কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে সহিংসতায় প্রাণহানি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। গতকাল সংগঠনের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আন্দোলন চলাকালে ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্বৃত্তরা মেট্রোরেল, বিটিভি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিআরটিএ, সেতু ভবনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে। এ ছাড়া বহু ব্যাংক, দোকানপাট, অফিস, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে। দুর্বৃত্তরা নরসিংদীতে কারাগারে হামলা করে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও সব কয়েদিকে বের করে দিয়েছে। এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে এ বিচার প্রক্রিয়ায় নির্দোষ-নিরপরাধ কেউ যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশজুড়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও প্রাণহানিতে মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। আশা করা যায় দ্রুতই সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে এবং কারফিউ উঠে যাবে। কোটা আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণ হয়েছে উল্লেখ করে সমিতির নেতারা বলেন, এখন শিক্ষাঙ্গনগুলোর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।