আবারও সংঘাত শুরু হয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে। রাজ্যটির জিরিবাম ও বিষ্ণুপুর জেলায় ড্রোন ও রকেট হামলার পাশাপাশি গোলাগুলোর ঘটনাও ঘটেছে। এসব হামলা ও সহিংসতায় ঘটেছে প্রাণহানির ঘটনাও।
এই অবস্থার মধ্যেই মণিপুরে পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুটের চেষ্টা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে মণিপুর রাইফেলস ব্যাটালিয়নের দুটি অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুটের এই চেষ্টা চালানো হয়। তবে অস্ত্র লুট প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়ার দাবি করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু দুষ্কৃতকারী ইম্ফল পূর্ব জেলায় মণিপুর রাইফেলস ব্যাটালিয়নের দুটি অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুটের চেষ্টা চালিয়েছে বলে মণিপুর পুলিশ শনিবার জানিয়েছে। কিন্তু এই অবস্থানগুলোতে মোতায়েন থাকা সম্মিলিত নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ারগ্যাসের শেল এবং ফাঁকা গুলি চালিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার বলেছেন, গত শুক্রবার রাতে কিছু দুষ্কৃতকারী ৭ম এবং ২য় মণিপুর রাইফেলস ব্যাটালিয়ন থেকে অস্ত্র লুট করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সম্মিলিত নিরাপত্তা বাহিনী সফলভাবে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মণিপুর পুলিশ বলেছে, “জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার সময়, দুর্বৃত্তদের কিছু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। পরে যখন রিইনফোর্সমেন্ট পার্টি খাবেইসোইতে স্থাপিত ৭ম ব্যাটালিয়ন থেকে ফিরে আসছিল, তখন দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর গুলি চালালে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়।”
এতে আরও বলা হয়, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাসে মণিপুরে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ার পর সহিংস জনতা মণিপুর পুলিশের অস্ত্রাগার এবং জেলাজুড়ে অন্যান্য নিরাপত্তা পোস্ট থেকে চার হাজারেরও বেশি অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং লক্ষাধিক গোলাবারুদ লুট করেছে।
নিরাপত্তা বাহিনী পরে অভিযান চালিয়ে লুট করা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। সূত্র: এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/একেএ