২০০৯ সালে টেস্ট অভিষেক। ওয়ানডে তারও এক বছর আগে; কিন্তু পাকিস্তানি পেসার সোহেল খান সম্ভবত ভাগ্যাহত এক ক্রিকেটার। তা না হলে, অভিষেকের ৭ বছর পরও কেন নিজের নামের পাশে মাত্র দুটি টেস্ট। তাও আবার দুটি টেস্ট যেন ছিল ভয়ঙ্কর দুটি দুঃস্বপ্ন। অভিষেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। আড়াই বছর পর আবার সুযোগ মেলে। এবার দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮১ রান দিয়ে মাত্র ১ উইকেট। তবে ৩২ বছর বয়সী এই পাকিস্তানি পেসার ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টে নিজেকে মেলে ধরেছেন। আর তার নায়কোচিত পারফরম্যান্সে এজবাস্টন টেস্টে আশা দেখছেন পাকিস্তান।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্সের ফল স্বরূপ ৫ বছর পর আবারও টেস্টে ফিরলেন সোহেল খান। তাকে অন্তভুক্তির জন্য বসিয়ে রাখতে হয়েছে দলের অন্যতম সেরা পেসার ওয়াহাব রিয়াজকে। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দিলেন ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারের ৪ উইকেট তুলে নিয়ে। সব মিলিয়ে এজবাস্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৫ উইকেট তুলে নিয়ে দিনের নায়ক সোহেল। তার ঝড়ের মুখেই টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৯৭ রানে অলআউট ইংল্যান্ড।
আগের দুই টেস্ট ১-১ সমতায়। এই টেস্টে যে জিতবে সিরিজ জয়ের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে এগিয়ে থাকবে তারা। এই সমীকরণে খেলতে নেমে টস জিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান মিসবাহ। ৩৬ রানের জুটি গড়েন অ্যালিস্টার কুক আর আলেক্স হেলস। ইংলিশ শিবিরে আঘাতের হানার শুরুটাও করেন সোহেল।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ছিলই। যদিও মাঝপথে এসে গ্যারি ব্যালান্স আর মঈন আলী কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করেন। তারা দু’জন মিলে গড়েন ১২০ রানের জুটি। ৬৩ রানে আউট হন মঈন আলী। সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন গ্যারি ব্যালান্স। শেষ পর্যন্ত ৮৪ ওভারে ২৯৭ রানেই অলআউট ইংল্যান্ড।
সোহেল খান ছাড়াও ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির এবং রাহাত আলি। অন্য একটি উইকেট পেয়েছেন ইয়াসির শাহ।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব