৬ জুলাই, ২০২২ ১৬:০৫

কনটেন্ট মডারেশনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে টিকটক : জিয়াগেন এপ

অনলাইন ডেস্ক

কনটেন্ট মডারেশনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে টিকটক : জিয়াগেন এপ

জিয়াগেন এপ

সারা বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটক বাংলাদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়। দেশে টিকটকের কনটেন্ট মডারেশনের বিভিন্ন বিষয়ে গণমাধমের সঙ্গে কথা বলেছেন টিকটক গ্লোবাল টিমের হেড অফ মার্কেট ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড এনাবলমেন্ট, ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি এশিয়া প্যাসিফিক, জিয়াগেন এপ। তার মতে, বাংলাদেশের বাজার তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের টিকটক কমিউনিটির জন্য আনন্দময় সব কনটেন্ট সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায় কোম্পানিটি।

জিয়াগেন এপ বলেন, আমরা চাই— যে কনটেন্ট পাবলিশ করা হচ্ছে সেটা আমাদের কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে এবং আমাদের সেফটি পলিসি মেনে হচ্ছে। স্থানীয় সাংস্কৃতিক সব সূক্ষ্মতা বিবেচনায় নিয়ে এবং কীভাবে সমাজের মূল্যবোধ ও নিয়মগুলো একে অপরের চেয়ে আলাদা সেটি বিবেচনায় নিয়ে আমরা আমাদের কনটেন্ট মডারেশন সক্ষমতা ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে ৩০০ শতাংশ বাড়িয়েছি। বাংলাদেশ জন্য স্থানীয়দের নিয়ে আমাদের একটি বড় দল কাজ করে, যারা স্থানীয় সংস্কৃতি ও ভাষা বোঝেন, তারাই টিকটককে একটা নিরাপদ প্লাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করেন।

বাংলাদেশে কনটেন্ট মডারেশনের জন্য টিকটক বিভিন্ন বিষয়ের ওপর জোর দিচ্ছে বলে জানান জিয়াগেন এপ। তিনি বলেন, আমরা যেসব অঞ্চলে কাজ করি, সব জায়গার সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা বুঝি ও তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। বিগত বছরগুলোতে আমরা আমাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছি ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি এবং পলিসি টিমে, যাদের কাজ হলো বাংলাদেশের স্থানীয় আইন, সংস্কৃতি এবং প্রচলিত অনুভূতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কৌশল ও নীতি প্রণয়ন এবং প্রয়োগ করা। আমরা আমাদের প্ল্যাটফর্মের সব কনটেন্ট মূল্যায়ন করতে প্রযুক্তি, আমাদের বাংলাদেশি দলের সদস্য এবং কনটেন্ট মডারেটরদের মাধ্যমে বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও ভাষার গভীরতা বোঝার চেষ্টা করি। এরপর সেই তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্য যে কনটেন্ট উপযোগী নয় সেগুলো প্লাটফর্ম ও কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে সরিয়ে ফেলি।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে নানা অভিযোগ প্রসঙ্গে জিয়াগেন এপ বলেন, টিকটকের গাইডলাইনে এটা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা আছে, যদি কোনো ব্যবহারকারী কোনো ইঙ্গিতপূর্ণ কনটেন্ট পোস্ট করেন, তাহলে তারা সীমাবন্ধ বা রেসট্রিকটেড হবেন। টিকটক যেকোনো ধরনের সহিংসতা ও হিংসাত্মক কাজকে প্রশ্রয় দেয় না। অন্যের জন্য ক্ষতি হয় এমন কনটেন্ট পুরোপুরিভাবে রেস্ট্রিক্টেড করে। টিকটক গাইডলাইন কোনোভাবেই কোনো অপেশাদার স্টান্ট, ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ, বিপজ্জনক চ্যালেঞ্জকে মহিমান্বিত, প্রচার, স্বাভাবিকীকরণ করতে দেয় না। বিশ্বব্যাপী ২০২১ সালের শেষ প্রান্তিকে ২ লাখ ৩২ হাজার ৯৪২টি অ্যাকাউন্ট এবং ২৬ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭২টি ভিডিও গাইডলাইন ভঙ্গ করা এবং শর্ত না মানায় সরিয়ে ফেলা হয়েছে, সরিয়ে ফেলার এই হার ৯৯ শতাংশ।

এদিকে, কমিউনিটি গাইডলাইন না মেনে কনটেন্ট আপলোড করার পর সরিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে বিশ্বে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। কমিউনিটি গাইডলাইন ভাঙার জন্য তাদের মডারেশন দলটি কনটেন্ট সরিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। টিকটকের গ্লোবাল ২০২১ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের কমিউনিটি গাইডলাইন এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, গাইডলাইন ভাঙার দায়ে বাংলাদেশে যে পরিমাণ ভিডিও সরানো হয়েছে তা বিশ্বে সপ্তম। এমনটাই জানিয়েছেন টিকটকের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এই সময়ে বাংলাদেশ থেকে ২৬ লাখের বেশি ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যেসব ভিডিও সরানো হয়েছে সেগুলোর ট্রেন্ড বা ক্যাটাগরি আসলে নির্ভর করে কোন ধরনের কনটেন্ট আপলোড করছে তার ওপর।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর