বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দল গড়ে উঠে গণস্বার্থকে কেন্দ্র করে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্টের পর গঠিত সরকার দেশের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছেন। আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। আবার অনেক কাজের সমালোচনাও করছি। সমালোচনা মানে এই নয় যে আমরা এ সরকারের বিরোধিতা করছি, পতন দাবি করছি।’
তিনি বলেন, ‘সরকার এখনও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। পতিত স্বৈরশাসকের বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। তাদের চিহ্নিত করুন, মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনের আওতায় আনুন। রাস্তায় রাস্তায় এখনও গাড়িতে চাঁদাবাজি চলছে। বিএনপি এসব বন্ধের চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু বন্ধ করতে পারবে না। এর দায়িত্ব সরকারের। সরকার এসব প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও উদ্যোগ কম। জনগণ যদি আগের চেয়ে স্বস্তিতে থাকতে না পারে তাহলে হতাশ হবে।’
রবিবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল মহানগর উত্তরের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, ‘অগ্রগতি যে একেবারে হয়নি আমরা তা বলছি না। আমরা এখন বক্তৃতা করে বাসায় যেতে পারছি আমাদেরকে এখন পুলিশ ধরছে না, গোয়েন্দা পুলিশ খুঁজছে না, হ্যাঁ এটা হয়েছে। এ ধরনের কথা আপনারা বললে মানুষ অন্যকিছু ভাববে। ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিনের পুনরুত্থান হবে।’
তিনি বলেন, ‘একজন উপদেষ্টা বলেছেন ৫০ বছরে রাজনৈতিক দলগুলো কিছুই করতে পারেনি, আমরা করছি। তাহলে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এবং ২৪-এর সফলতা কে এনেছে? এগুলো কি সুশীল সমাজের অবদান? হ্যাঁ, তারা সমর্থন করেছে। ৩শ’ শতাব্দী থেকে ভোটের প্রথা চালু হয়েছে। ৮শ’ বছর আগে ইংল্যান্ডে অধিকারের আন্দোলন শুরু হয়েছে। বড় বড় উন্নত দেশেও রাষ্ট্রের সংস্কার কখনো রাজনীতিবিদদের অবসর দিয়ে হয় না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা (অন্তবর্তীকালীন সরকার) প্রশাসনে শেখ হাসিনার পোকামাকড় রেখে দিলে দেশ এগিয়ে নিতে পারবেন কিভাবে? তাহলে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, হত্যা বন্ধ করবেন কিভাবে। যে পুলিশের কারণে রাজপথ রক্তাক্ত হয়েছে উল্টো তাদের ভাল পোস্ট দিলে বর্তমান সরকার এবং পরবর্তীতে যারা আসবে তাদের জন্য ক্ষতিকর।’
কৃষক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘কৃষক দল বাজার দরে কৃষিদ্রব্য কিনে কম মূল্যে বিক্রি করছে। বগুড়া থেকে কম মূল্যে বীজ কিনে কুড়িগ্রামে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করছে। এরজন্য বিএনপির পক্ষ থেকে কৃষক দলকে ধন্যবাদ জানাই। এখন আন্দোলন নেই, কিন্তু বিএনপির কেউ বসে নেই। জনস্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে।’
কৃষক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আসজাদুল আরিস ডলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শফিকুর রহমান মিঠুর সঞ্চালনায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শামসুর রহমান শামসহ মহানগর উত্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বিডি-প্রতিদিন/শআ