শ্যামপুর চিনিকলসহ বন্ধ সকল চিনিকল চালু, চাকরিচ্যুত সকল শ্রমিকদের পুনর্বহাল, বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং আখচাষিদের বাঁচানোর দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন রংপুর জেলার উদ্যোগে রংপুর প্রেসক্লাব চত্তরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক সুরেশ বাসফোরের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মানস নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রেজা, বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলার আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, সদস্যসচিব আহসানুল আরেফিন তিতু, বিশিষ্ট আখচাষী মকবুল হোসেন চৌধুরী, জেএসডির জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুছ ছাদেক জিহাদী প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মহামারী করোনার সময়ে গুটিকয়েক চিনি আমদানিকারক ব্যবসায়ী এবং ভারতের স্বার্থে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার দেশের ১৫ টি চিনিকলের মধ্যে ৬টি চিনিকল বন্ধ করে দেয়। এর সবগুলোই উত্তরবঙ্গে। রংপুরের একমাত্র ভারী শিল্প শ্যামপুর চিনিকল। চিনি উৎপাদনে এই চিনিকল বাংলাদেশে দ্বিতীয়। এই চিনিকলের উপর শত শত শ্রমিক, হাজার হাজার আখচাষি এবং অন্যান্য ধরণের শ্রমিকের জীবন নির্ভর করে। সবমিলে শ্যামপুর চিনিকল ছিল ৩০ হাজার মানুষের জীবনযাপনের অবলম্বন।
তারা আরো বলেন, দেশে চিনির চাহিদার তুলনায় নিজস্ব উৎপাদন খুবই সামান্য। তাই অবিলম্বে শ্যামপুর চিনিকলসহ বন্ধ সকল চিনিকল অবিলম্বে চালু করে দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে। ছাত্র জনতার লড়াইয়ের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে। এখন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে বিগত সরকার যেসব জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেগুলো বাতিল করে জনস্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। চিনিকল বন্ধের সিদ্ধান্তও তেমনি একটি জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল