সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছেন, সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা মামলায় স্পর্শকাতর মানুষ জড়িত। তাদের নাম আসামি হিসেবে বিভিন্ন সময় এসেছে। ফাইলটি খুবই গোপনীয়। একজন-দুজন মানুষ আছেন যারা গোপনে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, একজন রাজসাক্ষী হতে চাচ্ছেন। আমি আশাবাদী রহস্যের উন্মোচন হবে। এটি তদন্তে সরকার একটি উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করেছে। এতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আছেন, যাদের তদন্ত নিয়ে ভালো পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভালো কিছু বের হয়ে আসবে বলে আমরা আশাবাদী। গতকাল বেলা ২টায় সুনামগঞ্জ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলানয়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সাংবাদিক সাগর-রুনী হত্যা মামলার এই আইনজীবী। শিশির মনির বলেন, যেহেতু ১২ বছর অতিক্রয় হয়ে গেছে। কিছু আলামত ধ্বংস হয়ে গেছে। কিছু আলামতের ক্লু পাওয়া গেছে, কিন্তু অরিজিনালটা পাওয়া যাচ্ছে না। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে এগুলোকে কেউ কেউ ধ্বংস করে ফেলেছেন। রহস্য উদঘাটন কিছুটা পসিবল মনে হচ্ছে, বাকিটা বলতে পারছি না, কারণ বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দিতে হবে বলে সরকারের কাছে মতামত দিয়েছি। এই ধরনের আইন কোনো সভ্য-ভদ্র সমাজে থাকতে পারে না। এটি লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার। মানুষের যদি কথা বলার অধিকার না থাকে, সংবিধান স্বীকৃত অধিকার না থাকে তাহলে সাংবাদিকতার মানে থাকে না, বাক স্বাধীনতার মানে থাকে না এবং গণতন্ত্র ক্রিয়াশীল থাকে না।
গণতন্ত্রে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এটি যদি না থাকে তবে সাংবাদিকদের কোনো প্রাণ থাকে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান, নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শামস উদ্দিন, সুনামগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রওনক আহমদ বখত, সুনামগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান পীর, সুনামগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কুলেন্দু শেখর দাস তালুকদার প্রমুখ।