ফেনীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। সোমবার উভয়পক্ষ ফেনী সদর মডেল থানায় দুটি পৃথক মামলা করে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানায়, ১৬ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নজরুল ইসলামের ছোট ভাই মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এতে ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আহসান সুমনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এদিকে, সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আহসান সুমনের বড় ভাই এরশাদ উল্যাহ বাদী হয়ে অপর মামলাটি করেন। এতে সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নজরুল ইসলামসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া রাস্তার মাথা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দু’জন স্থানীয় সংবাদকর্মীসহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। এ সময় চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। গুরুতর আহত সাতজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহ উদ্দিন মামুন বলেন, সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রুহুল আমিন জানান, ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। গ্রেফতার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল ও পাশের কোম্পানীগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে বাহার, আশিকুল ও জাফরসহ তিনজনকে আটক করেছিল। মামলার এজাহারে তাদের তিনজনের নাম থাকায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এলাকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই