ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলের ডাইনিং ও বিভিন্ন দোকানগুলোতে প্রায় ৮ লাখ টাকা বাকি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের। পাঁচটি ছাত্র হল, ক্যাম্পাসে ও প্রধান ফটকের অন্তত ৩০টি দোকানের বাকির হিসাব থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ক্যাম্পাসে থাকাকালে বিভিন্ন সময় চায়ের স্টল, বিভিন্ন মুদি দোকানে ছাত্রলীগ নেতারা বকেয়া রাখতেন বলে অভিযোগ দোকানিদের। বিগত সরকারপ্রধানের দেশত্যাগের আগেই ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা হল ত্যাগ করেন। তারপর আর কেউ হলে ফেরেননি। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ‘লেনদেন সবার জন্যই একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এজন্য ক্যাম্পাসের দোকানগুলোতে যে কারও বাকি থাকতে পারে। আমার আহ্বান থাকবে ছাত্রলীগের কর্মীদের যদি কারও দোকানে বাকি থাকে তাহলে মানবিক দিক বিবেচনায় তারা যেন টাকা পরিশোধ করে দেয়। ইবি স্ন্যাকস রেস্টুরেন্টের পরিচালক এনামুল কবির বলেন, ‘ছাত্রলীগের ছেলেরা আমার কাছে ২ লাখ টাকা বাকি খেয়েছে। টাকা না দেওয়ায় একসময় ক্ষোভে হিসাব রাখা ছেড়ে দিই। এখন লোন নিয়ে দোকান চালু করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’