তারকাখ্যাতি যাদের বিশ্বজোড়া, ভক্তদের কাছে তারা অনুকরণীয় ও অনুপ্রেরণীয়। তাদের গুণে মুগ্ধ হয়েছেন সবাই। ভক্তদের ভালোবাসা আর স্বীকৃতি মিলিয়ে তাদের অর্জনের ঝুলি হয়েছে অনেক ভারী। ক্যারিয়ারের টগবগে সূর্য যখন মধ্য গগনে তখনই তাদের কারও কারও ধর্মকর্ম টেনেছে ভীষণ। নৈতিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে আশ্রয় নিয়েছেন শান্তির ধর্ম ইসলামের ছায়াতলে। বিশ্বের নামকরা অনেক তারকা আছেন ইসলাম গ্রহণ করার সেই দলে। প্রথম সারির তেমন কয়েকজন বিশ্বতারকা নিয়ে আজকের রকমারি আয়োজন।
বক্সার মোহাম্মদ আলী
ক্রীড়া জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হেভিওয়েট হিসেবে খ্যাত মার্কিন পেশাদার মুুষ্টিযোদ্ধা  মোহাম্মদ আলী। তিনবারের ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন এবং অলিম্পিক লাইট-হেভিওয়েট স্বর্ণপদক বিজেতা তিনি। তার অর্জনের তালিকা বেশ দীর্ঘ। স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড এবং বিবিসি ১৯৯৯ সালে  মোহাম্মদ আলীর নাম শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করে। তাই বিশ্বজুড়ে মোহাম্মদ আলীর সুখ্যাতি ছিল অনেক। তিনি খেলার কোটে জয় ছিনিয়ে আনতে যেমন দুর্বার তেমনি মানবিক ধর্মীয় চিন্তা ও নৈতিক মূল্যবোধেও। ১৯৪২ সালের ১৭ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকির লুইসভিলাতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তখন নাম রাখা হয় ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে জুনিয়র। বিশ্ব মানবতার প্রতি জেগে ওঠা মমত্ববোধ ধীরে ধীরে তাকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করে। এর জন্য খেসারতও দিতে হয়েছে অনেক। ১৯৬৭ সালে তার বক্সিং উপাধি কেড়ে নিয়ে জীবনের সেরা সময়ে চার বছর খেলা থেকে বাধ্যতামূলক বিরত রাখা হয়। তারপরও ১৯৭৫ সালে সুন্নি ইসলামে ধর্মান্তরিত হন। নাম ধারণ করেন মোহাম্মদ আলী।
মার্কিন বক্সার মাইক টাইসন
ছোটবেলা ছিল পুরোপুরি ছন্নছাড়া। অভাব-অনটন, ভাঙা পরিবার আর লাঞ্ছিত হওয়া ছিল নিত্যকার ঘটনা। মাঝে মাঝে নিজের ওপর ক্ষুব্ধও হতেন তিনি। কিন্তু কারও কাছে কিছু নালিশ করতে পারেননি, কিছু চাইতেও পারেননি। এমন তিক্ততার অতীত নিয়ে বেড়ে উঠেছেন বিশ্বের সাবেক আমেরিকান হেভিওয়েট বক্সার মাইক টাইসন। ১৯৬৬ সালের ৩০ জুন জন্ম নেওয়া টাইসনের ব্যক্তিজীবন ছিল বহু বিতর্কপূর্ণ। আশির দশকে কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলীর জীবনীমূলক ছবি ‘দ্য গ্রেটেস্ট’ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন টাইসন। তখনই টাইসন ঠিক করে ফেলেন নিজের জীবন বদলে নেবেন মোহাম্মদ আলীর মতো করে। যেই ভাবা সেই কাজ। ১৯৮৫ সালের ৬ মার্চ বক্সিংয়ে টাইসনের অভিষেক হয়। একের পর এক বিশ্বচ্যাম্পিয়নের গৌরব যোগ হতে থাকে তার অর্জনের তালিকায়। সুখ্যাতির সূর্য যখন টগবগে তখনই জড়িয়ে যান এক কেলেঙ্কারিতে। ১৯৯২ সালে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তার নামে। এরপর তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হয় তাকে। সাজা ভোগ শেষে নিজেকে গুছিয়ে নিতে তৎপর হন। নৈতিকতা সাধনে ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন।
অভিনেতা ওমর শরিফ
ক্লাসিক ছায়াছবি ‘লরেন্স অব অ্যারাবিয়া’ ও ‘ড. জিভাগো’ এর নায়কের ভূমিকায় দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য সুপরিচিত ওমর শরিফ। জনপ্রিয়তা এতই যে, ওমর শরিফ এক মাসেই ২৫ হাজারের বেশি বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন বলে শোনা যায়। লেবানি বংশোদ্ভূত এক রোমান ক্যাথলিক পরিবারে তার জন্ম হয়। চলচ্চিত্রে আসেন ১৯৫৪ সালে। ওমর শরিফ তার ক্যারিয়ারে তিনটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার পেয়েছেন। এমনকি অস্কারেও নমিনেশন পেয়েছেন। ২০০৩ সালে তার হাতে ওঠে সেজার পুরস্কার। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে অবদানের জন্য ২০০৫ সালে তাকে ইউনেস্কো আলবার্ট আইনস্টাইন পদকে ভূষিত করে। তার ক্যারিয়ারের তকমায় গোটা বিশ্ব বুঁদ হলেও তিনি বুঁদ হন ফাতেন হামামার প্রেমে। প্রেমিকা মুসলিম হওয়ায় ১৯৫৫ সালে নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তখনই তার নাম হয় ওমর শরিফ।
হিপহপ আইস কিউব
আসল নাম ও’সিয়া জ্যাকসন, কিন্তু সবার কাছে তিনি বর্তমানে পরিচিত আইস কিউব নামে। একজন আমেরিকান র্যাপার, অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে তিনি সর্বাধিক পরিচিত। তার ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু হয় হিপহপ গ্রুপ সিআইএ-এর সদস্য হিসেবে। এর কিছুদিন পর এনডব্লিউএতে তিনি যোগ দেন। এর কিছুদিন পর ১৯৮৯ সালের ডিসেম্বরে এই দলটিও ত্যাগ করে একক ক্যারিয়ার শুরু করেন মিউজিক অ্যান্ড ফিল্ম নিয়ে। এত এত দক্ষতার কারণে বিশ্ব মিডিয়ায় তার গুরুত্বও অনেক বেশি। ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানের একটি সাক্ষাৎকারে আইস কিউব নিজেকে একজন মুসলিম হিসেবে দাবি করেন। জানান, ১৯৯০ সালে নিজের ধর্ম পরিবর্তন করেছেন। নিজস্ব বিশ্বাস থেকেই ধর্মান্তরিত হওয়া। সব সময় উল্লেখ করেছেন, ‘আমি একজন সাধারণ মুসলিম’।
তুখোড় রাজনীতিক ম্যালকম এক্স
ম্যালকম এক্স-এর জন্ম ১৯২৫ সালের ১৯ মে। একজন আফ্রিকান-মার্কিন তুখোড় মুসলিম রাজনীতিবিদ ও ধর্মীয় নেতা হিসেবে ব্যাপক পরিচিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের মানবাধিকার আদায়ে অন্যতম ভূমিকায় ছিলেন। অথচ এই ম্যালকমই বোস্টন এবং নিউইয়র্ক শহরে থাকাকালে বেশ্যাবৃত্তি, ছিনতাই এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৪৬ সালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ছয় বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়। বন্দীকালে ম্যালকম শিয়া ইসলামে ধর্মান্তরিত হন। নিজের নাম ম্যালকম লিটল থেকে বদলে ম্যালকম এক্স রাখেন। তারপর ইসলামী দল ‘নেশন অব ইসলাম’ এর সদস্য হন। তিনি দলটির প্রধান মুখপাত্র হিসেবে নিযুক্ত হন। অন্তত ১২ বছরের জন্য ম্যালকম এক্স নেশন অব ইসলামের সদস্য হিসেবে প্রচারমাধ্যমে জনতার মধ্যে পরিচিত ছিলেন। নেশন অব ইসলামের প্রধান এলাইজাহ মোহাম্মদের সঙ্গে ম্যালকম এক্স-এর বিবাদ সৃষ্টি হলে তিনি ম্যালকম এক্স নেশন অব ইসলাম থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর ম্যালকম এক্স সুন্নি ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়ে মক্কায় হজ করেন। তখন থেকে তিনি জাতিভেদ ভুলে একটি ইসলামী দল, মুসলিম মস্ক এবং সব আফ্রিকান-মার্কিনিদের জন্য একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দল, অর্গানাইজেশন অব আফ্রো-আমেরিকান ইউনিটি প্রতিষ্ঠা করেন।
পপ তারকা জ্যানেট জ্যাকসন
পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের বোন জ্যানেট জ্যাকসন। তার রগরগে আবেদনময়ী গানের জন্য বিশ্ববাসী একটি বিশেষ দৃষ্টিতেই চিনত। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই পরিচয়ে তিনি নিজেই ছেদ ঘটান। ভক্তদের কাছে চির পরিচিত এই জ্যানেট জ্যাকসন বদলে গেলেন খুব অল্প সময়ে। নিজের ধর্মকে বদলে নিজেকে মুসলিম ধর্মানুসারীর দলে অন্তর্ভুক্ত করেন। এর পেছনে অবশ্য অন্য একটি কারণ রয়েছে। আর সেই কারণ হলো, একটি মুসলিম পরিবারের বউ হওয়া। ২০১২ সালে তিনি কাতারের মুসলিম বিলিয়নিয়ার উইসাম আল মানা নামের একজনকে বিয়ে করেন। স্বামীর ধর্ম ইসলাম হওয়ায় নিজেও ধর্মকে বদলে নেন। আর ধর্মীয় পরিপন্থী হয় এমন কাজও ত্যাগ করেন একে একে। প্রতিটি গানের ভিডিও, কনসার্ট বা শোতে তাকে দেখা গেছে রগরগে পোশাকে। এরই সঙ্গে উন্মত্ত নাচ আর অঙ্গভঙ্গির জন্য সর্বমহলে তিনি আলোচিত ছিলেন। নতুন ধর্মান্তরিত হয়ে তিনি ভিন্ন রকম এক আনন্দও পেয়েছেন বলে খবর বের হয়। নতুন ধর্মের মধ্যে জ্যানেট তার আপন ঘর খুঁজে পান। তার পরিবার ও বন্ধুরা সবাই জ্যানেটের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানান। ইসলাম গ্রহণের পর জ্যানেট অনেকটা সময় ধরে ইসলাম এবং অনুসারীদের নিয়ে পড়াশোনায় ব্যয় করেন। অশালীন ভঙ্গিতে নাচ ও যৌন আবেদনময় গানের কথা এখন তার জন্য অতীতের বিষয়।
সুরের জাদুকর এ আর রহমান
সুরের জাদুকর এ আর রহমানের সুরের ভক্ত নয়, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। এই সুর সম্রাট ১৯৬৭ সালে ৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন চেন্নাইয়ের এক শৈব হিন্দু পরিবারে। রহমানের বাবা সুরকার আর কে শেখর তার নাম রেখেছিলেন আর এস দিলীপ কুমার। ১৯৮৮ সালে তার বয়স যখন ২১ বছর সে সময় তার বোন কঠিন এক অসুখে আক্রান্ত হন। জানা যায়, সে সময় আবদুল কাদের জিলানী নামে এক মুসলিম পীরের দোয়ায় তার বোন আশ্চর্যজনকভাবে সুস্থ হয়ে যান। এরপরই রহমানের গোটা পরিবার ইসলামের প্রতি ঝুঁকে যায়। গ্রহণ করেন ইসলাম। এস দিলীপ কুমারের নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় আল্লা রাখা রহমান। ১৯৯২ সালে মণিরত্মম পরিচালিত এক কফির বিজ্ঞাপনে জিঙ্গেল গেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। এরপর থেকে তাকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ২০১৪ সালে এই গানের রাজা ৪টি জাতীয় পুরস্কার, ১৫টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন। সে বছর ১৩৮টি নমিনেশনের মধ্যে ১১৭টিতেই পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন রহমান। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে তিনিই প্রথম এক বছরে দুটি অস্কার জিতেছিলেন। এ আর রহমানের নামে কানাডার মরখমে একটি রাস্তাও রয়েছে।
ক্রিকেটার ইউসুফ ইয়োহানা
পাকিস্তানের প্রথিতযশা সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ ইয়োহানা বা মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন  ১৯৭৪ সালের ২৭ আগস্ট। পাকিস্তান জাতীয় দলের ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বের কাছে তার সুখ্যাতি ছিল। ২০০৫ সালে তিনি খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। নিম্ন শ্রেণিভুক্ত হিন্দু বাল্মীকি গোত্রে জন্মগ্রহণ করে যারা পরবর্তীতে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি তাদের দলে ছিলেন। বাবা ইয়োহানা মাসেহ ছিলেন একজন রেলস্টেশনের কর্মী। ১২ বছর বয়সে গোল্ডেন জিমখানা দলের দৃষ্টিতে পড়েন ও ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। লাহোরের ফরম্যান ক্রিস্টিয়ান কলেজে অধ্যয়ন করে সেখানেই ১৯৯৪ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত খেলতে থাকেন। এক সময় তিনি ভাগ্যান্বেষণে ভাওয়ালপুরে রিকশাও চালিয়েছেন। ১৯৯৮ সালের ২৮ মার্চ হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন। ওডিআইয়ে ৪০-এর অধিক গড়ে ৯ সহস্রাধিক রান করেন যা বিখ্যাত ব্যাটসম্যান জহির আব্বাসের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড় হয়। ২০০২ এবং ২০০৩ সালে ধারাবাহিকভাবে বিশ্বের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ছিলেন তিনি।
রূপের রানী শর্মিলা ঠাকুর
একজন বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী রূপের রানী শর্মিলা ঠাকুর। তার প্রথম সিনেমা সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় অপুর সংসার। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম সুন্দরী এই অভিনেত্রী। সে সময়কার গুটিকয়েক নায়িকার মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম সৌন্দর্য ও আবেদনময়ী। অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর ১৯৪৬ সালে এক হিন্দু সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা গীতিন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের সন্তান। শর্মিলা ঠাকুর লেখাপড়া করেন ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। সিনেমাপ্রেমীদের অসংখ্য মনোমুগ্ধকর সিনেমা উপহার দেন তিনি। তার ক্যারিয়ারের এই জোয়ার বুঝতে বাকি থাকে না কারও। কিন্তু পরবর্তীতে ভালোবাসার টানে নিজ ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি বিখ্যাত ক্রিকেটার মনসুর আলী পতৌদিকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে তার নাম রাখা হয় আয়েশা বেগম। বিয়ের পর সংসারের টানে স্বভাবতই সিনেমা জগতে তার দাপট সংকুচিত হয়ে আসে। তবু অভিনয় দক্ষতার সম্মান কমে না। ২০১৩ সালে তিনি ভারত সরকারের কাছ থেকে পদ্মভূষণ পুরস্কারে ভূষিত হন। তার ছেলে সাইফ আলী খান হিন্দি সিনেমার সফল নায়ক ও মেয়ে সোহা আলী খান অভিনেত্রী।
 
                         
                                     
                                                             
                                     
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                        