পাকিস্তানের অধিনায়ক ছাড়াও দ্বিতীয় বাঙালি খেলোয়াড় হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় হকি দলে সুযোগ পান সাদেক। ওই সময় বিশ্বজুড়ে হকিতে ছিল পাকিস্তানের দাপট। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দাপটের সঙ্গে খেলে যান তিনি। ক্রীড়ামোদীরা মূলত সাদেককে হকির লোক বলেই জানেন। ১৯৭২ সালে তারই প্রচেষ্টায় ঢাকা প্রথম বিভাগ হকি লিগে ঢাকা আবাহনীর অভিষেক ঘটে। ছিলেন আবাহনী দলের প্রথম অধিনায়ক। বেশ কয়েকবার শিরোপাও এনে দেন। সাদেকের বিচরণ শুধু হকিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, ফুটবলও খেলেছেন দাপটের সঙ্গে। আজকের দেশের জনপ্রিয় দল আবাহনীর ফুটবলে অভিষেক ঘটে ১৯৭২ সালে। ফুটবলে প্রথম নেতৃত্ব দেন সাদেকই। বাংলাদেশের খেলাধুলার ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি কোনো নতুন দলের দুই খেলায় প্রথম অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। স্কুল ও কলেজ জীবনে অ্যাথলেটিকসেও অংশ নেন। অনেক পুরস্কারও জেতেন। কিন্তু খেলা হিসেবে হকি ও ফুটবলকে বেছে নেন সাদেক।

স্কুল জীবনেই হকির ক্যারিয়ার শুরু তার। নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ১৯৬১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান জুনিয়র দল লাহোর সফর করে। সেই সফরে সাদেকের পারফরম্যান্স সবার নজরে পড়ে। ১৯৬১ সালে ঐতিহ্যবাহী আজাদ স্পোর্টিংয়ের হয়ে হকি লিগ শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে আরমানিটোলার পাড়ার দল কম্বাইন্ড স্পোর্টিংয়ে যোগ দেন। ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত সাদেক এখানেই ছিলেন। তার নেতৃত্বে কম্বাইন্ড বেশ কয়েকবার শিরোপা জেতে। ১৯৭০ সালে সাদেক ইস্পাহানি ক্লাবে নাম লেখান। ১৯৭২ সালে আবাহনী। এরপর আর দল ছাড়েননি। অধিনায়ক ও প্রশিক্ষক হিসেবে আবাহনী লিগ ছাড়াও বিভিন্ন টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৬৩ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান দলে সুযোগ পান। ১৯৬৮ সালে অধিনায়কও ছিলেন। ১৯৬৯ সালে সাদেক সুযোগ পান পাকিস্তান দলে। ওই সময় কোনো বাঙালি খেলোয়াড় পাকিস্তান দলে সুযোগ পাবে তা কল্পনাও করা যেত না। কিন্তু যোগ্যতা দেখিয়ে সাদেক সুযোগ পেয়ে যান। ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে পাকিস্তান দল ৪৫ দিনের সফরে আফ্রিকা ও ইউরোপের বেশকটি দেশে ম্যাচ খেলে। সাদেক সেখানে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। হকিতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেন বেশ কয়েক বছর। কোচও ছিলেন। ১৯৮২ থেকে ৮৫ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ৮৫ সালে ঢাকায় এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানেও তিনি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। আসা যাক ফুটবলে। ১৯৭২ সালে নবাগত আবাহনী প্রথম ম্যাচ খেলে বিজেআইসির বিপক্ষে। সাদেকের নেতৃত্বেই ফুটবলে অভিষেক হয় এই দলের। রক্ষণভাগে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বেশ কয়েক বছর খেলে যান। ১৯৭৭ সালে তারই প্রশিক্ষণে ফুটবলে আবাহনী প্রথম অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়।

 

ক্রিকেটে অনবদ্য ৯৪ রান

বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে কাজী সালাউদ্দিনের নামটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রথম সুপারস্টার তিনি। ১০ নম্বর জার্সিধারী সালাউদ্দিনের পায়ে যেন জাদু ছিল। কত গোল যে করেছেন তার হিসাব মেলানো মুশকিল। ফুটবলার সালাউদ্দিন ক্রিকেট খেলে যে মাঠ কাঁপিয়েছেন অনেকের হয়তো জানা নেই। আজাদ বয়েজ এক সময়ে ক্রিকেটে খ্যাতনামা দল ছিল। ক্রীড়াঙ্গনে আজাদ বয়েজ এলিট ক্লাব বলেই পরিচিত ছিল। খেলতেন শামীম কবির, আশরাফুল, হীরা, তান্না, তানভীর, রকিবুল হাসান, ইউসুফ বাবুদের মতো তারকা। সালাউদ্দিন ছিলেন এই দলের নিয়মিত খেলোয়াড়। ১৯৭২ সালে স্বাধীনতা কাপে এই দল চ্যাম্পিয়ন হয় মোহামেডানকে হারিয়ে। সালাউদ্দিন অপরাজিত ৭০ রান করে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। লিগে তার একাধিক হাফ সেঞ্চুরিও ছিল। বিশেষ করে আবাহনীর বিপক্ষে ৯৪ রানের স্মৃতি এখনো ক্রীড়াপ্রেমীরা ভুলতে পারেননি। তারই ব্যাটিং ক্যারিশমায় সেবার আবাহনী লিগ শিরোপা থেকে ছিটকে যায়। জাতীয় দলে ট্রায়ালে বেশ কয়েকবার ডাকও পান। কিন্তু ফুটবলে ব্যস্ততার কারণে যোগ দিতে পারেননি। ঢাকা লিগে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু হয় টাউন ক্লাব থেকে। আর শেষ করেন লালমাটিয়া ক্লাবের হয়ে। ফুটবলে সালাউদ্দিনের যাত্রা হয় ঐতিহ্যবাহী ওয়ারী ক্লাব থেকে। দুই মৌসুম এখানে খেলেন। ১৯৬৯ সালে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে অনবদ্য হ্যাটট্রিক করেন। যা তার ক্যারিয়ারে প্রথম হ্যাটট্রিক। ১৯৭০ সালে সালাউদ্দিন যোগ দেন ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানে। তখন ঢাকা লিগে মাকরানিদের দাপট। কিন্তু তরুণ বয়সে সালাউদ্দিনের নৈপুণ্য দেখে দর্শক মুগ্ধ হয়ে যান। ১৯৭১ সালে মোহামেডানে থাকা অবস্থায় তিনি স্বাধীন বাংলা দলে খেলতে যান। ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পর স্বাধীনতা কাপ দিয়েই দেশের ফুটবলে যাত্রা। সেই টুর্নামেন্টে মোহামেডানের হয়ে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেন। সেমিফাইনালে বিজেআইসির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক আর ফাইনালে ইস্টঅ্যান্ডের বিপক্ষে তার দুই গোলে মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন হয়। অর্থাৎ ফুটবলে বাংলাদেশের প্রথম হ্যাটট্রিক সালাউদ্দিনের। ১৯৭২ সালে ঢাকায় প্রীতি ম্যাচে তারই গোলে ঢাকা একাদশ পরাজিত করে বিখ্যাত মোহনবাগানকে। ১৯৭২ সালে বন্ধু শেখ কামালের ডাকে আবাহনীতে যোগ দেন। এক যুগ খেলে এই ক্লাব থেকে খেলোয়াড়ি জীবনে ইতি টানেন সালাউদ্দিন। সালাউদ্দিন সুপারস্টারের খেতাবটা পান আবাহনী থেকেই। চারবার সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। অসংখ্য হ্যাটট্রিক ছাড়া দিলকুশার বিপক্ষে ডাবল হ্যাটট্রিকও আছে তার। ১৯৭৫ সালে আবাহনীর অধিনায়ক ছিলেন তিনি। সালাউদ্দিনই প্রথম ফুটবলার যিনি দেশের বাইরে পেশাদারিত্ব লিগ খেলেন। ১৯৭৫ সালে তিনি জাতীয় দলের অধিনায়কও হন। ১৯৮৪ সালে অবসর নেওয়ার পর আবাহনীর কোচের দায়িত্ব নেন সালাউদ্দিন। এনে দেন ফেডারেশন কাপ ও লিগ শিরোপা। জাতীয় দলেরও প্রশিক্ষক ছিলেন।

 

চোখ ধাঁধানো কর্নার শট

প্রতাপ শংকর হাজরার নাম যখনি ওঠে, চোখের সামনে ভেসে উঠে ফুটবল লিগে কর্নারের দৃশ্য। অসাধারণ কর্নার শট নিতেন। দর্শকরা বলতেন প্রতাপের কর্নার পেনাল্টি শটের চেয়েও ভয়ঙ্কর। ১৯৭২ সালে মোহামেডানে পক্ষে কর্নারে টানা তিন গোল করে আজাদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকও করেন প্রতাপ। সে বছর মাঝপথে লিগ বন্ধ হয়ে যায়। তাই রেকর্ডবুকে এই বিরল কৃতিত্ব ঠাঁই পায়নি। ফুটবলার প্রতাপ হকিতে ছিলেন সমান পারদর্শী। ক্রিকেটও খেলেছেন। কিন্তু তারকার খ্যাতি পেয়েছেন ফুটবল ও হকি খেলেই। শুরুটা অবশ্য হকি দিয়ে।

১৯৫৭ সালে অষ্টম শ্রেণি পড়া অবস্থায় প্রতাপ হকি লিগ শুরু করেন ঐতিহ্যবাহী ওয়ারী ক্লাব থেকে। এরপর পুরান ঢাকার কম্বাইন্ড, আবাহনী ও মোহামেডানে খেলেন। কম্বাইন্ড, আবাহনী ও মোহামেডান থেকে একাধিকবার লিগ জেতেন। পাকিস্তান জাতীয় দলের ট্রায়ালে ডাক পেলেও খেলার সুযোগ হয়নি। তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলেছেন। খেলা ছাড়লেও মোহামেডান ও জাতীয় দলের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। হকি ফেডারেশনে বিভিন্ন পদের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬১ সালে ঢাকা প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগে প্রতাপের অভিষেক হয় ভিক্টোরিয়া থেকে। দুই মৌসুম খেলেন। ৬১ সালে রানার্সআপ ৬২ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় ভিক্টোরিয়া। ১৯৬৩ সালে যোগ দেন ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানে। ফুটবলে তারকার খ্যাতিটা পান সাদা-কালো থেকে। প্রতাপ নিজেও বলেন, মোহামেডান আমাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই ক্লাবের ঋণ কখনো শোধ করার মতো না। অধিনায়ক হননি, কিন্তু টানা সাত বছর সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন প্রতাপ। ফুটবলে অসংখ্য ট্রফি জিতেছেন মোহামেডান থেকেই। নিজে গোল করার চেয়ে সতীর্থদের গোল করানোর জুড়ি ছিল না তার। এক আউটে প্রতাপ আরেক আউটে টিপু। প্রতিপক্ষদের কাটিয়ে যেভাবে ডিবক্সে বল ফেলতেন তা এখনকার ফুটবলারের কাছে স্বপ্নই মনে হবে। প্রতাপের কর্নার মানেই ছিল গোল। শট নেওয়ার আগেই সমর্থকরা উৎসবে মেতে উঠতেন।

পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলেছেন প্রতাপ। ১৯৬৪ সালে যুবদলের হয়ে রাশিয়া সফর করেন। ৬৫ সালে মূল দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা ও পরবর্তীতে ইরানে আরসিডি কাপ খেলেন। বিদেশে খেলারও অফার পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেশের টানে যেতে পারেননি। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে ভারতে বিভিন্ন প্রদেশে প্রদর্শনী ম্যাচেও অংশ নেন প্রতাপ।

বাংলাদেশে অনেক ফুটবলার ও হকি খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে প্রতাপের প্রশিক্ষণে। বর্তমানে তিনি মোহামেডান ক্লাবের সঙ্গে জড়িত

 

পূর্ব পাকিস্তানের দ্রুততম মানব

হাফিজউদ্দিন আহমেদ দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। কিন্তু হাফিজের প্রথম পরিচয় কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবেই। মাঠ কাঁপানো ফুটবলার ছিলেন। সাদা-কালোর জার্সিতে তার দুর্দান্ত শট এখনো চোখে ভাসে। হাফিজ অ্যাথলেটিকসেও কিশোর বয়সে আলো ছড়িয়ে ছিলেন। শুনলে হয়তো অনেকে অবাক হবেন হাফিজ ছিলেন টানা তিন বছর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের দ্রুততম মানব। ছাত্র জীবনেই ১৯৬৪, ১৯৬৫ ও ১৯৬৬ সালে জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় ১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়ে সোনা জিতেছিলেন হাফিজ। পাকিস্তান অলিম্পিক ট্রায়ালেও ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত থাকায় যোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।১৯৬২ সালে ফায়ার সার্ভিস থেকেই হাফিজের ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু। ১৯৬৬ সালে ঐতিহ্যবাহী ওয়ান্ডারার্স। ১৯৬৭ সালে যোগ দেন ঐতিহ্যবাহী সাদা-কালোর দল ঢাকা মোহামেডানে। ১৯৭৮ সাল থেকে এই ক্লাব থেকে ক্যারিয়ারের ইতি টানেন। তারকার খ্যাতিটি পান মোহামেডান থেকেই। পাকিস্তান জাতীয় দলেও খেলেছেন বেশ কয়েক বছর। ১৯৭০ সালে আরসিডি কাপে ইরানের বিপক্ষে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন।

সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও ছিলেন। বাঙালি হয়েও পাকিস্তান দলে সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু বিস্ময় হলেও সত্যি যে, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলতে পারেননি। হাফিজ নিজেও বলেছেন এর পেছনে নানা ষড়যন্ত্র কাজ করেছে। তবে কেউ আমার খেলা বন্ধ রাখতে পারেনি। ভক্তদের ভালোবাসায় ঠিকই খেলে গেছি। হাফিজ সম্পর্কে শ্রীলঙ্কার বিখ্যাত গোলরক্ষক লাওন পিরিচ বলেছিলেন, ওর শট যেন বারুদের মতো। যা রুখে দেওয়া সত্যিই কষ্টকর। অনেক গোলরক্ষক হাফিজের শট ঠেকাতে আহত হয়েছেন। তাকে সামলাতে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ ভয়ে কাঁপত। কত গোল যে করেছেন তা হিসাব মেলানো যাবে না।

মোহামেডানে খেলে লিগ ও আগাখান গোল্ডকাপ জিতেছেন একাধিকবার। ১৯৭৬ সালে তিনি মোহামেডানের অধিনায়ক হন। নেতৃত্বের অভিষেকটা হয়েছিল দারুণভাবে। লিগের উদ্বোধনী ম্যাচেই শান্তিনগরের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন হাফিজ। তার নেতৃত্বে সেবার মোহামেডান লিগ জিতে। সেমিফাইনালে বিজেএমসির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক আর ফাইনালে তারই দেওয়া দুই গোলে আবাহনীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন। ফুটবলে বাংলাদেশ প্রথম ডাবল হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব তার। ১৯৭৩ সালে ফায়ার সার্ভিসের বিপক্ষে হাফিজ একাই ৬ গোল করেন। ফিফার বিশেষ পুরস্কার জেতেন বাংলাদেশের পক্ষে। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

 

একের ভিতরে দুই

 

হকিতে পাকিস্তান দলে প্রথম বাঙালি

ক্রীড়াবিদ বা সংগঠক। দুটি ভিন্ন বিষয় হলেও দুই ক্ষেত্রে বশির আহমেদের অবদান ভুলবার নয়। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিত মুখ। হকি ও ফুটবলে সমানে মাঠ কাঁপিয়েছেন। বশিরকে আসলে কোথায় মানায়? এ কথা বললে তার বন্ধুরা বলেন, ফুটবল ও হকিতে চোখ বন্ধ করে একশ মার্কস দেওয়া যায়। ইনজুরির কারণে বেশিদিন খেলা হয়নি তার। যত দিন খেলেছেন ভক্তদের মন জয় করে গেছেন। বয়স হয়ে গেছে তার। অনেক কিছুই মনে করতে পারছেন না। তবে একটুকু বললেন, আমরা যতটা উজাড় করে খেলতাম এখন তা চোখে পড়ে না। ১৯৫৭ সালে ভিক্টোরিয়ার হয়ে হকি খেলা শুরু করেন বশির। টানা কয়েক বছর কাটিয়ে ’৬৩ সালে যোগ দেন ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানে। স্বাধীনতার পর যার নাম হয় সোনালী ব্যাংক। সোনালী ব্যাংক থেকেই তিনি হকি ক্যারিয়ারে ইতি টানেন। প্রথম বাঙালি খেলোয়াড় হিসেবে বশির পাকিস্তান জাতীয় দলে খেলেন। ঢাকায় কেনিয়া ও হল্যান্ডের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলেন। ১৯৬৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান হকি দলের অধিনায়ক হন। ইনজুরির কারণে বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলা সম্ভব হয়নি তার। বশিরের ফুটবল ক্যারিয়ারও শুরু হয় ভিক্টোরিয়া থেকে। ৫৭-৬২ সাল পর্যন্ত খেলেন এখানে। জেতেন লিগ শিরোপা ও আগাখান গোল্ডকাপ।  ৬৩ থেকে ৬৬ পর্যন্ত মোহামেডানে দক্ষতার সঙ্গে খেলে যান। হকির কোচ ও আন্তর্জাতিক অ্যাম্পায়ারও ছিলেন। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

 

এক ওভারে তিন উইকেট

শহিদুর রহমান শান্টুকে চুম্বক বলেই ডাকা হতো। ফুটবলে তার মানের গোলরক্ষক দ্বিতীয়জন আসেনি। যতই কড়া শট নেওয়া হোক না কেন বল যেন তার হাতে চুম্বকের মতো আটকে যেত। ওয়ান্ডারার্স, মোহামেডান, ইস্টঅ্যান্ড, আজাদ অনেক দলে খেলেছেন তিনি। সত্যি বলতে কি ক্রীড়াঙ্গনে শান্টুর পরিচয় ছিল ফুটবলে খ্যাতিমান গোলরক্ষক হিসেবে। কিন্তু ক্রিকেটেও দর্শকদের নজর কেড়েছেন তিনি। ৭০ থেকে ৮০ দশক পর্যন্ত মোহামেডান ক্রিকেট দলের নিয়মিত খেলোয়াড় তিনি। মূলত মিডিয়াম পেসার বোলার। বাঁ হাতে বল করতেন। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের কাঁপুনি ধরিয়ে দিতেন। অসংখ্য উইকেট পেয়েছেন। সত্তর দশকে শহীদ স্মৃতি ক্রিকেটে ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে এক ওভারে ৩ উইকেট পেয়ে মাঠ কাঁপান। ফুটবলে তারকা খ্যাতি পান ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়ে। দর্শকরা বলতেন শান্টু যেখানে গোলরক্ষক সেখানে ডিফেন্ডারদের প্রয়োজন পড়ে না। ১৯৭৬ সালে লিগ সেমিফাইনালে বিজেএমসির অসংখ্য আক্রমণ রুখে দেন মোহামেডানের শান্টু। শান্টুকে সামনে দেখে পেনাল্টি শটেও অনেকে নার্ভাসে বল উড়িয়ে মারতেন। পাকিস্তান জাতীয় দলে সুযোগ পান। শুরু থেকেই বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলেছেন। ১৯৭৮ সালে তিনি জাতীয় দলের অধিনায়ক  ছিলেন। ২০০৪ সালে জাতীয় দলের প্রশিক্ষকও ছিলেন।

 

বিকালে হকি রাতে ফুটবল

বিকালে হকি রাতে ফুটবল। হ্যাঁ রামা লুসাইকে তাই বলা হতো। হকি ও ফুটবলে সমান পারদর্শী ছিলেন। দুই খেলাতেই জাতীয় দলে সুযোগ পান। তা ছাড়া রামা একই সঙ্গে ফুটবল ও হকিতে মোহামেডানের অধিনায়ক ছিলেন। তার নেতৃত্বে মোহামেডান যেমন ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়, তেমনি হকিতেও। এ রেকর্ড আর কারও নেই। এশিয়ান গেমস এলেই ৭০ বা ৮০ দশকে বাফুফে ও হকি ফেডারেশন বিপাকে পড়ে যেত। কোন জাতীয় দলে খেলবেন তিনি ফুটবল না হকিতে। তার মতো পরিশ্রমী খেলোয়াড় খুব কমই দেখা গেছে। ১৯৮০ সালে এমনও দেখা গেছে বিকালে হকি লিগ খেলে সন্ধ্যায় আবার ফুটবল খেলছেন রামা। এই উদাহরণ কি অন্য কারও ক্ষেত্রে দেখা গেছে? পুলিশে চাকরির সুবাদে দুই খেলাতেই রামার ক্যারিয়ার শুরু হয় পুলিশ থেকে। ১৯৭৬ সালে যোগ দেন ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানে। একইভাবে হকিতেও নাম লেখান সাদা কালোতে। ওই সময় মধ্য মাঠে রামা-ভানুর জুটি ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৯৭৮ সালে কিংস কাপে খেলতে যাবে জাতীয় ফুটবল দল। কিন্তু হকি ফেডারেশন তাকে ছাড়তে নারাজ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ফুটবলেরই জয় হয়েছিল। বর্তমানে রামা আসামে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

এই বিভাগের আরও খবর
ডাচ্ কোচ সিগ ফ্রাইভ ঢাকায়
ডাচ্ কোচ সিগ ফ্রাইভ ঢাকায়
গাভাস্কারের রেকর্ড ভাঙলেন গিল
গাভাস্কারের রেকর্ড ভাঙলেন গিল
আজকের প্রশ্ন
আজকের প্রশ্ন
ফলাফল
ফলাফল
টিভিতে
টিভিতে
টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস
শাহবাজ খেলেছেন মোহামেডানে
শাহবাজ খেলেছেন মোহামেডানে
সালাউদ্দিনের চুক্তির মেয়াদ বাড়ল
সালাউদ্দিনের চুক্তির মেয়াদ বাড়ল
লাওসে এবার চূড়ান্ত পর্বের স্বপ্ন আফঈদাদের
লাওসে এবার চূড়ান্ত পর্বের স্বপ্ন আফঈদাদের
ওভাল টেস্টে বৃষ্টি বাধা
ওভাল টেস্টে বৃষ্টি বাধা
লিগ কাপে মেসিদের শুভযাত্রা
লিগ কাপে মেসিদের শুভযাত্রা
প্রোটিয়াদের কাছে যুবাদের হার
প্রোটিয়াদের কাছে যুবাদের হার
সর্বশেষ খবর
সারাদেশে পুলিশের অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১২৬১
সারাদেশে পুলিশের অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১২৬১

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের পণ্যেও ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প
ইসরায়েলের পণ্যেও ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমারখালীর গ্রামে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক স্যান্ডার্ড রেটিং দাবা খেলা
কুমারখালীর গ্রামে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক স্যান্ডার্ড রেটিং দাবা খেলা

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির সৌজন্য সাক্ষাৎ
হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির সৌজন্য সাক্ষাৎ

৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলের সঙ্গে অস্ত্র বাণিজ্য নিষিদ্ধ করেছে স্লোভেনিয়া
ইসরায়েলের সঙ্গে অস্ত্র বাণিজ্য নিষিদ্ধ করেছে স্লোভেনিয়া

১৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় বিএস কোয়ার্টারগুলোতে
প্রতিদিন বসে মাদক ও জুয়াড়িদের আড্ডা
বগুড়ায় বিএস কোয়ার্টারগুলোতে প্রতিদিন বসে মাদক ও জুয়াড়িদের আড্ডা

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্যাটেলাইটে ধরা পড়ল পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা বজ্রপাত
স্যাটেলাইটে ধরা পড়ল পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা বজ্রপাত

১৫ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

ভারতীয় ফুটবলের নতুন কোচ খালিদ
ভারতীয় ফুটবলের নতুন কোচ খালিদ

১৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কলকাতায় ৮ দিনের রিমান্ডে বাংলাদেশি মডেল শান্তা
কলকাতায় ৮ দিনের রিমান্ডে বাংলাদেশি মডেল শান্তা

২১ মিনিট আগে | শোবিজ

ইমরান খানের দল পিটিআইর ১০৮ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড
ইমরান খানের দল পিটিআইর ১০৮ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

২৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন শুল্ক চাপ সত্ত্বেও দক্ষিণ কোরিয়ার রপ্তানিতে রেকর্ড
মার্কিন শুল্ক চাপ সত্ত্বেও দক্ষিণ কোরিয়ার রপ্তানিতে রেকর্ড

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৭ নভেম্বর থেকে শুরু লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ
২৭ নভেম্বর থেকে শুরু লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ

২৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় দাম বেড়েছে সবজিসহ ডিম-মুরগির
বগুড়ায় দাম বেড়েছে সবজিসহ ডিম-মুরগির

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তানের পাহাড়েই চিরনিদ্রায় জার্মান অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন
পাকিস্তানের পাহাড়েই চিরনিদ্রায় জার্মান অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর : জুলাইয়ের বেতন দেরিতে পাবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর : জুলাইয়ের বেতন দেরিতে পাবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মশার উপদ্রবে নাজেহাল, ঘরোয়া টোটকাতেই রয়েছে সমাধান
মশার উপদ্রবে নাজেহাল, ঘরোয়া টোটকাতেই রয়েছে সমাধান

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

সিরাজগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে শহীদ রঞ্জু স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন
সিরাজগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে শহীদ রঞ্জু স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০ শতাংশ শুল্ক সরকারের আরেকটি সফলতা : আসিফ নজরুল
২০ শতাংশ শুল্ক সরকারের আরেকটি সফলতা : আসিফ নজরুল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনের রাজধানীতে ভয়াবহ রুশ হামলায় নিহত ২৬
ইউক্রেনের রাজধানীতে ভয়াবহ রুশ হামলায় নিহত ২৬

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩ দিন বন্ধ থাকার পর ভোলার ১০ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল শুরু
৩ দিন বন্ধ থাকার পর ভোলার ১০ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল শুরু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শুল্ক কার্যকরের তারিখ পেছালেন ট্রাম্প
শুল্ক কার্যকরের তারিখ পেছালেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি’ নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর উদ্যোগের প্রশংসায় এরদোয়ান
‘ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি’ নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর উদ্যোগের প্রশংসায় এরদোয়ান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফোনের ফটোগ্যালারির জায়গা বাড়াবেন যেভাবে
ফোনের ফটোগ্যালারির জায়গা বাড়াবেন যেভাবে

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

এগিয়ে এলো বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অস্ট্রেলিয়া যাত্রা
এগিয়ে এলো বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অস্ট্রেলিয়া যাত্রা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঠাকুরগাঁওয়ে জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন
ঠাকুরগাঁওয়ে জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তাস খেলতে গিয়ে মন্ত্রিত্ব হারালেন ভারতের মহারাষ্ট্রের কৃষিমন্ত্রী
তাস খেলতে গিয়ে মন্ত্রিত্ব হারালেন ভারতের মহারাষ্ট্রের কৃষিমন্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরকীয়ার সন্দেহে প্রভাষক স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করলেন স্বামী
পরকীয়ার সন্দেহে প্রভাষক স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করলেন স্বামী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা এবং পারস্পরিক সহমর্মিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে’
‘ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা এবং পারস্পরিক সহমর্মিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে’

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টানা ১০ দিন ভারী বর্ষণের আভাস
টানা ১০ দিন ভারী বর্ষণের আভাস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
প্রাইজবন্ডের ড্র, লাখ টাকা পুরস্কার পেল যেসব নম্বর
প্রাইজবন্ডের ড্র, লাখ টাকা পুরস্কার পেল যেসব নম্বর

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ইসরায়েলকে অনেকে ঘৃণা করা শুরু করেছে’— ট্রাম্পের মন্তব্যে আলোচনার ঝড়
‘ইসরায়েলকে অনেকে ঘৃণা করা শুরু করেছে’— ট্রাম্পের মন্তব্যে আলোচনার ঝড়

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত কমিশনের, আলোচনায় উত্তেজনা
পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত কমিশনের, আলোচনায় উত্তেজনা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলকাতায় গ্রেফতার বাংলাদেশি মডেল শান্তা পাল
কলকাতায় গ্রেফতার বাংলাদেশি মডেল শান্তা পাল

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত: কানাডাকে যে হুমকি দিলেন ট্রাম্প
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত: কানাডাকে যে হুমকি দিলেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইলস্টোনের পাশে অবৈধ দোকানে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি, ডিএনসিসির অভিযান
মাইলস্টোনের পাশে অবৈধ দোকানে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি, ডিএনসিসির অভিযান

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মতিঝিলে সমন্বয়ক পরিচয়ে ভবন দখলের চেষ্টা
মতিঝিলে সমন্বয়ক পরিচয়ে ভবন দখলের চেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
যুক্তরাষ্ট্রে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল কূটনৈতিকভাবে ‘বিচ্ছিন্ন’ হয়ে পড়ছে: জার্মানি
ইসরায়েল কূটনৈতিকভাবে ‘বিচ্ছিন্ন’ হয়ে পড়ছে: জার্মানি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা
কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সংবিধান সংশোধন জটিল করতেই কেউ কেউ পিআর পদ্ধতির প্রস্তাব দিচ্ছে : সালাহউদ্দিন
সংবিধান সংশোধন জটিল করতেই কেউ কেউ পিআর পদ্ধতির প্রস্তাব দিচ্ছে : সালাহউদ্দিন

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফিলিস্তিনি ক্ষুধার্ত শিশুর প্রতি ইসরায়েলি নির্মমতা নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন সেনা কর্মকর্তা
ফিলিস্তিনি ক্ষুধার্ত শিশুর প্রতি ইসরায়েলি নির্মমতা নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন সেনা কর্মকর্তা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনসিপির সমাবেশে যেতে বাধ্য করার অভিযোগ, বিক্ষোভ
এনসিপির সমাবেশে যেতে বাধ্য করার অভিযোগ, বিক্ষোভ

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বিশেষ নির্দেশনা মার্কিন দূতাবাসের
শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বিশেষ নির্দেশনা মার্কিন দূতাবাসের

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের হুমকির পরই রাশিয়া থেকে তেল ক্রয় স্থগিত করেছে ভারত
ট্রাম্পের হুমকির পরই রাশিয়া থেকে তেল ক্রয় স্থগিত করেছে ভারত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমানের ঘাড়ে ৫০ হাজার কোটির বোঝা
বিমানের ঘাড়ে ৫০ হাজার কোটির বোঝা

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এটি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয় : প্রধান উপদেষ্টা
এটি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয় : প্রধান উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঠে নামার আগেই আলোচনায় মিচেল
মাঠে নামার আগেই আলোচনায় মিচেল

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাঠ পর্যায়ে ভূমি কর্মকর্তাদের পদবী পরিবর্তনের উদ্যোগ
মাঠ পর্যায়ে ভূমি কর্মকর্তাদের পদবী পরিবর্তনের উদ্যোগ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিশ্চিত থাকেন নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন, একদিনও দেরি হবে না : প্রেস সচিব
নিশ্চিত থাকেন নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন, একদিনও দেরি হবে না : প্রেস সচিব

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক নেতা কাদের গনিকে দেখতে গেলেন মঈন খান
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক নেতা কাদের গনিকে দেখতে গেলেন মঈন খান

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাল্টে যাচ্ছে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনের সময়সূচি
পাল্টে যাচ্ছে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনের সময়সূচি

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের আবাবিল ড্রোন : মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে ৫ প্রতিষ্ঠান
ইরানের আবাবিল ড্রোন : মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে ৫ প্রতিষ্ঠান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরমাণু আলোচনা পুনরায় শুরুর আগে ক্ষতিপূরণ দাবি ইরানের
পরমাণু আলোচনা পুনরায় শুরুর আগে ক্ষতিপূরণ দাবি ইরানের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিথ্যা মামলা ও মব সন্ত্রাস অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা : আইন উপদেষ্টা
মিথ্যা মামলা ও মব সন্ত্রাস অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা : আইন উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি : পলাতক ছাত্রনেতা জানে আলম অপু গ্রেফতার
৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি : পলাতক ছাত্রনেতা জানে আলম অপু গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের ‘গোপন বৈঠক’
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের ‘গোপন বৈঠক’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চার দশক পর জানলেন স্ত্রীর গর্ভের ৫ সন্তানের বাবা নন তিনি, অতঃপর..!
চার দশক পর জানলেন স্ত্রীর গর্ভের ৫ সন্তানের বাবা নন তিনি, অতঃপর..!

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

প্রিন্ট সর্বাধিক
একীভূত হবে ২০ ব্যাংক
একীভূত হবে ২০ ব্যাংক

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝালকাঠিতে দুই সমন্বয়ক জনতার হাতে আটক
ঝালকাঠিতে দুই সমন্বয়ক জনতার হাতে আটক

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলিশ যেন বিলাসী পণ্য
ইলিশ যেন বিলাসী পণ্য

নগর জীবন

শিবিরের ডিরেকশনে জুলাই অভ্যুত্থান হয়নি
শিবিরের ডিরেকশনে জুলাই অভ্যুত্থান হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

সৌন্দর্য হারাচ্ছে কক্সবাজার
সৌন্দর্য হারাচ্ছে কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ব্যাংক ধ্বংসের কারিগর এস আলমের লাঠিয়াল
ব্যাংক ধ্বংসের কারিগর এস আলমের লাঠিয়াল

প্রথম পৃষ্ঠা

থানাই হোক ন্যায়বিচারের প্রথম ঠিকানা
থানাই হোক ন্যায়বিচারের প্রথম ঠিকানা

প্রথম পৃষ্ঠা

শাস্তি বাড়ছে শেয়ার কারসাজিতে
শাস্তি বাড়ছে শেয়ার কারসাজিতে

পেছনের পৃষ্ঠা

মাঠে নামার আগেই আলোচনায় মিচেল
মাঠে নামার আগেই আলোচনায় মিচেল

মাঠে ময়দানে

আগামী সরকার হবে ঐকমত্যের
আগামী সরকার হবে ঐকমত্যের

প্রথম পৃষ্ঠা

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের ‘গোপন বৈঠক’
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের ‘গোপন বৈঠক’

প্রথম পৃষ্ঠা

মাটি খুঁড়ে মিলল চুরি হওয়া ১১ লাখ টাকা
মাটি খুঁড়ে মিলল চুরি হওয়া ১১ লাখ টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলাই সনদের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, তীব্র যানজটে দুর্ভোগ
জুলাই সনদের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, তীব্র যানজটে দুর্ভোগ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইজিবাইক চালক ও শিক্ষার্থী হত্যা ফাঁসি সাত, যাবজ্জীবন দুজনের
ইজিবাইক চালক ও শিক্ষার্থী হত্যা ফাঁসি সাত, যাবজ্জীবন দুজনের

দেশগ্রাম

গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে গুলি, নিহত ৩০
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে গুলি, নিহত ৩০

পূর্ব-পশ্চিম

আবারও প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন কমলা
আবারও প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন কমলা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রিমিয়ার হকি লিগ তাহলে হচ্ছে না!
প্রিমিয়ার হকি লিগ তাহলে হচ্ছে না!

মাঠে ময়দানে

‘কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও’
‘কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও’

সম্পাদকীয়

নির্বাচনের তারিখ শিগগিরই
নির্বাচনের তারিখ শিগগিরই

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রোটিয়াদের কাছে যুবাদের হার
প্রোটিয়াদের কাছে যুবাদের হার

মাঠে ময়দানে

সালাউদ্দিনের চুক্তির মেয়াদ বাড়ল
সালাউদ্দিনের চুক্তির মেয়াদ বাড়ল

মাঠে ময়দানে

জয়িতারূপে তানিয়া বৃষ্টি
জয়িতারূপে তানিয়া বৃষ্টি

শোবিজ

ডালাস চলচ্চিত্র উৎসবে মোশাররফ-জুঁইয়ের ‘আবর্ত’
ডালাস চলচ্চিত্র উৎসবে মোশাররফ-জুঁইয়ের ‘আবর্ত’

শোবিজ

কাজী শুভ-মিলন যখন ‘বন্ধু’
কাজী শুভ-মিলন যখন ‘বন্ধু’

শোবিজ

জি এম কাদেরের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা
জি এম কাদেরের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

প্রথম পৃষ্ঠা

লিগ কাপে মেসিদের শুভযাত্রা
লিগ কাপে মেসিদের শুভযাত্রা

মাঠে ময়দানে

২০ শতাংশের আশপাশেই থাকছে ট্রাম্পের শুল্ক
২০ শতাংশের আশপাশেই থাকছে ট্রাম্পের শুল্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

লাওসে এবার চূড়ান্ত পর্বের স্বপ্ন আফঈদাদের
লাওসে এবার চূড়ান্ত পর্বের স্বপ্ন আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

জাতীয় বক্সিংয়ে জিনাত ঝলক
জাতীয় বক্সিংয়ে জিনাত ঝলক

মাঠে ময়দানে