সঠিক ব্রাশ নির্বাচন এবং ত্রুটিহীন মেকআপে আঙুলের ওপর নির্ভর করা বিশেষত নতুনদের জন্য অপ্রতিরোধ্য। তাই প্রায়োরিটি লিস্টে কাকে ওপরে রাখা যায় বা ফিনিশিংয়ে কোনটি সেরা- এসব নিয়ে মেকআপ লাভারদের এত দ্বিধাদ্বন্দ্বের আসলে কারণটা কী। তবে মেকআপে ব্রাশ ব্যবহার নাকি আঙুল- সিদ্ধান্ত পুরোটাই ব্যবহারকারীর। এক্ষেত্রে প্রাধান্য দিতে হবে কৌশল এবং কেমন লুক চাই, সেদিকে।
ব্রাশ কেন : একজন পেইন্টারের কাছে তুলি যেমন তার অস্ত্র, তেমনি মেকআপ আর্টিস্টদের কাছে সর্বোত্তম হলো মেকআপ ব্রাশ। যারা প্রতিদিন কনসিলার কিংবা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করেন, তাদের জন্য ব্রাশ ম্যাজিকের মতো কাজ করে। চেহারার কাট-কাট ভাব ফুটিয়ে তুলতে, ব্রোঞ্জার ও কনট্যুরের কার্যকারিতা উপভোগের সময় মেকআপ ব্রাশের জুড়ি নেই। যাদের ত্বক একটু বুড়িয়ে গেছে, কিংবা লোমকূপ অপেক্ষাকৃত বড়, তারাও মেকআপে ব্রাশ বেছে নিতে পারেন। আঙুল দিয়ে মেকআপ অ্যাপ্লাই করলে প্রায়ই লোমকূপে প্রোডাক্ট আটকে যায়, সে ক্ষেত্রে মেকআপ ব্রাশ ব্যবহার করা শ্রেয়। ড্রামাটিক লুক তৈরিতে যেমন দুর্দান্ত, তেমনি পুরো মেকআপের ওপর হালকা প্রেসড পাউডার বুলিয়ে নেওয়ার জন্যও জুতসই। তবে কোন ব্রাশের কাজ কী কিংবা মেকআপের জন্য কী করে ব্রাশ ধরতে হয়- এ ক্ষেত্রে ইউটিউব টিউটরিয়ালগুলো হতে পারে সমাধান।
আঙুলের উপযোগিতা : আঙুল দিয়ে পেইন্টিং করতে যেমন বেগ পেতে হয় না, মেকআপের ক্ষেত্রেও তাই। তেমন জ্ঞানের প্রয়োজন পড়ে না বলে যে কেউ আঙুলের সাহায্যে সহজে মেকআপ করতে পারেন। আঙুলের সাহায্যে বিভিন্ন মোশন মেনে মেকআপ খুব দ্রুত ত্বকের সঙ্গে ব্লেন্ড করে নেওয়া যায়। খরচ বাঁচাতে অনেকে বিকল্প হিসেবে বেছে নেন আঙুল। এর বড় সুবিধা হচ্ছে, শরীরের তাপমাত্রা অনুযায়ী হাতে নেওয়া মেকআপ প্রোডাক্টটি তার তাপমান সেট করে নেয়। ত্বকে মিশে যায় সাবলীলভাবে। ফলে মেকআপে ন্যাচারাল লুক আসে। যাদের ত্বক সেনসিটিভ বা শুষ্ক, তাদের জন্য মেকআপে দারুণ উপায় এটি। ক্ষেত্রবিশেষে ব্রাশের তারতম্য হতে পারে। কিন্তু আঙুলের ক্ষেত্রে সেই আশঙ্কা একদমই নেই। শুধু মানা চাই কিছু নিয়মকানুন।
লেখা : উম্মে হানি