বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশের মূলধারার গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়কে অবহিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা। তারা জানিয়েছেন, এ ধরনের অপপ্রচারমূলক চিঠি বা তালিকা ভুয়া। এতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন নেতারা।
গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়কে জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে মহলটি কিছু গণমাধ্যমের তালিকা করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন বা সহযোগিতা না করায় তালিকায় উল্লিখিত গণমাধ্যমকে সহযোগিতা না করতে বলছে; চিঠির মাধ্যমে বা কাউকে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে হুমকি দিয়ে বলছে, সহযোগিতা করা হলে অপমান-অপদস্থ কিংবা চাকরিচ্যুত করা হবে। ‘মিডিয়া সতর্কবার্তা’ শিরোনামে প্রচারিত ওই চিঠির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিশ্চিত করেছেন। গতকাল দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ওই চিঠির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া। এর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই।’
আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলমও ফেসবুকে ওই চিঠির ছবি দিয়ে সেটিকে ‘ভুয়া’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে প্রচারিত ‘মিডিয়া সতর্কবার্তা’ শীর্ষক চিঠিটি ভুয়া।
