বাগেরহাটের শরণখোলায় সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে চলে আসা একটি বন্যশূকরের আক্রমণে গ্রাম পুলিশসহ তিনজন আহত হয়েছেন। আহতরা সম্পর্কে আপন তিন ভাই। গতকাল বিকালে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের তাফালবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বন্যশূকরটি পিটিয়ে মেরে ফেলে।
আহতরা হলেন-তাফালবাড়ি গ্রামের বারেক মোল্লার ছেলে গ্রাম পুলিশ মো. কবির হোসেন মোল্লা (৪৮), ওমর ফারুক মোল্লা (৪৫) ও মাকসুদ মোল্লা (৫০)। আহতদের মধ্যে মাকসুদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য দুজনকে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গ্রাম পুলিশ কবির মোল্লা জানান, তাদের বাড়ি সুন্দরবনের কাছে। এ কারণে সুন্দরবন থেকে প্রায়ই হরিণ, শূকরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী তাদের গ্রামে চলে আসে। অনেক সময় বন্যশূকরের পাল ঢুকে ফসলের ক্ষতি করে। বিকালে তিনি ঘরের সামনের উঠানে সুন্দরবন থেকে আসা একটি বন্যশূকর দেখে তাড়া করেন। এসময় শূকরটি সরে না গিয়ে উল্টো তার দিকে তেড়ে এসে আক্রমণ করে। তার চিৎকার শুনে অন্য দুইজন এগিয়ে এলে শূকরটি তাদেরকেও আক্রমণ করে। শূকরের কামড়ে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। গ্রামবাসীরা ক্ষোভ সামলাতে না পেরে শূকরটি মেরে ফেলে।
শরণখোলা হাপসপাতালের চিকিৎসক ডা. সুদীপ্ত কুমার জানান, বন্যশূকরের আক্রমণে আহত হয়ে তিনজন হাসপাতালে আসেন। এর মধ্যে একজনের আঙুলের হাড় ভেঙে কয়েক টুকরো হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজনকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহবুব হাসান জানান, সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে চলে আসা একটি বন্যশূকরের আক্রমণের খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মৃত বন্যশূকরটি উদ্ধার করে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। লোকালয়ে চলে আসা আর কোনো বন্যপ্রাণীকে হত্যা না করতে সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ে মাইকিং করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই