বরগুনা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কালিরতবক গ্রামে বিধান সরকার নামের এক গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার গভীর রাতে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করার পর ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয় বলে দাবি স্বজনদের।
মারা যাওয়া ওই শিক্ষার্থী কালিরতবক গ্রামের মামুন মুছুল্লীর ছেলে বায়েজিদ। সে আমতলী উপজেলার চরকগাছিয়া জিনিয়া মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
জানা গেছে, প্রচণ্ড জ্বরের কারণে মামুন মুছুল্লী ছেলেকে নিয়ে বিধান সরকারের কাছে আসেন। বিধান সরকার রোগীর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করেন। ওই অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের কিছুক্ষণ পর বায়েজিদের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার দুইদিন আগেও বিধান সরকারকে চিকিৎসক পরিচয় দেওয়ার অপরাধে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তিনি আর কখনো রোগী দেখবেন না বা প্রেসক্রিপশন লিখবেন না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে কালিরতবক গ্রামের সন্তান ও শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের মেডিকেল অফিসার এসএম শামসুল আরেফিন, এটি একটি অপচিকিৎসা। কী করে একজন জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে পরীক্ষা ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া হলো? এটা ভাবাই যায় না।
এদিকে, অভিযুক্ত বিধান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার সিম নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জগলুল হাসান জানান, এ ঘটনায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ