মাদারীপুর জেলার শিবচরে মা ইলিশ রক্ষায় টাস্কফোর্স কমিটির এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মা ইলিশ রক্ষায় উপজেলা মৎস্য অফিস এবং উপজেলা প্রশাসনের নেওয়া নানা প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, শিবচরের পদ্মানদীর যেসব স্থানে নিষিদ্ধ মৌসুমে ইলিশ বিক্রি করা হয়, সেখানে অস্থায়ী কোনো হাট-বাজার বসতে দেওয়া হবে না। এ সময় জেলেরা যাতে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ইলিশ ধরতে না পারে, সে লক্ষ্যে নদীতে একাধিক টিমের অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। শিবচর, শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ ও সদরপুরের সাথে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনার কথাও উঠে আসে। এছাড়া ইলিশ সংরক্ষণ রোধে শিবচরের সকল বরফকল ২২ দিন বন্ধ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
শিবচর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস ইবনে রহিম বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণে আমাদের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মানদীর যেসব স্থানে ইলিশ ধরা হয়, সেখানে অভিযান চলবে। একাধিক টিম গঠন করে পদ্মার তীরের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। নদীতে ৮ ঘণ্টার দুটি শিফটে টহল এবং সার্বক্ষণিক পাহারার ব্যবস্থা থাকবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল মালেক বলেন, সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমরা বিগত সময়ের তুলনায় এ বছর কঠোর অভিযান চালাবো। পুলিশ, কোস্টগার্ড, র্যাবের পাশাপাশি এবার সেনাবাহিনীও আমাদের সাথে থাকবে। জেলেদের সচেতন করতে মাঠ পর্যায়ে সাধারণ মানুষ এবং জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা হচ্ছে। ছাত্রসমাজও আমাদের সাথে থাকবে। মা ইলিশ রক্ষায় আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করবো।
সভায় উপস্থিত ছিলেন শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকতার হোসেন, চরজানাজাত নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পরিদর্শক) হাবিবুল্লাহসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।
উল্লেখ্য, আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় এবং বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল