প্রজননক্ষম ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান শুরু করেছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। রবিবার (১৩ অক্টোবর) নগরীর কীর্তনখোলা নদীর ডিসি ঘাট থেকে অভিযানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
অভিযানে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরিশাল রিপন কান্তিসহ র্যাব-৮, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং নৌ-পুলিশ অংশ নেয়। দলটি কীর্তনখোলা নদীতে অভিযান করেন।
পরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথিরা মা ইলিশ রক্ষায় করণীয় বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের টাস্কফোর্স উপজেলা প্রশাসনসহ সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করবে। এ সময় আইন ভেঙে ইলিশ শিকার করলে জেল-জরিমানা করা হবে।
তিনি বলেন, 'নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে, যাতে নদীতে কেউ জাল না ফেলে। ইতোমধ্যে প্রকৃত জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে। সেইসাথে বরিশাল জেলায় জেলেদের সংখ্যা বেশি থাকায় যারা এই প্রণোদনা কর্মসূচির বাইরে রয়েছেন, তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
বরিশাল জেলা মৎস্য অফিসের মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল কুমার দাস বলেন, নিষেধাজ্ঞা সফল করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মাইকিং করা হয়েছে, আবার মসজিদ ও মন্দির থেকেও এই বিষয়ে প্রচার চালানোর কথা বলা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ৫৬ হাজার ৭০০ জেলেকে চাল দেওয়া হবে ২৫ কেজি করে মোট ১৪১৭.৫ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে ১৬ হাজার ৫৭৪ জনকে ৪১৪.৩৫ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই চারদিনের মধ্যে বাকিদের দেওয়া হবে।
তিনি জানান, জেলায় ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে অভিযানে মৎস্য, নৌ-পুলিশ নদী ও খালে প্রশাসনের ৪৮টি টিম ও ২৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা