"আমার পরিবারে বাবা একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল। বাবা মারা যাওয়ার পর আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে পড়ে। তখন আমার বড় ভাই লেখাপড়া ছেড়ে পরিবারের কথা ভেবে উপার্জনের পথ বেছে নেয়। ভাইয়ের উপার্জন ও অন্যান্য অনেকের সহায়তায় আমি ডিপ্লোমা ভর্তি হই। ২০২৩ সালে ডিপ্লোমা পাস করার পর ডুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এখন ভর্তিসহ আমার লেখাপড়া অন্যান্য খরচ নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।" কথাগুলো বলছেন সদ্য ডুয়েটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী মারিয়া খাতুন।
গত মাসের ২২ নভেম্বর দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় 'ডুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দুশ্চিন্তার ভাঁজ মারিয়ার' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বসুন্ধরা শুভসংঘ মারিয়া খাতুন-কে শিক্ষা সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়।
আজ রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রধান কার্যালয়ে মারিয়া খাতুনের হাতে শিক্ষা সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।
শিক্ষা সহায়তা পেয়ে মারিয়া খাতুন জানান, "পরিবারের দুরবস্থার কারণে ডুয়েটে ভর্তি হতে পারব কিনা তা নিয়ে অত্যন্ত চিন্তা করছিলাম। আমার পরিবারের পক্ষে ভর্তি ফিসহ বই খাতা কেনার টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছিল না। বসুন্ধরা শুভসংঘ থেকে আমাকে যে শিক্ষা সহায়তা করা হলো তা দিয়ে ভর্তিসহ বই খাতা কেনার সকল কাজ শেষ করতে পারব। আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় আমাকে সহায়তা প্রদানের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের নিকট কৃতজ্ঞ। আমি সব সময় বসুন্ধরা গ্রুপের সফলতা কামনা করছি।"