শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২১

রাখাল থেকে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম

সাইফ ইমন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
রাখাল থেকে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম ছিলেন একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। তিনি মানুষকে ভালোবেসে জীবনের স্বরূপকে পুঁজি করে স্রষ্টাকে খুঁজেছেন গানে গানে। মানবিক সীমাবদ্ধতার বাইরে মুক্তির পথ খুঁজেছেন। তাঁর কণ্ঠে তৈরি হয়েছে মানবতার জয়গান। চর্যাপদের মতো তাঁর গানের অন্তর্নিহিত বিষয়াদি দিনের পর দিন মানুষের বোধকে ত্বরান্বিত করছে সাম্যবাদিতা আর অসাম্প্রদায়িকতার দিকে। অন্যায়, জুলুম আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের গান এক নীরব শানিত অস্ত্র...

১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলাধীন ধল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ইব্রাহিম আলী ও মা নাইওরজান। ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ৯৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ভাটির এই গুণী মানুষ। মৃত্যুর পর সর্বস্তরের বিশেষ করে সাধারণের কাছে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বাউল শাহ আবদুল করিম। দারিদ্র্য ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া বাউল শাহ আবদুল করিমের সংগীত সাধনার শুরু ছেলেবেলা থেকেই। শৈশব থেকেই একতারা ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। সাদাসিধে জীবন কেটেছে। বাউল ও আধ্যাত্মিক গানের তালিম নেন কমর উদ্দিন, সাধক রসিদ উদ্দিন, শাহ ইব্রাহিম মোস্তান বকসের কাছ থেকে। কিংবদন্তি এই বাউল সশরীরে আমাদের মাঝে না থাকলেও তাঁর গান ও সুরধারা কোটি কোটি তরুণসহ সব মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। শাহ আবদুল করিম বাংলার লোকজ সংগীতের ধারাকে আত্মস্থ করেছেন অনায়াসে। ভাটি অঞ্চলের সুখ-দুঃখ তুলে এনেছেন গানে। নারী-পুরুষের মনের কথা ছোট ছোট বাক্যে প্রকাশ করেছেন আকর্ষণীয় সুরে। ভাটি অঞ্চলের মানুষের জীবনের সুখ প্রেম-ভালোবাসার পাশাপাশি তাঁর গান কথা বলে সব অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। তিনি তাঁর গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউলসম্রাট ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ এবং দুদ্দু শাহর দর্শন থেকে। জীবিকা নির্বাহ করেছেন কৃষিকাজ করে। কিন্তু কোনো কিছু তাঁকে গান সৃষ্টি করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। অসংখ্য গণজাগরণের গানের রচয়িতা বাউল শাহ আবদুল করিম অত্যন্ত সহজ-সরল জীবনযাপন করতেন। গানে গানে অর্ধশতাব্দীরও বেশি লড়াই করেছেন ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে। এ জন্য মৌলবাদীদের দ্বারা নানা লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, কাগমারী সম্মেলন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে মানুষকে প্রেরণা জোগায় শাহ আবদুল করিমের গান। গানের জন্য মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহচর্যও পেয়েছেন তিনি। শাহ আবদুল করিম লিখেছেন ও সুর দিয়েছেন ১৬শর বেশি গানে।

তবে জীবনটা মোটেই মসৃণ ছিল না বাউল শাহ আবদুল করিমের। ছোটবেলা থেকেই দারিদ্র্য আর ক্ষুধার যন্ত্রণা নিয়ে বেড়ে উঠেছেন। সমাজের স্তরে স্তরে দেখেছেন অর্থনৈতিক বৈষম্য। এমনকি তাঁকে পরিবারের হাল ধরতে রাখাল বালকের কাজ করতে হয়েছে।

কিন্তু যাঁর অন্তরে সুরের মূর্ছনা খেলা করে সে কি পারে নিজেকে আটকে রাখতে। বাউল শাহ আবদুল করিমও পারেননি।

কিন্তু তাঁর ছিল গানের প্রতি, সুরের প্রতি প্রচণ্ড ঝোঁক। কালনী নদীর পাড়ে বসে একসময় গান লিখতে আর সুরে সুরে গাইতে শুরু করেন। এভাবে গাইতে গাইতেই হয়ে ওঠেন ভাটি-বাংলার অন্যতম বাউল ও গণমানুষের কণ্ঠস্বর। মাত্র আট দিন ব্রিটিশদের পরিচালিত নৈশ বিদ্যালয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে গুজব রটানো হলো বিদ্যালয়ের ছাত্রদের ব্রিটিশ বাহিনীতে যোগ দিয়ে যুদ্ধ করতে হবে। সেই আশঙ্কায় সব ছাত্রের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও ছাড়লেন বিদ্যালয়। কিন্তু নিজের চেষ্টা আর সাধনায় কাজ চালানোর মতো পড়াশোনা ঠিকই শিখেছিলেন তিনি। সেই পড়াশোনা আর জীবনের বাস্তবতাকে কাজে লাগিয়ে রচনা করে ফেলেন প্রায় দেড় হাজার গান। যার অনেকগুলোই এখন মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

আবদুল করিম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক পেয়েছেন। তাঁকে ঘিরে কমার্শিয়াল আয়োজন করে অনেকে নিজের নাম প্রচার করেছেন বিভিন্ন সময়। সরল মনের শাহ আবদুল করিম সেসব বুঝতেন কদাচিৎ। তাই পদক-টদক নিয়ে তাঁর উচ্ছ্বাসও ছিল কম। পদক দিয়ে কি আর জীবন চলে! তিনি বলেন, ‘পদক আনতে শহরে গেছি, আইবার সময় পকেটে টাকা নাই। এই পদক-টদকের কোনো দাম নাই। সংবর্ধনা বিক্রি করে দিরাই বাজারে এক সের চালও কেনা যায় না।’ এক সাক্ষাৎকারে তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার পাঞ্জাবি ছেঁড়া তো কী হয়েছে, আমি কি এই দেশের নাগরিক না? আমার লুঙ্গিতে না হয় তিনটা তালি বসানো কিন্তু আমি তো ট্যাক্স ফাঁকি দেই নাই কখনো। তাহলে এত ব্যবধান, এত বৈষম্য কেন? মানুষ তো মানুষের কাছে যায়। আমি তো কোনো বন্যপশুর কাছে যাইনি। বন্যপশুরও অনেক দাম আছে, এ দেশে মানুষের কোনো দাম নেই, ইজ্জত নেই।’  আবদুল করিমের গানের কথা অনেকে ব্যবহার করেছেন বিভিন্ন সময়। সুনামও কুড়িয়েছেন অনেকে।  অথচ কেউ কখনো আবদুল করিমের কাছে অনুমতি নেননি। সম্মানী দেওয়ার বিষয় তো আরও দূরের। 

 

গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়

বাউল শাহ আবদুল করিমের মতো দার্শনিকদের বরাবরই সমাজে নানা বঞ্চনার শিকার হতে হয়। সক্রেটিসের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সমাজচ্যুত হতে হয়েছে লালনকেও। গ্যালিলিওকে বরণ করতে হয়েছে করুণ মৃত্যু। হাইপেশিয়ার শরীর থেকে জীবিত অবস্থায় গায়ের চামড়া খুলে নেওয়া হয়েছিল। আমাদের বাউল শাহ আবদুল করিমের জীবনেও আছে এমন ঘটনা।

করিম নিজের গ্রামের মানুষের কাছে ভর্ৎসনা পেয়েছিলেন শুধু মিথ্যা বলতে না চাওয়ায়। শাহ আবদুল করিমকে নিজ গ্রামছাড়া হতে হয়েছিল- তিনি গান গেয়ে থাকেন এ কারণে। যুবক বয়সের শাহ আবদুল করিমকে অনেকেই যেমন পছন্দ করত, তেমনি অনেকেই আবার গান-বাজনার অভ্যাসকে ভীষণ অপছন্দ করত। একবার শাহ আবদুল করিমকে বাধা দেওয়া হলো। তাঁকে বলা হলো- গান গাওয়া খারাপ কাজ। করিম যেন সবার সামনে গান গাওয়া ত্যাগ করেন। এ কথা শুনে শাহ আবদুল করিম অবাক হন। নিজ গ্রামেই এমন কথা শুনবেন ভাবেননি। তিনি শান্ত এবং দ্বিধাহীনভাবে বললেন,

‘পরে করিব যাহা এখন যদি বলি করব না,

সভাতে এই মিথ্যা কথা বলতে পারব না।’

করিম বোঝাতে চেয়েছিলেন, এখন যদি বলেন তিনি আর গান গাইবেন না, সেটা তো সত্য না। গান ছাড়া তিনি থাকতে পারবেন না। এই দরিদ্র, নিস্তরঙ্গ জীবনে আছে কী শুধু গানটা ছাড়া! স্বাভাবিকভাবেই আবদুল করিমের উত্তরে গ্রামবাসী হতাশ হয়।  আর তখনই শাহ আবদুল করিমকে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি গ্রাম ত্যাগ করে চলে আসেন; গানকে বুকের মধ্যে লালন করেন।

 

অসাম্প্রদায়িক একজন

গবেষকরা বলেন, দরিদ্র মানুষের কষ্টাচ্ছন্ন মুখ, মানুষের দুঃখ-দুর্দশার ছবি বারবার উঠে এসেছে বাউল শাহ আবদুল করিমের কণ্ঠে। এমনকি আমাদের দেশের নানা সংকটেও তাঁর গান মানুষকে উজ্জীবিত করেছে। অনেকেই লিখে গেছেন তাঁর কথা। সাতচল্লিশের দেশ ভাগ, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর গান ভাটি অঞ্চল তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে জাগিয়ে দেওয়ার কাজ করেছে। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আরও অনেক খ্যাতিমান নেতার সঙ্গে একই মঞ্চে গান গেয়েছেন তিনি। মানুষ বাউল শাহ আবদুল করিমের গান ভালোবেসে আপন করে নিয়েছে। কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম। তিনি বিশ্বাস করতেন সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। তিনি বিশ্বাস করতেন মানবতায়। প্রেম আর ভালোবাসা দিয়ে তিনি গান রচনা করতেন, সেখানে সৃষ্টি করতেন সুরের মূর্ছনা। কেউ যদি তাঁর গান অন্য সুরে বিকৃত করেও গাইতেন তিনি কিছু মনে করতেন না। বলতেন, মূল বক্তব্য ঠিক থাকলেই হলো। অর্থাৎ বাউল শাহ আবদুল করিমের উদ্দেশ্য ছিল পরিষ্কার। তিনি খ্যাতি চাননি।  চেয়েছেন মানুষের মধ্যে প্রেমের সৃষ্টি হোক। চেয়েছিলেন মানুষ মানুষকে ভালোবাসলে পৃথিবী হবে মানবতার পক্ষে।  

 

আট দিনের স্কুলজীবন

বাউল শাহ আবদুল করিম প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা করেননি। সংসারের প্রয়োজনে কাজ করতে হয়েছে। এমনকি রাখাল বালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। তবে এই রাখাল বালকের জীবনেও পড়ালেখা এসেছিল একবার। ব্রিটিশ আমলে ভাটি অঞ্চলে একটি নাইট স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। অনেকের মতো শাহ আবদুল করিমও ভর্তি হয়েছিলেন সেই স্কুলে। কিন্তু হঠাৎ গুজব ছড়িয়ে পড়ে, নাইট স্কুলে পড়লে ব্রিটিশ সৈন্যদের সঙ্গে জার্মানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। তখন ছাত্ররা পালাতে লাগল নাইট স্কুল ছেড়ে। ফলে নাইট স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। আট দিন এই স্কুলে ক্লাস করার পর শিক্ষাজীবনের ইতি ঘটলেও শাহ আবদুল করিম নিজ উদ্যোগে অনেক কিছু শিখেছেন। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি শিখেছেন জীবন থেকে, মাটি থেকে, মানুষ থেকে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে রাখাল বালকের জীবনে। হয়ে উঠেছেন বাংলার বাউল সম্রাট।

তাঁর গানের মতোই তাঁর জীবন-

গান গাই আমার মনরে বুঝাই, মন থাকে  পাগলপারা

আর কিছু চাই না মনে গান ছাড়া...

 

প্রথম প্রেম গান, বিয়ে...

শাহ আবদুল করিম সংসার করেন। বিয়েও করেন। কিন্তু বাউলিয়ানা মনের কাছে প্রথম সংসার টিকেনি। কারণ তিনি প্রেম করেছিলেন গানের সঙ্গে। তখন তিনি পুরোদমে গান লিখছেন, গান বাঁধছেন, গান গাইছেন। নানান জায়গায় গানের আসর বসে। মজমার মধ্যে থেকে থেকে রাত ভোর হয়। মনেই থাকে না, ঘরে তাঁর সদ্য বিবাহিত স্ত্রী। নাম কাচামালা। কিন্তু গানের উদ্দেশ্যে বেশির ভাগ সময়ই তিনি ছুটে চলতেন এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। সারা রাত গান করে ফিরতেন ঘরে। তাই সংসারে খুব একটা খেয়াল দেওয়া হয়ে ওঠেনি তাঁর। এ অবস্থায় প্রথম বিয়ে বেশি দিন টিকল না। অথবা বলা যায়, বিয়ে টিকল না গানের প্রতি তাঁর প্রেমের কাছে। অনেকে সে সময়ের ঘটনা বলেছেন এভাবে- শ্বশুরবাড়িতে শাহ আবদুল করিমকে ডাকা হলো। তাঁকে শর্ত দিয়ে বলা হলো, যে কোনো একটা বেছে নিতে হবে। হয় বউ, নয়তো গান। বউ চাইলে গান চাইতে পারবে না। শাহ আবদুল করিম বউকে ছেড়ে দিলেন। হয়তো তিনিও জানেন, জোর করে সংসার করলে মেয়েটির ওপর অবিচার করা হবে, তাঁকে সময় দিতে পারবেন না। তিনি তো সাময়িক সুখ, স্বস্তি পেতে মিথ্যার আশ্রয় নেন না। তিনি গান ত্যাগ করেননি সে সময়। গানের জন্য গ্রাম ত্যাগ করে চলে এসেছিলেন। মিথ্যার আশ্রয় নেননি। গানকে ভালোবেসে আঁকড়ে ধরেছিলেন। তাঁর গানের মতোই তাঁর জীবন বয়ে চলে।  জীবনে কোনো দিন ধন-সম্পদের লোভ করেননি তিনি। চলেছেন নিজের মতো করে গানকে ভালোবেসে। 

 

সরলার প্রেমে মন মজাইয়া

গ্রামে গঞ্জে আবদুল করিম থাকতেন গানের বায়না নিয়ে এতে সরলা কখনো অভিমান করে থাকেননি কারণে সরলার কথা মনে উঠলেই শেষ বয়সে কেঁদে কেটে বিষণ্ন হয়ে যেতেন আবদুল করিম...

প্রথম বিয়েটা টিকেনি ঠিকই বাউল শাহ আবদুল করিমের। কারণ তিনি গান ছাড়তে চাননি। তাই তাঁর জীবনে এমন একজন রমণীর প্রয়োজন ছিল যে বাউলের গানকে বাউলের মতো করেই ভালোবাসবেন। এমন একজন পেলেনও তিনি। নাম আফতাবুন্নেসা। বাউল শাহ আবদুল করিম দ্বিতীয় বিয়ে করেন এই নারীকে। অনেকে বলেন, যে নারী তাঁর জীবনের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন শুধু সহচর হয়ে থাকার জন্য। মানুষটিকে আবদুল করিম ডাকতেন সরলা বলে। সরলা কখনো আবদুল করিমের কাছে কিছু চাননি। বরং আবদুল করিমের গান নিয়ে অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছেন জনমভর। দিনের পর দিন আবদুল করিম থাকতেন বাইরে বাইরে। নানা জায়গায় গানের বায়না নিয়ে ঘুরতেন শাহ আবদুল করিম। সময় দিতে পারেননি সংসারে। এ কথা মনে করে বাউল শাহ আবদুল করিম আক্ষেপ করতেন। কারণ গান নিয়ে সরলা কখনো অভিমান করে থাকেননি। এ কারণে সরলার কথা মনে উঠলেই শেষ বয়সে কেঁদে কেটে বিষণ্ন হয়ে যেতেন আবদুল করিম। অনেকে দাবি করেন, তিনি নিজের স্ত্রীকে মুরশিদ বলে মানতেন। নিজের স্ত্রীকে মুরশিদ বলে সম্মানিত করা সহজ কথা নয়। সরলার সঙ্গে আবদুল করিমের প্রেমের মাহাত্ম্য লিখে বোঝানো কার সাধ্য। কারণ একজন স্ত্রীর পক্ষে এমন বাউলিয়ানা স্বভাবের স্বামী মেনে নেওয়া সহজ কথা নয়।  কিন্তু সরলা তা পেরেছিলেন।

 

বড্ড সরল মানুষের সংবর্ধনা

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের হাতে তুলে দেওয়া হবে লাখ টাকার সম্মাননা চেক আবদুল করিম বার্ধক্যে উপনীত তখন তিনি বোধহয় কানে ভুল শুনলেন তাঁর বিশ্বাস হচ্ছিল না এত টাকা...

বাউল শাহ আবদুল করিমের পাশে যারা এসেছেন সবাই একবাক্যে স্বীকার করেন, মানুষটি বড্ড সরল ছিলেন। তাঁকে ঘিরে আলোচনা, উৎসাহ বা বিতর্ক কোনো কিছুতেই পাত্তা দিতেন না তিনি। তিনি থাকতেন নিজের মতো করে। তাই তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া নিয়েও তাঁর মাঝে কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়নি। একবার সুনামগঞ্জে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে মাইকে ঘোষণা করা হলো- বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের হাতে তুলে দেওয়া হবে ৩ লাখ টাকার সম্মাননা চেক। আবদুল করিমের তখন বার্ধক্য চলছে। তিনি বোধহয় কানে ভুল শুনলেন। তাঁর বিশ্বাস হচ্ছিল না। তিনি পাশে বসে থাকা তাঁর একমাত্র সন্তান জালালকে বললেন, ‘জালাল ইতা কিতা কয়! ৩ হাজার টাকা! এ তো অনেক টাকা! এত টাকা দিয়ে আমি কী করতাম! আবদুল করিমকে আস্তে করে জানানো হলো- ৩ হাজার নয়, টাকার অঙ্কটা ৩ লাখ! শাহ আবদুল করিম অস্থির হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। তিনি হতভম্ব। তিনি বললেন, ৩ লাখ? সর্বনাশ, অত টাকা! এগুলো নিয়্যা আমরা কিতা করমু? আমরার টাকার দরকার নাই, মানুষ যে ভালোবাসা দিছে, সেইটাই বড় প্রাপ্তি। চল চল বাড়ি চল। এই বলেই তিনি বেরিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা দিলেন।  এমন সহজ-সরল মানুষ হলেই বোধহয় লেখা যায়- ‘আমার মন মজাইয়ারে দিল মজাইয়া মুরশিদ নিজের দেশে যাও...’

 

বিখ্যাত যত গান

♦ মানুষ হয়ে তালাশ করলে মানুষ পায়

♦ সখী কুঞ্জ সাজাও গো

♦ আসি বলে গেল বন্ধু আইলো না

♦ তোমার ইচ্ছায় চলে গাড়ি দোষ কেন পড়ে আমার

♦ দমে দমে পড় জিকির লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্

♦ গান গাই আমার মনরে বুঝাই

♦ আমি কূলহারা কলঙ্কিনী

♦ আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম

♦ বসন্ত বাতাসে সইগো

♦ ওকি গাড়িয়াল ভাই

♦ আমি বাংলা মায়ের ছেলে

♦ কেমনে ভুলিবো আমি বাঁচি না তারে ছাড়া

♦ গান গাই আমার মনরে বুঝাই মন থাকে পাগলপারা

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা তরুণীসহ আটক ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা তরুণীসহ আটক ২

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাত কলেজে ক্লাস শুরুর তারিখ জানাল কর্তৃপক্ষ
সাত কলেজে ক্লাস শুরুর তারিখ জানাল কর্তৃপক্ষ

৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কলাপাড়ায় মহিলা দলের সম্মেলন
কলাপাড়ায় মহিলা দলের সম্মেলন

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষা শুধু সনদ নয়, এটি জাতি গঠনের শক্তিশালী হাতিয়ার: ড. ওবায়দুল ইসলাম
শিক্ষা শুধু সনদ নয়, এটি জাতি গঠনের শক্তিশালী হাতিয়ার: ড. ওবায়দুল ইসলাম

২০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আইসিসিবিতে চার দিনব্যাপী সিরামিক এক্সপো
আইসিসিবিতে চার দিনব্যাপী সিরামিক এক্সপো

২২ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?

৩২ মিনিট আগে | শোবিজ

টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার

৩২ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ

৩৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামে বাড়ির উঠানের গর্তে মিলল নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ
চট্টগ্রামে বাড়ির উঠানের গর্তে মিলল নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ

৩৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান

৩৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

দুমকীতে অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
দুমকীতে অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, গ্রেফতার ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, গ্রেফতার ২

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভোট দিতে চারদিনে ১৫ হাজারের বেশি প্রবাসীর নিবন্ধন
ভোট দিতে চারদিনে ১৫ হাজারের বেশি প্রবাসীর নিবন্ধন

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

৫৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

মহাসড়কের পাশ থেকে কাপড়ে মোড়ানো নবজাতক উদ্ধার
মহাসড়কের পাশ থেকে কাপড়ে মোড়ানো নবজাতক উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘সিইও অব দ্য ইয়ার–২০২৫’ পুরস্কারে ভূষিত সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন
‘সিইও অব দ্য ইয়ার–২০২৫’ পুরস্কারে ভূষিত সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাইবান্ধায় ফিস্টুলা নির্মূলে কাজ করছে ল্যাম্ব
গাইবান্ধায় ফিস্টুলা নির্মূলে কাজ করছে ল্যাম্ব

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাইব্যুনাল ও বিচারকদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য ও ছবি সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ
ট্রাইব্যুনাল ও বিচারকদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য ও ছবি সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাহবাগে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ
শাহবাগে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের সংবর্ধনা ও পদক প্রদান
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের সংবর্ধনা ও পদক প্রদান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ল
সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ল

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নেত্রকোনায় হাওর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
নেত্রকোনায় হাওর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জকীগঞ্জে অসহায় প্রতিবন্ধীর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
জকীগঞ্জে অসহায় প্রতিবন্ধীর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গোবিন্দগঞ্জে ব্যাংক প্রতারণা চক্রের সদস্য আটক
গোবিন্দগঞ্জে ব্যাংক প্রতারণা চক্রের সদস্য আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গণতন্ত্রের পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই : আমীর খসরু
গণতন্ত্রের পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই : আমীর খসরু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

৬ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা
এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা