জাতীয় আওতা-বহির্ভূত সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার সম্পর্কিত ‘মেরিন বায়োডাইভারসিটি অব এরিয়াজ বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন (বিবিএনজে) চুক্তি অনুসমর্থনের অনুলিপি জাতিসংঘে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চ স্তরের চুক্তি ইভেন্টে বৃহস্পতিবার এ অনুলিপি জমা দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এই অনুমোদন সামুদ্রিক বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও নিয়ন্ত্রণ উদ্যোগের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল অঙ্গীকার জোরদার করে।’
এতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক অনুসমর্থনকারী হিসেবে বাংলাদেশ বিবিএনজে চুক্তি দ্রুত কার্যকরের পথ সুগম করতে চায় এবং এর সর্বজনীন ও কার্যকর বাস্তবায়নে সর্বদা নিবেদিত রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, অনুসমর্থনের অনুলিপি জমা দেওয়ায় বাংলাদেশ এখন এ গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিটি অনুমোদনকারী অগ্রবর্তী দেশগুলোর কাতারে সামিল হলো।
জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৩ সালের ১৯ জুন ‘বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি অব এরিয়াস বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন’ (বিবিএনজে) চুক্তিটি গৃহীত হয়, যা গ্লোবাল কমন্সের পরিচালনায় এক যুগান্তকারী অর্জন।
এ চুক্তি জাতীয় এখতিয়ারের বাইরে সামুদ্রিক অঞ্চলে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহারের জন্য আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামো শক্তিশালী করে। এটি বৈশ্বিক অভিন্ন সুশাসনের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী অর্জনের প্রতিফলন।
চুক্তিটিতে স্বচ্ছ পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়নের ওপর জোর দেয়া হয়েছে এবং এটি সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনায় ন্যায়সঙ্গত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।
এ পর্যন্ত বিশ্বের ৬০টি সদস্য রাষ্ট্র এ চুক্তিতে তাদের অনুসমর্থন দিয়েছে। অনুসমর্থন, অনুমোদন, গ্রহণ বা যোগদানের অনুলিপি জমা দেওয়ার ১২০ দিন পর বিবিএনজে চুক্তিটি কার্যকর হয়।
সূত্র : বাসস।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত