গত কয়েক বছর ধরে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে আশ-পাশ ও নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাজার হাজার মানুষ। বাঁধবিহীন মহারশি নদী মানুষের গলার কাঁটা। সর্বশেষ গত ৩ অক্টোবর দিবাগত রাতের ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির মুখে পড়েছে স্থানীয়রা। বন্যা হলেই নদীর বাঁধ ভাঙা অংশে পানি সম্পদ মন্ত্রালয় প্রকল্প গ্রহণ করে টাকা খরচ করে কিন্তু তাতে ভুক্তভোগীরা সুফল পায়নি। তবে এবার এ সমস্যা সমাধানের অঙ্গিকারে আশার আলো দেখছেন দুর্ভোগের শিকার হওয়া মানুষেরা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) উপজেলার মহারশি নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়া সদর ইউনিয়নের রামেরকুড়া ব্রিজপাড় এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। তিনি বলেন, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি, নদীর বাঁধের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে এসেছি। বন্যার স্থায়ী সমাধান ক্ষতিগ্রস্তরা মহারশি নদীর বাঁধ চেয়েছেন। স্থানীয়দের মতামত এবং আমাদের টেকনিক্যাল টিমের মতামত নিয়ে এই নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা জরুরী। এটা সরকার গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। বাঁধ করতে হবে।
পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনায়েত উল্লাহ, প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান, জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার দিদারুল আলম, পানি উন্নয়ন বোর্ড শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান খাঁন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল, সহকারি কমিশনার (ভুমি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিকসহ জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল