অলিম্পিক ফুটবলের শুরুতেই ধাক্কা খেল লাতিন আমেরিকার দুই পরাশক্তি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। বৃহস্পতিবারের ম্যাচে স্বাগতিক ব্রাজিল অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ড্র করলেও আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে হেরেছে পর্তুগালের কাছে।
পাঁচবার বিশ্বকাপ ও তিনবার ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ জিতলেও কখনও অলিম্পিক ফুটবলে সাফল্য পায়নি ব্রাজিল। সময়ের অন্যতম সেরা তারকা নেইমারের কাঁধে ভর করে দেশের মাটিতে সে শূন্যতা পূরণের স্বপ্ন দেখছে দেশের প্রতিটি মানুষ।
ব্রাজিলিয়ায় স্তাদিও নাসিওনাল মানে গারিঞ্চাতে বৃহস্পতিবার ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাঠেও ছিলেন স্বাগতিক অধিনায়ক ও প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার। কিন্তু দলকে মূল্যবান তিন পয়েন্ট এনে দিতে পারেননি এই বার্সেলোনা তারকা।
ম্যাচে সবচেয়ে বড় সুযোগটি পেয়েছিলেন সম্প্রতি ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে চুক্তি করা ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড গাব্রিয়েল জেসুস। কিন্তু তার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
৫৯তম মিনিটে দক্ষিণ আফ্রিকার ডিফেন্ডার মথোবি এমভালা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু বাকি সময় একজন বেশি নিয়ে খেলেও কাঙ্ক্ষিত গোল করতে পারেনি ব্রাজিল।
আগামী রবিবার গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ইরাকের বিপক্ষে মাঠে নামবে নেইমাররা।
অন্যদিকে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে পর্তুগালের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে আর্জেন্টিনা। বৃহস্পতিবার ম্যাচের দুটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথমার্ধে দুই দলই সমানে-সমান খেলে। পর্তুগাল বলের দখল বেশি রাখলেও পাল্টা আক্রমণে সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে স্ট্রাইকার জোনাথান কাইয়েরির চিপ ক্রসবারে লাগায় গোল পায়নি আর্জেন্টিনা।
৬৬তম মিনিটে স্ট্রাইকার পাসিয়েনসিয়া নীচু শটে এগিয়ে দেন পর্তুগালকে। ৭৪তম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় ক্রিস্তিয়ান পাভনের শট রুখে পর্তুগালকে এগিয়েই রাখেন গোলরক্ষক ব্রুনো ভারেলা।
৮৪তম মিনিটে পিতের দূরপাল্লার শট আর্জেন্টিনা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জালে গিয়ে আটকায়। জয় নিশ্চিত হয়ে যায় পর্তুগালের।
অলিম্পিক ফুটবলে গত ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম হারলো ২০০৪ ও ২০০৮ সালে স্বর্ণজয়ী আর্জেন্টিনা। ২০০০ ও ২০১২ অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পায়নি মেসি-ম্যারাডোনার দেশ।
আগামী রবিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় 'ডি' গ্রুপের ম্যাচে হন্ডুরাসের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল। রাত তিনটায় আর্জেন্টিনা নামবে আলজেরিয়া বিপক্ষে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ