পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি গতকাল নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমার মন্তব্য ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বিকৃত করেছে। বাংলাদেশকে ভুল বোঝানো হয়েছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের সনদ রয়েছে কেউ শরণার্থী হলে তাকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়া উচিত। এটা কি ভুল বলেছি? যখন বলা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন পররাষ্ট্রনীতি ভারত সরকারের বিষয়। তখন তিনি দৃশ্যত ক্রুদ্ধ হয়ে বলেন, আমাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো শেখাবেন না। আমি সাতবারের সংসদ সদস্য এবং পাঁচবারের মন্ত্রী ছিলাম। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো কী, তা আমি জানি।
ভারত সরকার যখন আমাদের বাদ দিয়ে একতরফা তিস্তা এবং গঙ্গার পানি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করে সেটা কী ধরনের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়স্বল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়ে মন্তব্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার প্রতিবাদ লিখিতভাবে পাঠিয়েছে। আমরা বলব ভারতের সংবিধানের সপ্তম তফসিল ও দশম ধারায় স্পষ্ট বলা আছে যে, পররাষ্ট্রনীতি সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন বিষয়। কোনো প্রদেশ কেন্দ্রীয় সরকারের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’ মমতা গতকাল দিল্লি আসেন। রাজ্যের আর্থিক দাবি মেটানোবিষয়ক কেন্দ্রীয় সরকারের বৈঠকে যোগ দিতে মমতা ব্যানার্জি দিল্লি আসেন। ‘ইন্ডিয়া’র অন্যরা বৈঠক বয়কট করলেও মমতা করছেন না। তিনি বলেন, তাঁর সঙ্গে জোটের কেউ আলোচনা করেননি।