শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ভারতের আধ্যাত্মিক জগতের সম্রাটরা

ভারতীয় উপমহাদেশে সুফি সাধক পীর আউলিয়ার মাধ্যমেই ইসলামের প্রচার ও প্রসার হয়েছে। এই উপমহাদেশে কত মুজাদ্দিদ, আউলিয়া-মাশায়েখ, ফিকহ, ইমাম ওলামায়ে কেরামের জন্ম হয়েছে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই কারও কাছে। তবে অনেক আউলিয়া মাশায়েখ শত শত বছর ভক্তকুলের কাছে ঠিক একই রকম অবস্থান ধরে রেখেছেন। শত শত বছর পেরিয়ে গেলেও এসব পীর-আউলিয়া জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন। ভারতের কয়েকজন পীর-আউলিয়াকে নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন
মুহাম্মদ সেলিম, ভারত থেকে ফিরে
প্রিন্ট ভার্সন
ভারতের আধ্যাত্মিক জগতের সম্রাটরা

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.)

দক্ষিণ এশিয়ার বিখ্যাত সুফি-সাধকের একজন খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.)। যিনি খাজা বাবা নামেই অধিক পরিচিত। যাকে ‘সুলতান-উল হিন্দ’ নামেও অভিহিত হয়। খাজা মঈনুদ্দীন (রহ.) ভারতীয় উপমহাদেশে চিশতিয়া ধারা প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচিত করেন। ভারতে চিশতিয়া ধারার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক ধারা পরবর্তীতে তার খলিফা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকি, নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.), বাবা ফরিদসহ অন্যান্য খলিফা এ ধারাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়।

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.) মধ্যে এশিয়া খোরাসানের সানজার নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ খাজা গিয়াস উদ্দিন এবং মাতার নাম সৈয়দা উম্মুল ওয়ারা মাহেনূর। তিনি পিতার দিক দিয়ে হজরত আলী (রা.) এবং মাতার দিক দিয়ে হজরত ফাতেমা জোহরা (রা.) বংশধর। তিনি বংশে হাসানী-হোসাইনী আওলাদে রসুলের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অশেষ সৌভাগ্যের অধিকারী।

খাজা গরিবে নেওয়াজ পিতার কাছ থেকে   প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। মাত্র নয় বছর বয়সে তর্জমাসহ পবিত্র কোরআন শরিফ হেফজ করেন। পিতার সার্বিক তত্ত্বাবধানে কোরআন, হাদিস, ফিকহ, উসুল, তাফসির, আরবি সাহিত্য-ব্যাকরণ, মানতিক, হিকমত দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে অসামান্য জ্ঞান অর্জন করেন। সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য পাওয়ার জন্য তিনি অজানা উদ্দেশ্যে বের হন। আল্লাহর ধ্যানে ব্যাকুল হয়ে তিনি দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। বুখারা, ইরাক, নিশাপুর প্রভৃতি জায়গায় যেখানে অলি বুজুর্গ, দরবেশের সন্ধান পান, সেখানেই অবস্থান নিয়ে ইলমে মারেফত অর্জনে সফর অব্যাহত রাখেন। এক সময় বোখারা থেকে নিশাপুরে চলে আসেন। সেখানে যুগশ্রেষ্ঠ অলি হজরত ওসমান হারুনী (রহ.) তাকে খিলাফত প্রদান করেন। তখন থেকেই তাঁর আধ্যাত্মিক সাধনার শুরু। তাঁর জীবনীগ্রন্থ থেকে জানা যায়, প্রায় বিশ বছর তিনি পীরের খেদমত করে নিজের আধ্যাত্মিকতার উৎকর্ষ সাধন করেন।

এক সময় খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.) ভারতের আজমীরে আসেন ইসলাম প্রচার করতে। তাদের কাফেলা অবস্থান নেয় ‘আনা সাগর’ নামে একটি বিশাল হ্রদের পাশে। আনা সাগরের পাশেই ছিল অসংখ্য মন্দির। আনা সাগরের পানি শুধু উচ্চ বর্ণের হিন্দু ও পুরোহিতগণ ব্যবহার করতে পারতেন। একদিন মঈনুদ্দিন চিশতির (রহ.) শিষ্য মোহাম্মদ সাদি আনা সাগরে অজু করতে যান। এ সময় পুরোহিতরা তাকে অপমান করেন। পরে ওই শিষ্য সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করলেন খাজা মইনুদ্দীন চিশতির (রহ.) কাছে। তখন তিনি হজরত খাজা মোহাম্মদ সাদীকে আনা সাগর থেকে একঘটি পানি আনার নির্দেশ দিলেন। নির্দেশ মতো মোহাম্মদ সাদী আনা সাগর থেকে একঘটি পানি আনতেই দেখা গেল সব পানি উধাও। পরে এ ঘটনার জন্য বাধ্য হয়ে রাজা পৃথ্বীরাজ ও তার অনুসারীরা ক্ষমা চাইলে আনা সাগরের পানি আগের পরিস্থিতি ফিরে আসে। এরকম হাজারো কেরামত রয়েছে যুগ শ্রেষ্ঠ অলি মঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.)।

৬৩৩ হিজরির ৫ রজব দিবাগত রাতে হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.) ইন্তেকাল করেন। তখন তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ওফাতের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পবিত্র কপাল শরিফে স্পষ্টভাবে স্বর্ণোজ্জ্বল আরবিতে লেখা ওঠে। যার বাংলা অর্থ- ইনি আল্লাহর বন্ধু আল্লাহর মুহব্বতেই তিনি রিছালত লাভ করেছেন।’

 

মুজাদ্দিদে আলফেসানি (রহ.)

যখন সমাজ কুসংস্কার ও অন্ধকারে পতিত হয় তখন একজন মুজাদ্দিদের আবির্ভাব ঘটে। যারা সমাজ সংস্কারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এমন একজন মুজাদ্দিদ হচ্ছেন ইমামে রাব্বানি মুজাদ্দিদে আলফেসানি (রহ.)। যার আসল নাম হচ্ছে শায়খ আহমেদ। ৯৭১ হিজরিতে ভারতের পাঞ্জাবের শেরহিন্দে (রহ.) জন্মগ্রহণ করেন। মুজাদ্দিদে আলফেসানির জন্মের কথা ছয়শ বছর আগেই ওই এলাকার প্রখ্যাত অলি হজরত সৈয়দ মোহাম্মদ ইসমাইল বন্দেগি (রহ.) জেনেছিলেন। তখন তিনি সৃষ্টিকর্তার কাছে মুজাদ্দিদ আলফেসানি (রহ.) সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আগ্রহ প্রকাশ করে দীর্ঘ হায়াত দিতে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করে সাড়ে ছয়শ বছরের হায়াত দেন। ১০৭৭ হিজরিতে আলফেসানির (রহ.) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইন্তেকাল করেন ইসমাইল বন্দেগি (রহ.)।

মুজাদ্দিদে আলফেসানি (রহ.) শিশু বয়সেই কোরআন হেফজ করেন। শেরহিন্দের বিখ্যাত আলেমদের কাছ থেকে ধর্মীয় শিক্ষা নেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি জাহেরি (প্রকাশ্য) ও বাতেনি (অপ্রকাশ্য) জ্ঞানের ভা-ারে পরিণত হন। এরপর দ্বীন শিক্ষা দেওয়ার কাছে নিয়োজিত করেন নিজেকে। তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা নিতে হাজির হন হাজার হাজার ভক্ত। মুজাদ্দিদে আলফেসানির (রহ.) পূর্ব পুরুষগণ ছিলেন মারিফাতপন্থি। তাই ইলমে মারিফত অর্জনের বিষয়টা ছিল বংশগতভাবে প্রাপ্ত। তিনি কাদেরিয়া তরিকার শ্রেষ্ঠ অলি হজরত শাহ সিকান্দারের (রহ.) কাছে খিলাফত লাভ করেন। সে সময় ‘কুবারিয়া’ তরিকা খুবই প্রসিদ্ধ ও প্রসার ছিল। হজরত মাওলানা ইয়াকুব (রহ.) ছিলেন ওই তরিকার বিখ্যাত অলি। মুজাদ্দিদ আলফেসানি (রহ.) তাঁর কাছ থেকেও খিলাফাত লাভ করেন। মুজাদ্দিদ আলফেসানি (রহ.)-এর পিতা শায়খ আবদুল আহাদের মৃত্যুর আগে পুত্রকে বাতেনি শক্তি দান করে তার স্থলাভিষিক্ত করে যান। সে সময় প্রচলিত সমস্ত তরিকার কামালিয়াত হাসিন করেন। পিতার নির্দেশমতো নকশাবন্দিয়া তরিকার পরবর্তীকালে কামালিয়াত হাসিল করে ইলমে মারিফাতের মহাসাগরে পরিণত হন। 

প্রচলন রয়েছে মুজাদ্দিদ আলফেসানি (রহ.) হজ ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করার ইচ্ছা শোষণ করেন। কিন্তু নানান কারণে তাঁর মনোবাসনা পূরণ হয়নি। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তখন আল্লাহর নির্দেশে পবিত্র কাবা শেরহিন্দ শরিফে চলে আসে। তখন আলফেসানি (রহ.)-এর খানকা শরিফের কূপগুলো জমজমের পানিতে ভরে যায়। তার খানকা শরিফের জমিকে বেহেশতি জমির মর্যাদা দেওয়া হয়। এখনো শেরহিন্দ শরিফের মসজিদের জমজমের পানির উৎস্য বিদ্যমান রয়েছে। এ ছাড়া কথিত আছে আলফেসানির (রহ.) দরবারে মদিনা মনওয়ারার রসুল পাক (সা.)-এর রওজা শরিফের কিছু মাটি আছে যে মাটি নুহ (আ.)-এর তুফানের সময় মদিনা মুনওয়ারা থেকে এ শেরহিন্দ শরিফে আসে।

 

হজরত নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.)

হজরত নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.) ছিলেন ভারতের সর্বশ্রদ্ধেয় আউলিয়াদের একজন। যাঁকে সবাই সুলতানুল মশায়েখ এবং মাহবুবে ইলাহি নামে ডাকতেন। তিনি চিশতিয়া তরিকার মহান সুফি সাধকদের একজন ছিলেন। তার পূর্বসূরিদের মধ্যে হজরত ফরিদ গাঞ্জশাকার, হজরত বখতিয়ার কাকি এবং গরিবে নেওয়াজ হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.)-এর ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের চিশতিয়া তরিকায় আধ্যাত্মিক সিলসিলা। দানশীলতা, অতিথি পরায়ণতা, ধর্মপরায়ণতা এবং সরলতায় তিনি ভারতের অন্য সব সুফি সাধককে ছাড়িয়ে গেছেন। তাঁর অনেক শিষ্য ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ, বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ধর্ম প্রচার করেছেন। বেঁচে থাকা অবস্থায় হাজার হাজার ভক্ত হজরত নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.)-এর দরবারে আসত মনোবাসনা পূরণের আশায়। এখনো প্রতি বছর লাখো অনুসারী লাখো ভক্তের আগমন ঘটে নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.)-এর মাজারে। মুসলিম ছাড়া, হিন্দু, শিখ ধর্মের অনুসারীরা বার্ষিক ওরশে অংশগ্রহণ করেন। সমবেত ভক্তরা মাজারে ফুল এবং মাজার চত্বরে কাউয়ালি গেয়ে নিজেদের মনোবাসনা পূরণের আর্জি দেন। নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.)-এর ৬০০-এর বেশি খলিফা ছিলেন। যাদের বিশ্বজুড়েই সুপরিচিতি রয়েছে। তাঁর বিখ্যাত খলিফাগণের মধ্যে রয়েছেন নাসিরুদ্দিন চিরাগ দেহলভি, আমির খসরু, রোরহানুদ্দিন গরিব, আখি সিরাজ আয়নায়ে হিন্দ, জালালুদ্দিন ভান্ডারী, সৈয়দ মাহমুদ কাশকিনাকার, আজান ফকির অন্যতম। নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.) শিশুকালেই বাবাকে হারান। তিনি ও তাঁর মাতা অভাব অনটনের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করতেন। তাই মাসের বেশির ভাগ সময় তাঁদের পরিবারে অভুক্ত হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো। যে দিন তাদের ঘরে কোনো কিছু থাকত না তখন মাতা বিবি জুলায়খা সন্তান নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.)-কে বলতেন, ‘আজ আমরা আল্লাহর মেহমান।’ এ কথা নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.)-এর খুবই পছন্দ হতো। যখন ঘরে নিয়মিত রান্না হতো তখন নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.) মাকে জিজ্ঞাসা করতে আমরা কখন আল্লাহর মেহেমান হব। হজরত নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.)-এর কেরামত ছোঁকাল থেকেই প্রকাশ পেতে থাকে। ছোট বেলায় নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.) খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকীর (রহ.) মাজার জেয়ারত করতে যান। মাজারে তিনি এক মজজুব ব্যক্তির সাক্ষাৎ পান। তিনি দেখেই নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.)-এর কাছে দোয়া চাইলেন। যাতে তিনি কাজির পদ লাভ করেন। তখন ওই ব্যক্তি বলেন, হে নিজামুদ্দীন তুমি কি কাজি হতে ইচ্ছা কর? আমি তোমাকে দেখছি, তুমি ধর্ম বিশারদ এক বাদশা। তুমি এমন স্তরে পৌঁছে যাবে, যেখান থেকে বিশ্ববাসী তোমার কাছ থেকে ফয়েজ লাভ করে ধন্য হবে।

 

হজরত আমির খসরু (রহ.)

ভারতের সুফি সাধকের অন্যতম ছিলেন হজরত আমির খসরু (রহ.)। যার আসল নাম ছিল আবুল হাসান ইয়ামিন আল-দিন মাহমুদ। ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংগীতজ্ঞ ছিলেন তিনি। একাধারে ছিলেন কবি, দার্শনিক এবং গায়ক। এ সুফি সাধককে ‘তুত-ই হিন্দ’ বা ভারতের তোতাপাখি হিসেবে ডাকা হয়। তাঁর হাত ধরেই ভারতীয় উপমহাদেশে গজল সংগীত ও কাব্যের প্রচার ও প্রসার হয়।

সংগীত সম্রাট আমির খসরু (রহ.) ছিলেন বিখ্যাত অলি ও দরবেশ হজরত নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.)-এর অন্যতম শিষ্য। মৃত্যুর আগে নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.) ভক্তদের প্রতি নির্দেশ নিয়ে যান আমির খসরুকে যেন তাঁর পাশের কবর দেওয়া হয়। ১৩২৫ খ্রিস্টাব্দে হজরত নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.) যখন মৃত্যুবরণ করেন তখন মাজারের পাশে গিয়ে বিলাপ করতে থাকেন আমির খসরু (রহ.)। এভাবে টানা ছয় মাস কান্না করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.)-এর পাশের কবরে শায়িত করা হয় প্রিয় শিষ্য আমির খসরু (রহ.)-কে। মাত্র আট বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.)-এর দরবারে যান বালক আমির খসরু। কিন্তু তিনি দরবারের ভিতর প্রবেশ না করে বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। তখন বালক আমির খসরু গুনগুন করে একটি কবিতা আবৃত্তি করছিলেন। আধ্যাত্মিক শক্তির মাধ্যমে কবিতা শুনতে পেয়ে নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.) পাল্টা কবিতা পাঠ আবৃত্তি বালক আমির খসরুকে অভিবাদন জানাতে দরজায় এগিয়ে আসেন। তখন বালক আমির খসরু বুঝতে পারেন তিনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এরপর আমির খসরু নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.)-এর প্রিয় শিষ্যে পরিণত হন। নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহ.)-এর দরবারে কাউয়ালি গজল গাইতেন আমির খসরু। ভারতের অন্যতম এ সুফি সাধক অসংখ্য কিতাব রচনা করেন। তাঁর লেখা কিতাবের মধ্যে রয়েছে- খাজিনাউল ফুতুহ, ওয়াসতুল হায়াত, ঘুররাতুল কামাল, খামসা-ই-খসরু, সাকিনা, দুভাল রানি, বাকিয়া নাকিয়া, নুহ সিপার, ইজাজ-ই-খসরু, আফজাল উল-ফাওয়াইদ, তুঘলক নামা, নিহায়াত উল-কালাম অন্যতম। হজরত আমির খসরু (রহ.) ভারতীয়, আরবি এবং ইরানি সংগীতকে সমন্বয় করে নতুন সংগীত ধারা সৃষ্টি করেন। যা সংগীতজগতে উত্তর ভারতীয় উচ্চাঙ্গসংগীত হিসেবে খ্যাতি পায়। আর কাউয়াল হচ্ছে আমির খসরু (রহ.) উদ্ভাবিত সংগীত ধারা। তাই তাকে কাউয়ালির জনক বলা হয়। ‘তারানা’ সংগীত ধারা আমির খসরু (রহ.)-এর নিজস্ব আবিষ্কার। এটি হলো এক প্রকার শ্রুতিমধুর এবং দ্রুতগতির উচ্চাঙ্গসংগীত। তিনি অসংখ্য নতুন রাগ, তাল ও সংগীত যন্ত্র আবিষ্কার করেন।

 

হজরত খাজা বু-আলি শাহ কালান্দার (রহ.)

ভারতীয় উপমহাদেশে যে কয়জন সুফি সাধক ইসলাম প্রচার করেছেন তাদের একজন হচ্ছে হজরত খাজা বু-আলি শাহ কালান্দার (রহ.)। তিনি ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর বংশধর ছিলেন। তাঁর আসল নাম ছিল আলাউদ্দিন। রূপক নাম আবু আলি। তবে তিনি সবার কাছে বু-আলি কালান্দার (রহ.) নামে পরিচিত ও প্রসিদ্ধ ছিলেন। জন্মের পর থেকে খাজা বু-আলি শাহ কালান্দার (রহ.)-এর মধ্যে স্রষ্টার প্রতি প্রেম ও সুফি চেতনা প্রকাশ হতে থাকে। প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য তাঁকে পানিপথ শহরে পাঠান পরিবার। প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ শেষে তিনি চলে যান দিল্লি। ওখানে তৎকালীন সময়ের শ্রেষ্ঠ অলি শাহ কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকির খলিফা হজরত শাহ শায়েখ শাহাবউদ্দিন, ইমাম ফখরউদ্দিন রাজি শাগরেদ মাওলানা নিজামুদ্দীন মুশকি, মাওলানা রোকনউদ্দীন সামনির কাছে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি সারা জীবন নিয়োজিত ছিলেন ইসলামের প্রচার এবং প্রসারে। আজীবন প্রচার করেছেন ইসলামের মর্মবাণী। তিনি হজরত আলি (রা.)-এর কাছ থেকে ইলমে লাদুনির মাধ্যমে জ্ঞানার্জন করতেন বলেই বু-আলি (রহ.) নামে পরিচিত ছিল। বু-আলি নামের অর্থ হচ্ছে আলীর সুগন্ধ। তার অনুসারীরা চিশতিয়া কালান্দরিয়া (রহ.) নামে পরিচিত। তিনি লিখেছেন অসংখ্য কিতাব। তাঁর লিখা কিতাবসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রিসালায়ে ইসরারে আশেকিন, রিসালায়ে সির ইশক, রিসালায়ে সুলুক, রিসালায়ে ইশকিয়াহ, রিসালায়ে হুকুমানহ, রিসালায়ে হাক্কাকে কলমায় তাইয়্যেবা, দিওয়ানে খাজা বু-আলি শাহ কালান্দার, গুলে বুলবুল, আরেফে শাহে কামাল অন্যতম। হজরত খাজা বু-আলি শাহ কালান্দর (রহ.) ১৩২৪ সালে করনালে ইন্তেকাল করেন। এরপর তাঁকে ওখানে দাফন করা হয়। কিন্তু ভক্ত ও শিষ্যরা মাজার পানিপথে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়। উদ্যোগের অংশ হিসেবে কবর খুঁড়লে তাঁর লাশ অক্ষত ও জীবন্ত মানুষের মতো দেখতে পান। তখন তাঁর কাফনের কাপড়ে কোনো প্রকার মাটির চিহ্ন ছিল না। যা দেখে আশ্চর্য হন ভক্তরা। এরপর তাঁর লাশ উত্তোলন করে হরিয়ানার পানিপথে নিয়ে আসা হয়। মহান এ সাধককে নিয়ে অনেক উপাখ্যান প্রচলিত রয়েছে। যার মধ্যে একটি হচ্ছে- তিনি ৩৬ বছর কার্নাল নদীর পানিতে দাঁড়িয়ে সাধনা করেন। এক সময় হজরত মুহাম্মদ (সা.) এসে তাঁকে বু-আলি উপাধি দান করেন। এ উপাধি পাওয়ার পর অনেক সুফি সাধক তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন।

 

হজরত আহমদ রেজা খান বেরলভি (রহ.)

ভারতীয় উপমহাদেশে জনপ্রিয় সুফিদের মধ্যে একজন হজরত আহমদ রেজা খান বেরলভি (রহ.)। যিনি আ’লা হজরত নামেই অধিক পরিচিত। অনুসারীরা তাঁকে চতুর্দশ হিজরির মুজাদ্দিদ মনে করেন। তিনি আইন, ধর্ম, দর্শন, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লিখেছেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে সহস্রাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। আ’লা হজরতের জন্ম ১৮৫৬ সালে ভারতের বেরেলিতে। জন্মের সময় তাঁর নাম রাখা হয় মুহাম্মদ। মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে তিনি কোরআন, হাদিস, তাফসির, আরবিসহ যাবতীয় শিক্ষায় পা-িত্য অর্জন করেন। আল্লামা ইকবাল তাঁকে দ্বিতীয় ইমাম আবু হানিফা হিসেবে উপাধি দেন। ৬৮ বছরের জীবনে আলা হজরত (রহ.) ৫৫ শাখায় দেড় হাজারের ওপরে গ্রন্থ রচনা করেন। গবেষক ড. মাসউদ আহমদের মতে, আলা হজরত শুধু হাদিসের ব্যাখ্যার ওপর গ্রন্থ রচনা করেছেন ৪৬টি। তাঁর করা কোরআনের অনুবাদ ‘কানজুল ইমান’ সর্বাধিক পঠিত কোরআনের অনুবাদ হিসেবে মনে করা হয়। কানজুল ইমান গ্রন্থটি বাংলা, উর্দু, ইংরেজি, হিন্দি, ডাচ, তুর্কি, গুজরাটি, পশতুসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তাঁর লেখা ‘ফতোয়া-ই রেজভিয়া’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে মনে করা হয়। ৩০ খন্ডের গ্রন্থটি বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। এ ছাড়া তার লেখা সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে হাদায়েকে বখশিশ, হুসাসামুল হারামাঈন, আল মো’তামাদ ওয়াল মোশতানা, আল কাউকাবাতুল সাহাবিয়া, আল ইশতিমাদ, আল ফুয়জুল মাক্কিয়া। তাঁর লেখা অসংখ্য বই বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে। তাঁর বাংলা অনুবাদ করা জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। বাংলায় অনূদিত বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে তাফসিরে খাজাইনুল ইরফান ও তরজুমায়ে কানজুল ইমান, তাফসিরে নুরুল ইরফান, ইরফারে শরিয়ত, খতমে নবুওয়াত, আহকামে শরিয়ত, নিদানকালে আশীর্বাদ অন্যতম।

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
একই সঙ্গে কুরআনের হাফেজ হলেন দুই ভাই
একই সঙ্গে কুরআনের হাফেজ হলেন দুই ভাই

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

ফ্রান্সে পেশাজীবী সংগঠনগুলোর ধর্মঘট, চাপে ম্যাক্রো
ফ্রান্সে পেশাজীবী সংগঠনগুলোর ধর্মঘট, চাপে ম্যাক্রো

২২ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আন্তঃবাহিনী সাঁতার, ওয়াটারপোলো ও ডাইভিং প্রতিযোগিতা সমাপ্ত
আন্তঃবাহিনী সাঁতার, ওয়াটারপোলো ও ডাইভিং প্রতিযোগিতা সমাপ্ত

৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিক শফিকুর রহমানের স্মরণে শোকসভা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিক শফিকুর রহমানের স্মরণে শোকসভা

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উৎসবমুখর পরিবেশে এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন হবে : ডিএমপি কমিশনার
উৎসবমুখর পরিবেশে এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন হবে : ডিএমপি কমিশনার

১৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে নবীনবরন অনুষ্ঠিত
কলাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে নবীনবরন অনুষ্ঠিত

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

মাদারীপুরের ডাসারে পুকুরে ডুবে দুই ভাই নিহত
মাদারীপুরের ডাসারে পুকুরে ডুবে দুই ভাই নিহত

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে দাফনের দেড় মাস পর ঠিকাদারের মরদেহ উত্তোলন
মাদারীপুরে দাফনের দেড় মাস পর ঠিকাদারের মরদেহ উত্তোলন

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রূপগঞ্জে শুরু হলো তিন দিনব্যাপী আইন শিক্ষার্থীদের বুট ক্যাম্প
রূপগঞ্জে শুরু হলো তিন দিনব্যাপী আইন শিক্ষার্থীদের বুট ক্যাম্প

৪৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ফ্লোরিডায় তিন খুনের দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
ফ্লোরিডায় তিন খুনের দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

৪৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুযোগ পেলে সবসময় সেরাটা দিতে প্রস্তুত: নাসুম
সুযোগ পেলে সবসময় সেরাটা দিতে প্রস্তুত: নাসুম

৪৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামে তিন শতাধিক মানুষ পেল চিকিৎসা ও ওষুধ
চট্টগ্রামে তিন শতাধিক মানুষ পেল চিকিৎসা ও ওষুধ

৫০ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতির কথা বলে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
পিআর পদ্ধতির কথা বলে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

৫৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট দুটি আইন সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন
সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট দুটি আইন সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাইম আইয়ুব: ব্যাটিংয়ে ছন্দ হারিয়ে, বোলিংয়ে দারুণ ছাপ
সাইম আইয়ুব: ব্যাটিংয়ে ছন্দ হারিয়ে, বোলিংয়ে দারুণ ছাপ

৫৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নওগাঁয় ভুয়া ৪ পুলিশ সদস্যসহ গ্রেফতার ৬
নওগাঁয় ভুয়া ৪ পুলিশ সদস্যসহ গ্রেফতার ৬

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মান্ধানার রেকর্ডের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বড় হার
মান্ধানার রেকর্ডের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বড় হার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রংপুরে দুদকের অভিযানে দুই কর্মকর্তার কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক
রংপুরে দুদকের অভিযানে দুই কর্মকর্তার কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আগরতলায় গেল ১,১৯২ কেজি ইলিশ
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আগরতলায় গেল ১,১৯২ কেজি ইলিশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ডাক পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের অলরাউন্ডার
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ডাক পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের অলরাউন্ডার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তেঁতুলিয়ায় পানিবন্দি ২০ পরিবারের জলাবদ্ধতা নিরসনে বিএনপির উদ্যোগ
তেঁতুলিয়ায় পানিবন্দি ২০ পরিবারের জলাবদ্ধতা নিরসনে বিএনপির উদ্যোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

১৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা
পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস
কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ
বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস
উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস

মাঠে ময়দানে

বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি
বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

চলতি মাসেই আবার যুগ্মসচিব পদোন্নতি
চলতি মাসেই আবার যুগ্মসচিব পদোন্নতি

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ
ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন