টেকনাফের বাহারছড়ার গহিন পাহাড়ে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দি রাখা নারী ও শিশুসহ ৪৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে গতকাল সকাল ৭টা পর্যন্ত কোস্টগার্ডের অভিযানে তাদের উদ্ধার করা হয়। গতকাল বিকালে কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে নারী ও শিশুসহ বিপুলসংখ্যক ব্যক্তিকে টেকনাফের বাহারছড়ার পিনিসভাঙ্গা পাহাড়ি এলাকায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত কোস্টগার্ড ওই এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। ওই পাহাড়ের চূড়ায় পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ৪৪ জনকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকারীরা জানায়, কয়েকটি সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরি, সুবিধাজনক কর্মসংস্থান, উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন, অল্প খরচে বিদেশ যাত্রা এবং বিনা অর্থে প্রেরণ ও পরবর্তীতে কর্মস্থলে কাজের মাধ্যমে খরচ পরিশোধের সুযোগের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে নেয়। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় গমনে উদ্বুদ্ধ করে গহিন পাহাড়ে গোপন আস্তানায় জিম্মি করে রেখেছিল। তারা আরও জানায়, পাচারকারীরা তাদের আটকে রেখে নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করার চেষ্টা করছিল। অভিযান চলাকালে কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
