ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভের পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। আরেকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে ফেরাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দিয়েছে। রবিবারে দু’টি ঘটনাতেই শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর দারুচ্ছুন্নাহ (ডিএস) কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ একরাম হোসেনের অপসারণের দাবিতে দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। এসময় মাদরাসার শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ অভিযোগ করেন, পরীক্ষার ফি দুই-তিনগুন বেশি নিয়ে অধ্যক্ষ আত্মসাত করেছেন। ১৪ বছর যাবত উপাধ্যক্ষ নিয়ে দেওয়া হয়। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। শান্তা আক্তার নামে আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ একরাম হোসেন সব মেয়েদের হিজাব খুলে পড়াশোনা করতে চাপ প্রয়োগ করতেন। অথচ আমি খ্রিস্টানদের একটি স্কুলে পড়াশোনা করে এসেছি। কিন্তু সেখানে পর্দার ব্যাপারে কোন বাধা ছিলনা।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের আব্দুল মোনেম মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমকে জোরপূর্বক করানো কথিত পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে পদত্যাগ প্রত্যাহার চেয়ে একটি স্মারকলিপি দেন তারা। এর আগে একটি প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে জড়ো হন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ১৯ আগস্ট কিছু সংখ্যাক শিক্ষার্থী ও বহিরাগত ছেলেমেয়েদের দিয়ে অধ্যক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক টাইপ করা একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়। যা পদত্যাগপত্র বলে তারা দাবি করে। শিক্ষার্থীরা জানান, এই পদত্যাগ তারা মানেন না।
বিডি প্রতিদিন/এএম