সেঞ্চুরিয়ানে শুক্রবার (১৮ মার্চ) প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৮ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের মধ্য দিয়ে নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে। প্রথমবারের মতো প্রোটিয়াদের তাদেরই মাটিতে হারিয়েছে টাইগাররা। সিরিজেও ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো টিম বাংলাদেশ। টাইগারদের খেলা দেখে দারুণ উচ্ছ্বাসিত বাংলাদেশ দলের সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স।
প্রসঙ্গত, প্রিন্স থাকা অবস্থাতেই নতুন ব্যাটিং কোচ হিসেবে বিসিবি চুক্তি করে সিডন্সের সঙ্গে। প্রিন্সকে প্রস্তাব দেওয়া হয় জাতীয় দল ছেড়ে হাইপারফরম্যান্স দলের দায়িত্ব নিতে। এমন অবনমন মেনে নিতে পারেননি সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান। সিদ্ধান্ত নেন চাকরিটাই ছেড়ে দেওয়ার।
সেই প্রিন্সকে আজ প্রেসবক্সে পেয়ে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন বাংলাদেশ থেকে সিরিজ কাভার করতে আসা সাংবাদিকেরা। প্রিন্সের দেশে এসে খেলছেন তাঁরই পুরোনো ছাত্ররা, ধারাভাষ্যকার হিসেবে প্রিন্স সেই খেলা দেখছেন বিশেষজ্ঞের দৃষ্টিতে। বাংলাদেশের ইনিংস তখনো শেষ না হলেও তামিম-লিটনের দারুণ শুরুর পর সাকিবের ব্যাটেও জ্বলে উঠেছে। প্রিন্স যেন তখনই বুঝে গিয়েছিলেন, বাংলাদেশ আজ অনেক দূরে যাবে, ‘তামিম-লিটন ভালো শুরু করেছ। যদিও ৪০-৫০-এর ঘরে আউট হয়ে গেছে দুজনই, ইনিংস লম্বা করতে পারেনি। মনে হচ্ছে সাকিবও ব্যাটিংটা উপভোগ করছে। দু'টি দারুণ ছক্কা মারল। ওদের ব্যাটিং দেখে আসলেই ভালো লাগছে।’
প্রিন্সের তখনই মনে হচ্ছিল, এই উইকেটে বাংলাদেশ অনায়াসে ২৮০ করে ফেলবে। লড়াই করার মতো সংগ্রহ হবে সেটাই। পরে তো বাংলাদেশ থামল ৩১৫ রানে।
প্রিন্স বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যাটিংটা উপভোগ করবে। কারণ, এখানে উইকেট ভালো। বল ব্যাটে আসে। মাঝেমধ্যে বাউন্স হয়তো একটু বেশি হয়, তবে সেটা খুব বেশি নয়। উইকেটে এমন সুষম বাউন্স থাকলে ব্যাটসম্যানদের জন্য খেলা সহজ।’
প্রসঙ্গক্রমে প্রিন্স মনে করিয়ে দিয়েছেন এ বছরের জানুয়ারির মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের কথা। বাংলাদেশ দলের সাবেক ব্যাটিং কোচ তো মনে করেন, নিউজিল্যান্ডকে হারানো ওই টেস্টেই পেস-সহায়ক কন্ডিশনে খেলার সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা, ‘এ ধরনের কন্ডিশনে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভালো করার সামর্থ্য আছে। নিউজিল্যান্ডে তারা টেস্ট ম্যাচ জিতেছে। এর আগে এটা কেউ বিশ্বাস করত? আমি কিন্তু করতাম। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা নিউজিল্যান্ডেও বাউন্সারের সামনে ভালো খেলেছে।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ