বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবে স্বৈরাচার বিদায় হয়েছে, তাই মুক্তভাবে কথা বলতে পারছি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে। গতকাল বিকালে গুলশানের একটি হোটেলে দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট রোখসানা খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীও বক্তব্য দেন। সঞ্চালনা করেন আয়োজক বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট রোখসানা খন্দকার। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অভিনয় চন্দ্র সাহা। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দুই মাসে সরকারের সফলতা ব্যর্থতা বলা কঠিন। কিন্তু যেগুলো বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা ছিল তা নির্ধারণ করা দরকার ছিল। বর্তমানে আমরা একটি এলোমেলো পরিস্থিতি লক্ষ্য করছি।
সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবির বলেন, সরকার পতনে যে আন্দোলন ছিল তা ছিল সব মানুষের আন্দোলন। আশার কথা হচ্ছে, দেশের বিদ্যমান সব রাজনৈতিক দল বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, এই সরকার এখনো তেমন কোনো সফলতা দেখাতে পারেনি। পতিত সরকারের প্রেতাত্মারা এখনো রয়েছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক মহাসচিব নুর খান লিটন বলেন, আমরা এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারছি না। অনেকের কথা শুনে মনে হয় পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত তারা দেশ চালাতে চান। বিগত সরকারও এমন ভেবেছিল। দেশে দেদার মামলা চলছে। এসব মামলার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, যা দুঃখজনক। গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, দেশের সব জায়গায় শেখ হাসিনার দোসররা বসে আছে এখনো। এটি কাম্য নয়।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, শেখ হাসিনা নিজেই ইচ্ছা করে কল রেকর্ড বিদেশ থেকে ফাঁস করছেন। তিনি বিদেশে থেকে এখনো ভয় দেখাচ্ছেন।
এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শওকত হোসেন, অধ্যাপক মোস্তফা নাজমুল মনসুর, সাংবাদিক আবু সাইদ খান, সাংবাদিক মাসুদ কামাল, সাংবাদিক আশরাফ কায়সার প্রমুখ।