নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরছে না। বন্যা আর সরবরাহ ঘটতির অজুহাতে রাজধানীর বাজারে সবজির দাম বাড়তি। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম এখন ৮০ টাকার উপরে। এদিকে মাংস–ডিমের দামও বেড়েছে। মাছের মধ্যে যে মাছটির দাম সবথেকে কম ছিল সেই ‘গরিবের মাংস’ খ্যাত পাঙাসের দামও এখন নিম্নবিত্তদের নাগালের বাইরে। সেই সঙ্গে অন্যান্য মাছের দামও বাড়তি। ঢাকার বাইরের বাজারের চিত্রও একই। ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অনেককে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ভাটার নতুনবাজার, বাড্ডা, রামপুরা এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে কাঁচা মরিচের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বেগুন মানভেদে কেজিতে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, টমেটো কেজিতে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, পটল-ঢেঁড়স ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মুরগির ডিমের দাম। হালি ৬০ আর ডজনে বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮৫-১৯০ টাকা এবং গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে।
সাধারণত পাঙাস-তেলাপিয়া মাছেই স্বস্তি মিলতো মধ্য ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের। সেই পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়, যা সাধারণত ১৭০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়ে থাকে। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়। এ ছাড়াও বাজারে রুই ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-৩০০, পাবদা ৪০০, কার্প জাতীয় মাছ ৩৫০-৩৮০, চাষের শিং ৪০০, চিংড়ি মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, সাগরের পোয়া ৪০০-৬৫০ ও বাইলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭০০ টাকায়।
ভাটারার নতুনবাজারে রফিকুল আজাদ নামের এক ক্রেতা বলেন, সবকিছুর দাম বাড়ার কারণে মাসের খাবার খরচ বেড়েছে। কিন্তু আয় তো বাড়েনি। বাজার করতে এসে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল