রাজনৈতিক দল নিবন্ধন কার্যক্রমে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিবেদন তৈরিতে সাত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ সোমবার ইসির জনবল ব্যবস্থাপনা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমান এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেন।
আদেশে বলা হয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দল থেকে প্রাপ্ত আবেদনগুলো আইনবিধি মোতাবেক সুচারুরূপে সন্নিবেশ ও যাচাই-বাছাইয়ের আগে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়ার জন্য সাত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হাসান ভূঞা, বাজেট ও ফাইন্যান্স শাখার সিনিয়র সহাকারী সচিব মো. শামসুল হক ফৌজদার ও আরাফাত আরা, এনআইডি অনুবিভাগের সহকারী পরিচালক মুহা. সরওয়ার হোসেন, সংস্থাপন-২ শাখার সহকারী সচিব আফরোজা পারভীন, সহকারী সচিব আরাফাত আল হোসাইনী ও সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক।
অফিস আদেশে তাদের কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, ওই কর্মকর্তারা নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য প্রাপ্ত আবেদনগুলো যাচাইয়ের লক্ষ্যে যাচাই-বাছাইকারী কর্মকর্তাদের পাঠানো চেক লিস্ট/প্রশ্নমালা অনুযায়ী যাচাই-বাছাইয়ের আগে প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেশনসহ প্রতিবেদন তৈরি করবেন এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন (সফট কপি ও হার্ড কপিসহ) নির্বাচন সহায়তা শাখার উপ-সচিবকে দেবেন।
২২ জুন ছিল রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আবেদনের শেষ সময়। এদিন পর্যন্ত মোট ১৪৭টি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। যাচাই-বাছাইকারী কর্মকর্তারা রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনানুযায়ী যাচাই-বাছাই করবেন। এরপর তাদের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর তদন্ত করা হবে। তদন্তে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলো নিয়ে দাবি-আপত্তি আহ্বান করবে ইসি। আপত্তি থাকলে শুনানি করে নিষ্পত্তি হবে। আর আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলকে নিবন্ধন দেওয়া হবে।
আইনানুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলগুলোর একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয়াংশ জেলা ও ১শ’টি উপজেলা কমিটি, কার্যালয় ও ২শ ভোটার সমর্থক থাকতে হয়। এ ছাড়া আগে কোনো নির্বাচনে দলটির নির্বাচিত কোনো সদস্য থাকলে ও কোনো নির্বাচনে কমপক্ষে পাঁচ শতাংশ ভোট পেলে নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য হিসেবে ধরা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য কিছু শর্তপূরণ করতে হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ