মানুষের স্বপ্ন নাকি আকাশছোঁয়া। আসলেই কি তাই? মানুষের স্বপ্নের সীমানা আকাশ পেরিয়ে মহাকাশে পৌঁছতে কতক্ষণ। এবার আকাশ পেরিয়ে যাওয়ার মিশনে নেমেছেন প্রযুক্তিবিদরা। আমাদের খোলা চোখে দেখা শূন্যমন্ডল ভেদ করে মহাকাশযাত্রার আধুনিক ও সাশ্রয়ী পথ খুঁজে বের করেছেন তারা। শুরুটা হয়েছিল বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর ঔপন্যাসিকের কল্পনা থেকে। সেটাই বাস্তবে নামিয়ে আনতে চাইছেন প্রযুক্তিবিদরা। পৃথিবী থেকেই ওপরে উঠে যাবে লিফট। এ লিফটেই মানুষের মহাকাশ যাত্রা পাবে নতুন মাত্রা। স্পেস এলিভেটরের ধারণা মতে, পৃথিবীকে কক্ষপথের সঙ্গে কেবলযোগে সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। ফলে তড়িৎচৌম্বকীয় শক্তির ব্যবহারে মহাশূন্যযান ক্ষেপণ সহজতর হবে। যখন কোনো বস্তু কক্ষপথের বাইরে কেবল দ্বারা সংযুক্ত হবে তখন কেবলের ভরকেন্দ্র থাকবে জিওস্টেশনারি কক্ষপথে। এটি আসলে এমন কক্ষপথ বিষুবরেখার ওপর স্থাপিত একটি স্যাটেলাইট পৃথিবীর ঘূর্ণনের সঙ্গে সংগতি রেখে সব সময় ঘূর্ণায়মান রয়েছে। এটিকে পৃথিবীর অনেকের কাছেই একই জায়গায় স্থির মনে হয়। বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী কেবলের দৈর্ঘ্য হবে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ কিলোমিটার। পৃথিবীর কক্ষপথে এক কিলোগ্রাম ওজনের কোনো কিছু নিতে খরচ পড়ে ২০ হাজার ডলার। বিশ্লেষকরা কিন্তু স্পেস এলিভেটরকে আরও অনেক সাশ্রয়ী মানছেন। স্পেস এলিভেটর ব্যবহার করলে খরচ হবে মাত্র ২০০ ডলার। একাধিক লিফট নির্মাণ করা হলে খরচ আরও কমে দাঁড়াবে কিলোগ্রাম প্রতি মাত্র ১০ ডলার।
সবচেয়ে বড় কথা তখন স্পেস এলিভেটর মহাকাশযাত্রাকে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়ার মতো সাধারণ বিমান ভ্রমণের চেয়ে বড় কিছু হবে না। বর্তমানে কার্বন ন্যানোটিউবে উন্নয়ন সাধনই বিজ্ঞানীদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কার্বন ন্যানোটিউবের উন্নতি সাধন করতে পারলে তার সঙ্গে সাধারণ প্লাস্টিক পলিমার মিশিয়ে তৈরি করা যেতে পারে স্পেস এলিভেটরের কেবল। এ ধরনের লিফট নির্মাণকে মোটেই অসাধ্য মানছেন না প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। থট টেকনোলজি নামের একটি কোম্পানি ইতোমধ্যে প্যাটেন্ট করেছে ১২.৪ মাইল লম্বা এক টাওয়ার।