ক্রমহ্রাসমান জন্মহার রাশিয়ার ভবিষ্যতকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে বলে সতর্ক করেছে ক্রেমলিন। তবে ‘বিপর্যয়কর’ জনসংখ্যাগত প্রবণতা পরিবর্তনে ‘কঠোর পরিশ্রম’ করছে দেশটি।
জানা গেছে, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে রাশিয়া জনসংখ্যাগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত জনসংখ্যা, ইউক্রেনের সংঘাতের কারণে পুরুষদের দেশের বাইরে চলে যাওয়া এবং ১৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রজনন হারের কারণে এই জনসংখ্যাগত চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, “এটি এখন ভয়ানক নিম্ন স্তরে-১ দশমিক ৪ (মহিলা প্রতি জন্ম)। এটি ইউরোপীয় দেশ, জাপান ইত্যাদির সাথে তুলনীয়। তবে এটি জাতির ভবিষ্যতের জন্য বিপর্যয়কর।”
তিনি বলেছেন, “যাদের অনেক সন্তান আছে তারা নায়ক। আমরা বিশ্বের বৃহত্তম দেশে বাস করি। অথচ এখানে প্রতি বছর আমাদের জনসংখ্যা কমছে এবং এটি মোকাবিলা করার একমাত্র উপায় হল গড় জন্মহার বৃদ্ধি করা।”
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার সময় রাশিয়ার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৪ কোটি ৮০ লাখ। বর্তমানে দেশটির জন্যসংখ্যা কমে ১৪ কোটি ৪০ লাখে নেমে এসেছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার বড় পরিবারগুলোকে উদারভাবে অর্থ প্রদান এবং বন্ধকী ভর্তুকি দেওয়া সত্ত্বেও সোভিয়েত আমল থেকে দেশটির জন্মহার পুনরুদ্ধার হয়নি। সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/একেএ