শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২১

রাখাল থেকে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম

সাইফ ইমন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
রাখাল থেকে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম ছিলেন একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। তিনি মানুষকে ভালোবেসে জীবনের স্বরূপকে পুঁজি করে স্রষ্টাকে খুঁজেছেন গানে গানে। মানবিক সীমাবদ্ধতার বাইরে মুক্তির পথ খুঁজেছেন। তাঁর কণ্ঠে তৈরি হয়েছে মানবতার জয়গান। চর্যাপদের মতো তাঁর গানের অন্তর্নিহিত বিষয়াদি দিনের পর দিন মানুষের বোধকে ত্বরান্বিত করছে সাম্যবাদিতা আর অসাম্প্রদায়িকতার দিকে। অন্যায়, জুলুম আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের গান এক নীরব শানিত অস্ত্র...

১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলাধীন ধল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ইব্রাহিম আলী ও মা নাইওরজান। ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ৯৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ভাটির এই গুণী মানুষ। মৃত্যুর পর সর্বস্তরের বিশেষ করে সাধারণের কাছে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বাউল শাহ আবদুল করিম। দারিদ্র্য ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া বাউল শাহ আবদুল করিমের সংগীত সাধনার শুরু ছেলেবেলা থেকেই। শৈশব থেকেই একতারা ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। সাদাসিধে জীবন কেটেছে। বাউল ও আধ্যাত্মিক গানের তালিম নেন কমর উদ্দিন, সাধক রসিদ উদ্দিন, শাহ ইব্রাহিম মোস্তান বকসের কাছ থেকে। কিংবদন্তি এই বাউল সশরীরে আমাদের মাঝে না থাকলেও তাঁর গান ও সুরধারা কোটি কোটি তরুণসহ সব মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। শাহ আবদুল করিম বাংলার লোকজ সংগীতের ধারাকে আত্মস্থ করেছেন অনায়াসে। ভাটি অঞ্চলের সুখ-দুঃখ তুলে এনেছেন গানে। নারী-পুরুষের মনের কথা ছোট ছোট বাক্যে প্রকাশ করেছেন আকর্ষণীয় সুরে। ভাটি অঞ্চলের মানুষের জীবনের সুখ প্রেম-ভালোবাসার পাশাপাশি তাঁর গান কথা বলে সব অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। তিনি তাঁর গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউলসম্রাট ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ এবং দুদ্দু শাহর দর্শন থেকে। জীবিকা নির্বাহ করেছেন কৃষিকাজ করে। কিন্তু কোনো কিছু তাঁকে গান সৃষ্টি করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। অসংখ্য গণজাগরণের গানের রচয়িতা বাউল শাহ আবদুল করিম অত্যন্ত সহজ-সরল জীবনযাপন করতেন। গানে গানে অর্ধশতাব্দীরও বেশি লড়াই করেছেন ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে। এ জন্য মৌলবাদীদের দ্বারা নানা লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, কাগমারী সম্মেলন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে মানুষকে প্রেরণা জোগায় শাহ আবদুল করিমের গান। গানের জন্য মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহচর্যও পেয়েছেন তিনি। শাহ আবদুল করিম লিখেছেন ও সুর দিয়েছেন ১৬শর বেশি গানে।

তবে জীবনটা মোটেই মসৃণ ছিল না বাউল শাহ আবদুল করিমের। ছোটবেলা থেকেই দারিদ্র্য আর ক্ষুধার যন্ত্রণা নিয়ে বেড়ে উঠেছেন। সমাজের স্তরে স্তরে দেখেছেন অর্থনৈতিক বৈষম্য। এমনকি তাঁকে পরিবারের হাল ধরতে রাখাল বালকের কাজ করতে হয়েছে।

কিন্তু যাঁর অন্তরে সুরের মূর্ছনা খেলা করে সে কি পারে নিজেকে আটকে রাখতে। বাউল শাহ আবদুল করিমও পারেননি।

কিন্তু তাঁর ছিল গানের প্রতি, সুরের প্রতি প্রচণ্ড ঝোঁক। কালনী নদীর পাড়ে বসে একসময় গান লিখতে আর সুরে সুরে গাইতে শুরু করেন। এভাবে গাইতে গাইতেই হয়ে ওঠেন ভাটি-বাংলার অন্যতম বাউল ও গণমানুষের কণ্ঠস্বর। মাত্র আট দিন ব্রিটিশদের পরিচালিত নৈশ বিদ্যালয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে গুজব রটানো হলো বিদ্যালয়ের ছাত্রদের ব্রিটিশ বাহিনীতে যোগ দিয়ে যুদ্ধ করতে হবে। সেই আশঙ্কায় সব ছাত্রের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও ছাড়লেন বিদ্যালয়। কিন্তু নিজের চেষ্টা আর সাধনায় কাজ চালানোর মতো পড়াশোনা ঠিকই শিখেছিলেন তিনি। সেই পড়াশোনা আর জীবনের বাস্তবতাকে কাজে লাগিয়ে রচনা করে ফেলেন প্রায় দেড় হাজার গান। যার অনেকগুলোই এখন মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

আবদুল করিম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক পেয়েছেন। তাঁকে ঘিরে কমার্শিয়াল আয়োজন করে অনেকে নিজের নাম প্রচার করেছেন বিভিন্ন সময়। সরল মনের শাহ আবদুল করিম সেসব বুঝতেন কদাচিৎ। তাই পদক-টদক নিয়ে তাঁর উচ্ছ্বাসও ছিল কম। পদক দিয়ে কি আর জীবন চলে! তিনি বলেন, ‘পদক আনতে শহরে গেছি, আইবার সময় পকেটে টাকা নাই। এই পদক-টদকের কোনো দাম নাই। সংবর্ধনা বিক্রি করে দিরাই বাজারে এক সের চালও কেনা যায় না।’ এক সাক্ষাৎকারে তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার পাঞ্জাবি ছেঁড়া তো কী হয়েছে, আমি কি এই দেশের নাগরিক না? আমার লুঙ্গিতে না হয় তিনটা তালি বসানো কিন্তু আমি তো ট্যাক্স ফাঁকি দেই নাই কখনো। তাহলে এত ব্যবধান, এত বৈষম্য কেন? মানুষ তো মানুষের কাছে যায়। আমি তো কোনো বন্যপশুর কাছে যাইনি। বন্যপশুরও অনেক দাম আছে, এ দেশে মানুষের কোনো দাম নেই, ইজ্জত নেই।’  আবদুল করিমের গানের কথা অনেকে ব্যবহার করেছেন বিভিন্ন সময়। সুনামও কুড়িয়েছেন অনেকে।  অথচ কেউ কখনো আবদুল করিমের কাছে অনুমতি নেননি। সম্মানী দেওয়ার বিষয় তো আরও দূরের। 

 

গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়

বাউল শাহ আবদুল করিমের মতো দার্শনিকদের বরাবরই সমাজে নানা বঞ্চনার শিকার হতে হয়। সক্রেটিসের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সমাজচ্যুত হতে হয়েছে লালনকেও। গ্যালিলিওকে বরণ করতে হয়েছে করুণ মৃত্যু। হাইপেশিয়ার শরীর থেকে জীবিত অবস্থায় গায়ের চামড়া খুলে নেওয়া হয়েছিল। আমাদের বাউল শাহ আবদুল করিমের জীবনেও আছে এমন ঘটনা।

করিম নিজের গ্রামের মানুষের কাছে ভর্ৎসনা পেয়েছিলেন শুধু মিথ্যা বলতে না চাওয়ায়। শাহ আবদুল করিমকে নিজ গ্রামছাড়া হতে হয়েছিল- তিনি গান গেয়ে থাকেন এ কারণে। যুবক বয়সের শাহ আবদুল করিমকে অনেকেই যেমন পছন্দ করত, তেমনি অনেকেই আবার গান-বাজনার অভ্যাসকে ভীষণ অপছন্দ করত। একবার শাহ আবদুল করিমকে বাধা দেওয়া হলো। তাঁকে বলা হলো- গান গাওয়া খারাপ কাজ। করিম যেন সবার সামনে গান গাওয়া ত্যাগ করেন। এ কথা শুনে শাহ আবদুল করিম অবাক হন। নিজ গ্রামেই এমন কথা শুনবেন ভাবেননি। তিনি শান্ত এবং দ্বিধাহীনভাবে বললেন,

‘পরে করিব যাহা এখন যদি বলি করব না,

সভাতে এই মিথ্যা কথা বলতে পারব না।’

করিম বোঝাতে চেয়েছিলেন, এখন যদি বলেন তিনি আর গান গাইবেন না, সেটা তো সত্য না। গান ছাড়া তিনি থাকতে পারবেন না। এই দরিদ্র, নিস্তরঙ্গ জীবনে আছে কী শুধু গানটা ছাড়া! স্বাভাবিকভাবেই আবদুল করিমের উত্তরে গ্রামবাসী হতাশ হয়।  আর তখনই শাহ আবদুল করিমকে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি গ্রাম ত্যাগ করে চলে আসেন; গানকে বুকের মধ্যে লালন করেন।

 

অসাম্প্রদায়িক একজন

গবেষকরা বলেন, দরিদ্র মানুষের কষ্টাচ্ছন্ন মুখ, মানুষের দুঃখ-দুর্দশার ছবি বারবার উঠে এসেছে বাউল শাহ আবদুল করিমের কণ্ঠে। এমনকি আমাদের দেশের নানা সংকটেও তাঁর গান মানুষকে উজ্জীবিত করেছে। অনেকেই লিখে গেছেন তাঁর কথা। সাতচল্লিশের দেশ ভাগ, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর গান ভাটি অঞ্চল তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে জাগিয়ে দেওয়ার কাজ করেছে। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আরও অনেক খ্যাতিমান নেতার সঙ্গে একই মঞ্চে গান গেয়েছেন তিনি। মানুষ বাউল শাহ আবদুল করিমের গান ভালোবেসে আপন করে নিয়েছে। কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম। তিনি বিশ্বাস করতেন সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। তিনি বিশ্বাস করতেন মানবতায়। প্রেম আর ভালোবাসা দিয়ে তিনি গান রচনা করতেন, সেখানে সৃষ্টি করতেন সুরের মূর্ছনা। কেউ যদি তাঁর গান অন্য সুরে বিকৃত করেও গাইতেন তিনি কিছু মনে করতেন না। বলতেন, মূল বক্তব্য ঠিক থাকলেই হলো। অর্থাৎ বাউল শাহ আবদুল করিমের উদ্দেশ্য ছিল পরিষ্কার। তিনি খ্যাতি চাননি।  চেয়েছেন মানুষের মধ্যে প্রেমের সৃষ্টি হোক। চেয়েছিলেন মানুষ মানুষকে ভালোবাসলে পৃথিবী হবে মানবতার পক্ষে।  

 

আট দিনের স্কুলজীবন

বাউল শাহ আবদুল করিম প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা করেননি। সংসারের প্রয়োজনে কাজ করতে হয়েছে। এমনকি রাখাল বালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। তবে এই রাখাল বালকের জীবনেও পড়ালেখা এসেছিল একবার। ব্রিটিশ আমলে ভাটি অঞ্চলে একটি নাইট স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। অনেকের মতো শাহ আবদুল করিমও ভর্তি হয়েছিলেন সেই স্কুলে। কিন্তু হঠাৎ গুজব ছড়িয়ে পড়ে, নাইট স্কুলে পড়লে ব্রিটিশ সৈন্যদের সঙ্গে জার্মানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। তখন ছাত্ররা পালাতে লাগল নাইট স্কুল ছেড়ে। ফলে নাইট স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। আট দিন এই স্কুলে ক্লাস করার পর শিক্ষাজীবনের ইতি ঘটলেও শাহ আবদুল করিম নিজ উদ্যোগে অনেক কিছু শিখেছেন। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি শিখেছেন জীবন থেকে, মাটি থেকে, মানুষ থেকে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে রাখাল বালকের জীবনে। হয়ে উঠেছেন বাংলার বাউল সম্রাট।

তাঁর গানের মতোই তাঁর জীবন-

গান গাই আমার মনরে বুঝাই, মন থাকে  পাগলপারা

আর কিছু চাই না মনে গান ছাড়া...

 

প্রথম প্রেম গান, বিয়ে...

শাহ আবদুল করিম সংসার করেন। বিয়েও করেন। কিন্তু বাউলিয়ানা মনের কাছে প্রথম সংসার টিকেনি। কারণ তিনি প্রেম করেছিলেন গানের সঙ্গে। তখন তিনি পুরোদমে গান লিখছেন, গান বাঁধছেন, গান গাইছেন। নানান জায়গায় গানের আসর বসে। মজমার মধ্যে থেকে থেকে রাত ভোর হয়। মনেই থাকে না, ঘরে তাঁর সদ্য বিবাহিত স্ত্রী। নাম কাচামালা। কিন্তু গানের উদ্দেশ্যে বেশির ভাগ সময়ই তিনি ছুটে চলতেন এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। সারা রাত গান করে ফিরতেন ঘরে। তাই সংসারে খুব একটা খেয়াল দেওয়া হয়ে ওঠেনি তাঁর। এ অবস্থায় প্রথম বিয়ে বেশি দিন টিকল না। অথবা বলা যায়, বিয়ে টিকল না গানের প্রতি তাঁর প্রেমের কাছে। অনেকে সে সময়ের ঘটনা বলেছেন এভাবে- শ্বশুরবাড়িতে শাহ আবদুল করিমকে ডাকা হলো। তাঁকে শর্ত দিয়ে বলা হলো, যে কোনো একটা বেছে নিতে হবে। হয় বউ, নয়তো গান। বউ চাইলে গান চাইতে পারবে না। শাহ আবদুল করিম বউকে ছেড়ে দিলেন। হয়তো তিনিও জানেন, জোর করে সংসার করলে মেয়েটির ওপর অবিচার করা হবে, তাঁকে সময় দিতে পারবেন না। তিনি তো সাময়িক সুখ, স্বস্তি পেতে মিথ্যার আশ্রয় নেন না। তিনি গান ত্যাগ করেননি সে সময়। গানের জন্য গ্রাম ত্যাগ করে চলে এসেছিলেন। মিথ্যার আশ্রয় নেননি। গানকে ভালোবেসে আঁকড়ে ধরেছিলেন। তাঁর গানের মতোই তাঁর জীবন বয়ে চলে।  জীবনে কোনো দিন ধন-সম্পদের লোভ করেননি তিনি। চলেছেন নিজের মতো করে গানকে ভালোবেসে। 

 

সরলার প্রেমে মন মজাইয়া

গ্রামে গঞ্জে আবদুল করিম থাকতেন গানের বায়না নিয়ে এতে সরলা কখনো অভিমান করে থাকেননি কারণে সরলার কথা মনে উঠলেই শেষ বয়সে কেঁদে কেটে বিষণ্ন হয়ে যেতেন আবদুল করিম...

প্রথম বিয়েটা টিকেনি ঠিকই বাউল শাহ আবদুল করিমের। কারণ তিনি গান ছাড়তে চাননি। তাই তাঁর জীবনে এমন একজন রমণীর প্রয়োজন ছিল যে বাউলের গানকে বাউলের মতো করেই ভালোবাসবেন। এমন একজন পেলেনও তিনি। নাম আফতাবুন্নেসা। বাউল শাহ আবদুল করিম দ্বিতীয় বিয়ে করেন এই নারীকে। অনেকে বলেন, যে নারী তাঁর জীবনের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন শুধু সহচর হয়ে থাকার জন্য। মানুষটিকে আবদুল করিম ডাকতেন সরলা বলে। সরলা কখনো আবদুল করিমের কাছে কিছু চাননি। বরং আবদুল করিমের গান নিয়ে অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছেন জনমভর। দিনের পর দিন আবদুল করিম থাকতেন বাইরে বাইরে। নানা জায়গায় গানের বায়না নিয়ে ঘুরতেন শাহ আবদুল করিম। সময় দিতে পারেননি সংসারে। এ কথা মনে করে বাউল শাহ আবদুল করিম আক্ষেপ করতেন। কারণ গান নিয়ে সরলা কখনো অভিমান করে থাকেননি। এ কারণে সরলার কথা মনে উঠলেই শেষ বয়সে কেঁদে কেটে বিষণ্ন হয়ে যেতেন আবদুল করিম। অনেকে দাবি করেন, তিনি নিজের স্ত্রীকে মুরশিদ বলে মানতেন। নিজের স্ত্রীকে মুরশিদ বলে সম্মানিত করা সহজ কথা নয়। সরলার সঙ্গে আবদুল করিমের প্রেমের মাহাত্ম্য লিখে বোঝানো কার সাধ্য। কারণ একজন স্ত্রীর পক্ষে এমন বাউলিয়ানা স্বভাবের স্বামী মেনে নেওয়া সহজ কথা নয়।  কিন্তু সরলা তা পেরেছিলেন।

 

বড্ড সরল মানুষের সংবর্ধনা

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের হাতে তুলে দেওয়া হবে লাখ টাকার সম্মাননা চেক আবদুল করিম বার্ধক্যে উপনীত তখন তিনি বোধহয় কানে ভুল শুনলেন তাঁর বিশ্বাস হচ্ছিল না এত টাকা...

বাউল শাহ আবদুল করিমের পাশে যারা এসেছেন সবাই একবাক্যে স্বীকার করেন, মানুষটি বড্ড সরল ছিলেন। তাঁকে ঘিরে আলোচনা, উৎসাহ বা বিতর্ক কোনো কিছুতেই পাত্তা দিতেন না তিনি। তিনি থাকতেন নিজের মতো করে। তাই তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া নিয়েও তাঁর মাঝে কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়নি। একবার সুনামগঞ্জে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে মাইকে ঘোষণা করা হলো- বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের হাতে তুলে দেওয়া হবে ৩ লাখ টাকার সম্মাননা চেক। আবদুল করিমের তখন বার্ধক্য চলছে। তিনি বোধহয় কানে ভুল শুনলেন। তাঁর বিশ্বাস হচ্ছিল না। তিনি পাশে বসে থাকা তাঁর একমাত্র সন্তান জালালকে বললেন, ‘জালাল ইতা কিতা কয়! ৩ হাজার টাকা! এ তো অনেক টাকা! এত টাকা দিয়ে আমি কী করতাম! আবদুল করিমকে আস্তে করে জানানো হলো- ৩ হাজার নয়, টাকার অঙ্কটা ৩ লাখ! শাহ আবদুল করিম অস্থির হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। তিনি হতভম্ব। তিনি বললেন, ৩ লাখ? সর্বনাশ, অত টাকা! এগুলো নিয়্যা আমরা কিতা করমু? আমরার টাকার দরকার নাই, মানুষ যে ভালোবাসা দিছে, সেইটাই বড় প্রাপ্তি। চল চল বাড়ি চল। এই বলেই তিনি বেরিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা দিলেন।  এমন সহজ-সরল মানুষ হলেই বোধহয় লেখা যায়- ‘আমার মন মজাইয়ারে দিল মজাইয়া মুরশিদ নিজের দেশে যাও...’

 

বিখ্যাত যত গান

♦ মানুষ হয়ে তালাশ করলে মানুষ পায়

♦ সখী কুঞ্জ সাজাও গো

♦ আসি বলে গেল বন্ধু আইলো না

♦ তোমার ইচ্ছায় চলে গাড়ি দোষ কেন পড়ে আমার

♦ দমে দমে পড় জিকির লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্

♦ গান গাই আমার মনরে বুঝাই

♦ আমি কূলহারা কলঙ্কিনী

♦ আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম

♦ বসন্ত বাতাসে সইগো

♦ ওকি গাড়িয়াল ভাই

♦ আমি বাংলা মায়ের ছেলে

♦ কেমনে ভুলিবো আমি বাঁচি না তারে ছাড়া

♦ গান গাই আমার মনরে বুঝাই মন থাকে পাগলপারা

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান
আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন
ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন
আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই পিয়ন জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ
সেই পিয়ন জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা
অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা