মিসবাহ-উল-হকের সময়ে বেশ কয়েকবার ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলেছে পাকিস্তান। কিন্তু নানা কারণে পাকিস্তান টেস্ট দলে তখন জায়গা হয়নি বর্তমান অধিনায়কের। যদিও বছর খানেক আগে অবসরের যে গুঞ্জন চলছিল সেটা সত্য হলে অবশ্য লর্ডসে নামা হতো না মিসবাহর। কিন্তু পাকিস্তানি ক্রিকেট বোর্ডের হস্তাক্ষেপে সেটা না হওয়ায় এবার তার নেতৃত্বেই ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তান দল। ইতিমধ্যে চার টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। আর লর্ডসে নেমেই অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি বয়সে সেঞ্চুরি করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান ৪২ বছর বয়সী এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার। চলতি ওই টেস্টের প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক মিসবাহর ১১৪ রানের সুবাদে ৩৩৯ রানের বড় স্কোর সংগ্রহ করে সফরকারীরা। জবাবে প্রথম ইনিংসে ২৭২ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি মিসবাহ। যেখান থেকে প্রথম ইনিংসে দলকে উদ্ধার করেন তিনি, দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দল যখন ধুঁকছে ঠিক তখনই শূন্য রানে আউট হয়ে দলকে বিপদে ফেলে আসেন পাকিস্তানি অধিনায়ক। যদিও ইউনূস খান, আসাদ শফিক, সরফরাজ আহমেদ ও ইয়াসির শাহের ছোট ছোট ইনিংসের কল্যাণে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেটে ২১৪ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান। ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। যদিও সব মিলিয়ে পাকিস্তানর লিড ২৮১ রানের। চতুর্থ দিনে লিড ৩০০ ছাড়াতে পারলে জয়ের প্রত্যাশাই করতে পারে সফরকারীরা। তবে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি রেকর্ড গড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ডাক মেরেও তার রেকর্ড হয়েছে। লর্ডসে নিজের প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি ও পরের ইনিংসে ডাক মারা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে চতুর্থ খেলোয়াড় তিনি।
তার আগে ১৯৪৮ সালে লর্ডসে প্রথম ইনিংসে ডাক ও পরের ইনিংসে ১৪১ রান করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান সিড বার্নস। ১৯৬৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার চার্লি ডেভিস প্রথম ইনিংসে ১০৩ রান করেন। পরের ইনিংসে ডাক মারেন। আর ১৯৭৯ সালে ভারতের ব্যাটসম্যান দিলীপ ভেঙসরকারও একই কীর্তি করেছিলেন। তিনি প্রথম ইনিংসে ডক মারেন। কিন্তু পরের ইনিংসে ১০৩ রান করেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ জুলাই, ২০১৬/মাহবুব