শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২১

রাখাল থেকে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম

সাইফ ইমন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
রাখাল থেকে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম ছিলেন একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। তিনি মানুষকে ভালোবেসে জীবনের স্বরূপকে পুঁজি করে স্রষ্টাকে খুঁজেছেন গানে গানে। মানবিক সীমাবদ্ধতার বাইরে মুক্তির পথ খুঁজেছেন। তাঁর কণ্ঠে তৈরি হয়েছে মানবতার জয়গান। চর্যাপদের মতো তাঁর গানের অন্তর্নিহিত বিষয়াদি দিনের পর দিন মানুষের বোধকে ত্বরান্বিত করছে সাম্যবাদিতা আর অসাম্প্রদায়িকতার দিকে। অন্যায়, জুলুম আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের গান এক নীরব শানিত অস্ত্র...

১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলাধীন ধল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ইব্রাহিম আলী ও মা নাইওরজান। ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ৯৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ভাটির এই গুণী মানুষ। মৃত্যুর পর সর্বস্তরের বিশেষ করে সাধারণের কাছে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বাউল শাহ আবদুল করিম। দারিদ্র্য ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া বাউল শাহ আবদুল করিমের সংগীত সাধনার শুরু ছেলেবেলা থেকেই। শৈশব থেকেই একতারা ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। সাদাসিধে জীবন কেটেছে। বাউল ও আধ্যাত্মিক গানের তালিম নেন কমর উদ্দিন, সাধক রসিদ উদ্দিন, শাহ ইব্রাহিম মোস্তান বকসের কাছ থেকে। কিংবদন্তি এই বাউল সশরীরে আমাদের মাঝে না থাকলেও তাঁর গান ও সুরধারা কোটি কোটি তরুণসহ সব মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। শাহ আবদুল করিম বাংলার লোকজ সংগীতের ধারাকে আত্মস্থ করেছেন অনায়াসে। ভাটি অঞ্চলের সুখ-দুঃখ তুলে এনেছেন গানে। নারী-পুরুষের মনের কথা ছোট ছোট বাক্যে প্রকাশ করেছেন আকর্ষণীয় সুরে। ভাটি অঞ্চলের মানুষের জীবনের সুখ প্রেম-ভালোবাসার পাশাপাশি তাঁর গান কথা বলে সব অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। তিনি তাঁর গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউলসম্রাট ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ এবং দুদ্দু শাহর দর্শন থেকে। জীবিকা নির্বাহ করেছেন কৃষিকাজ করে। কিন্তু কোনো কিছু তাঁকে গান সৃষ্টি করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। অসংখ্য গণজাগরণের গানের রচয়িতা বাউল শাহ আবদুল করিম অত্যন্ত সহজ-সরল জীবনযাপন করতেন। গানে গানে অর্ধশতাব্দীরও বেশি লড়াই করেছেন ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে। এ জন্য মৌলবাদীদের দ্বারা নানা লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, কাগমারী সম্মেলন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে মানুষকে প্রেরণা জোগায় শাহ আবদুল করিমের গান। গানের জন্য মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহচর্যও পেয়েছেন তিনি। শাহ আবদুল করিম লিখেছেন ও সুর দিয়েছেন ১৬শর বেশি গানে।

তবে জীবনটা মোটেই মসৃণ ছিল না বাউল শাহ আবদুল করিমের। ছোটবেলা থেকেই দারিদ্র্য আর ক্ষুধার যন্ত্রণা নিয়ে বেড়ে উঠেছেন। সমাজের স্তরে স্তরে দেখেছেন অর্থনৈতিক বৈষম্য। এমনকি তাঁকে পরিবারের হাল ধরতে রাখাল বালকের কাজ করতে হয়েছে।

কিন্তু যাঁর অন্তরে সুরের মূর্ছনা খেলা করে সে কি পারে নিজেকে আটকে রাখতে। বাউল শাহ আবদুল করিমও পারেননি।

কিন্তু তাঁর ছিল গানের প্রতি, সুরের প্রতি প্রচণ্ড ঝোঁক। কালনী নদীর পাড়ে বসে একসময় গান লিখতে আর সুরে সুরে গাইতে শুরু করেন। এভাবে গাইতে গাইতেই হয়ে ওঠেন ভাটি-বাংলার অন্যতম বাউল ও গণমানুষের কণ্ঠস্বর। মাত্র আট দিন ব্রিটিশদের পরিচালিত নৈশ বিদ্যালয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে গুজব রটানো হলো বিদ্যালয়ের ছাত্রদের ব্রিটিশ বাহিনীতে যোগ দিয়ে যুদ্ধ করতে হবে। সেই আশঙ্কায় সব ছাত্রের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও ছাড়লেন বিদ্যালয়। কিন্তু নিজের চেষ্টা আর সাধনায় কাজ চালানোর মতো পড়াশোনা ঠিকই শিখেছিলেন তিনি। সেই পড়াশোনা আর জীবনের বাস্তবতাকে কাজে লাগিয়ে রচনা করে ফেলেন প্রায় দেড় হাজার গান। যার অনেকগুলোই এখন মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

আবদুল করিম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক পেয়েছেন। তাঁকে ঘিরে কমার্শিয়াল আয়োজন করে অনেকে নিজের নাম প্রচার করেছেন বিভিন্ন সময়। সরল মনের শাহ আবদুল করিম সেসব বুঝতেন কদাচিৎ। তাই পদক-টদক নিয়ে তাঁর উচ্ছ্বাসও ছিল কম। পদক দিয়ে কি আর জীবন চলে! তিনি বলেন, ‘পদক আনতে শহরে গেছি, আইবার সময় পকেটে টাকা নাই। এই পদক-টদকের কোনো দাম নাই। সংবর্ধনা বিক্রি করে দিরাই বাজারে এক সের চালও কেনা যায় না।’ এক সাক্ষাৎকারে তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার পাঞ্জাবি ছেঁড়া তো কী হয়েছে, আমি কি এই দেশের নাগরিক না? আমার লুঙ্গিতে না হয় তিনটা তালি বসানো কিন্তু আমি তো ট্যাক্স ফাঁকি দেই নাই কখনো। তাহলে এত ব্যবধান, এত বৈষম্য কেন? মানুষ তো মানুষের কাছে যায়। আমি তো কোনো বন্যপশুর কাছে যাইনি। বন্যপশুরও অনেক দাম আছে, এ দেশে মানুষের কোনো দাম নেই, ইজ্জত নেই।’  আবদুল করিমের গানের কথা অনেকে ব্যবহার করেছেন বিভিন্ন সময়। সুনামও কুড়িয়েছেন অনেকে।  অথচ কেউ কখনো আবদুল করিমের কাছে অনুমতি নেননি। সম্মানী দেওয়ার বিষয় তো আরও দূরের। 

 

গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়

বাউল শাহ আবদুল করিমের মতো দার্শনিকদের বরাবরই সমাজে নানা বঞ্চনার শিকার হতে হয়। সক্রেটিসের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সমাজচ্যুত হতে হয়েছে লালনকেও। গ্যালিলিওকে বরণ করতে হয়েছে করুণ মৃত্যু। হাইপেশিয়ার শরীর থেকে জীবিত অবস্থায় গায়ের চামড়া খুলে নেওয়া হয়েছিল। আমাদের বাউল শাহ আবদুল করিমের জীবনেও আছে এমন ঘটনা।

করিম নিজের গ্রামের মানুষের কাছে ভর্ৎসনা পেয়েছিলেন শুধু মিথ্যা বলতে না চাওয়ায়। শাহ আবদুল করিমকে নিজ গ্রামছাড়া হতে হয়েছিল- তিনি গান গেয়ে থাকেন এ কারণে। যুবক বয়সের শাহ আবদুল করিমকে অনেকেই যেমন পছন্দ করত, তেমনি অনেকেই আবার গান-বাজনার অভ্যাসকে ভীষণ অপছন্দ করত। একবার শাহ আবদুল করিমকে বাধা দেওয়া হলো। তাঁকে বলা হলো- গান গাওয়া খারাপ কাজ। করিম যেন সবার সামনে গান গাওয়া ত্যাগ করেন। এ কথা শুনে শাহ আবদুল করিম অবাক হন। নিজ গ্রামেই এমন কথা শুনবেন ভাবেননি। তিনি শান্ত এবং দ্বিধাহীনভাবে বললেন,

‘পরে করিব যাহা এখন যদি বলি করব না,

সভাতে এই মিথ্যা কথা বলতে পারব না।’

করিম বোঝাতে চেয়েছিলেন, এখন যদি বলেন তিনি আর গান গাইবেন না, সেটা তো সত্য না। গান ছাড়া তিনি থাকতে পারবেন না। এই দরিদ্র, নিস্তরঙ্গ জীবনে আছে কী শুধু গানটা ছাড়া! স্বাভাবিকভাবেই আবদুল করিমের উত্তরে গ্রামবাসী হতাশ হয়।  আর তখনই শাহ আবদুল করিমকে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি গ্রাম ত্যাগ করে চলে আসেন; গানকে বুকের মধ্যে লালন করেন।

 

অসাম্প্রদায়িক একজন

গবেষকরা বলেন, দরিদ্র মানুষের কষ্টাচ্ছন্ন মুখ, মানুষের দুঃখ-দুর্দশার ছবি বারবার উঠে এসেছে বাউল শাহ আবদুল করিমের কণ্ঠে। এমনকি আমাদের দেশের নানা সংকটেও তাঁর গান মানুষকে উজ্জীবিত করেছে। অনেকেই লিখে গেছেন তাঁর কথা। সাতচল্লিশের দেশ ভাগ, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর গান ভাটি অঞ্চল তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে জাগিয়ে দেওয়ার কাজ করেছে। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আরও অনেক খ্যাতিমান নেতার সঙ্গে একই মঞ্চে গান গেয়েছেন তিনি। মানুষ বাউল শাহ আবদুল করিমের গান ভালোবেসে আপন করে নিয়েছে। কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম। তিনি বিশ্বাস করতেন সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। তিনি বিশ্বাস করতেন মানবতায়। প্রেম আর ভালোবাসা দিয়ে তিনি গান রচনা করতেন, সেখানে সৃষ্টি করতেন সুরের মূর্ছনা। কেউ যদি তাঁর গান অন্য সুরে বিকৃত করেও গাইতেন তিনি কিছু মনে করতেন না। বলতেন, মূল বক্তব্য ঠিক থাকলেই হলো। অর্থাৎ বাউল শাহ আবদুল করিমের উদ্দেশ্য ছিল পরিষ্কার। তিনি খ্যাতি চাননি।  চেয়েছেন মানুষের মধ্যে প্রেমের সৃষ্টি হোক। চেয়েছিলেন মানুষ মানুষকে ভালোবাসলে পৃথিবী হবে মানবতার পক্ষে।  

 

আট দিনের স্কুলজীবন

বাউল শাহ আবদুল করিম প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা করেননি। সংসারের প্রয়োজনে কাজ করতে হয়েছে। এমনকি রাখাল বালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। তবে এই রাখাল বালকের জীবনেও পড়ালেখা এসেছিল একবার। ব্রিটিশ আমলে ভাটি অঞ্চলে একটি নাইট স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। অনেকের মতো শাহ আবদুল করিমও ভর্তি হয়েছিলেন সেই স্কুলে। কিন্তু হঠাৎ গুজব ছড়িয়ে পড়ে, নাইট স্কুলে পড়লে ব্রিটিশ সৈন্যদের সঙ্গে জার্মানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। তখন ছাত্ররা পালাতে লাগল নাইট স্কুল ছেড়ে। ফলে নাইট স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। আট দিন এই স্কুলে ক্লাস করার পর শিক্ষাজীবনের ইতি ঘটলেও শাহ আবদুল করিম নিজ উদ্যোগে অনেক কিছু শিখেছেন। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি শিখেছেন জীবন থেকে, মাটি থেকে, মানুষ থেকে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে রাখাল বালকের জীবনে। হয়ে উঠেছেন বাংলার বাউল সম্রাট।

তাঁর গানের মতোই তাঁর জীবন-

গান গাই আমার মনরে বুঝাই, মন থাকে  পাগলপারা

আর কিছু চাই না মনে গান ছাড়া...

 

প্রথম প্রেম গান, বিয়ে...

শাহ আবদুল করিম সংসার করেন। বিয়েও করেন। কিন্তু বাউলিয়ানা মনের কাছে প্রথম সংসার টিকেনি। কারণ তিনি প্রেম করেছিলেন গানের সঙ্গে। তখন তিনি পুরোদমে গান লিখছেন, গান বাঁধছেন, গান গাইছেন। নানান জায়গায় গানের আসর বসে। মজমার মধ্যে থেকে থেকে রাত ভোর হয়। মনেই থাকে না, ঘরে তাঁর সদ্য বিবাহিত স্ত্রী। নাম কাচামালা। কিন্তু গানের উদ্দেশ্যে বেশির ভাগ সময়ই তিনি ছুটে চলতেন এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। সারা রাত গান করে ফিরতেন ঘরে। তাই সংসারে খুব একটা খেয়াল দেওয়া হয়ে ওঠেনি তাঁর। এ অবস্থায় প্রথম বিয়ে বেশি দিন টিকল না। অথবা বলা যায়, বিয়ে টিকল না গানের প্রতি তাঁর প্রেমের কাছে। অনেকে সে সময়ের ঘটনা বলেছেন এভাবে- শ্বশুরবাড়িতে শাহ আবদুল করিমকে ডাকা হলো। তাঁকে শর্ত দিয়ে বলা হলো, যে কোনো একটা বেছে নিতে হবে। হয় বউ, নয়তো গান। বউ চাইলে গান চাইতে পারবে না। শাহ আবদুল করিম বউকে ছেড়ে দিলেন। হয়তো তিনিও জানেন, জোর করে সংসার করলে মেয়েটির ওপর অবিচার করা হবে, তাঁকে সময় দিতে পারবেন না। তিনি তো সাময়িক সুখ, স্বস্তি পেতে মিথ্যার আশ্রয় নেন না। তিনি গান ত্যাগ করেননি সে সময়। গানের জন্য গ্রাম ত্যাগ করে চলে এসেছিলেন। মিথ্যার আশ্রয় নেননি। গানকে ভালোবেসে আঁকড়ে ধরেছিলেন। তাঁর গানের মতোই তাঁর জীবন বয়ে চলে।  জীবনে কোনো দিন ধন-সম্পদের লোভ করেননি তিনি। চলেছেন নিজের মতো করে গানকে ভালোবেসে। 

 

সরলার প্রেমে মন মজাইয়া

গ্রামে গঞ্জে আবদুল করিম থাকতেন গানের বায়না নিয়ে এতে সরলা কখনো অভিমান করে থাকেননি কারণে সরলার কথা মনে উঠলেই শেষ বয়সে কেঁদে কেটে বিষণ্ন হয়ে যেতেন আবদুল করিম...

প্রথম বিয়েটা টিকেনি ঠিকই বাউল শাহ আবদুল করিমের। কারণ তিনি গান ছাড়তে চাননি। তাই তাঁর জীবনে এমন একজন রমণীর প্রয়োজন ছিল যে বাউলের গানকে বাউলের মতো করেই ভালোবাসবেন। এমন একজন পেলেনও তিনি। নাম আফতাবুন্নেসা। বাউল শাহ আবদুল করিম দ্বিতীয় বিয়ে করেন এই নারীকে। অনেকে বলেন, যে নারী তাঁর জীবনের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন শুধু সহচর হয়ে থাকার জন্য। মানুষটিকে আবদুল করিম ডাকতেন সরলা বলে। সরলা কখনো আবদুল করিমের কাছে কিছু চাননি। বরং আবদুল করিমের গান নিয়ে অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছেন জনমভর। দিনের পর দিন আবদুল করিম থাকতেন বাইরে বাইরে। নানা জায়গায় গানের বায়না নিয়ে ঘুরতেন শাহ আবদুল করিম। সময় দিতে পারেননি সংসারে। এ কথা মনে করে বাউল শাহ আবদুল করিম আক্ষেপ করতেন। কারণ গান নিয়ে সরলা কখনো অভিমান করে থাকেননি। এ কারণে সরলার কথা মনে উঠলেই শেষ বয়সে কেঁদে কেটে বিষণ্ন হয়ে যেতেন আবদুল করিম। অনেকে দাবি করেন, তিনি নিজের স্ত্রীকে মুরশিদ বলে মানতেন। নিজের স্ত্রীকে মুরশিদ বলে সম্মানিত করা সহজ কথা নয়। সরলার সঙ্গে আবদুল করিমের প্রেমের মাহাত্ম্য লিখে বোঝানো কার সাধ্য। কারণ একজন স্ত্রীর পক্ষে এমন বাউলিয়ানা স্বভাবের স্বামী মেনে নেওয়া সহজ কথা নয়।  কিন্তু সরলা তা পেরেছিলেন।

 

বড্ড সরল মানুষের সংবর্ধনা

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের হাতে তুলে দেওয়া হবে লাখ টাকার সম্মাননা চেক আবদুল করিম বার্ধক্যে উপনীত তখন তিনি বোধহয় কানে ভুল শুনলেন তাঁর বিশ্বাস হচ্ছিল না এত টাকা...

বাউল শাহ আবদুল করিমের পাশে যারা এসেছেন সবাই একবাক্যে স্বীকার করেন, মানুষটি বড্ড সরল ছিলেন। তাঁকে ঘিরে আলোচনা, উৎসাহ বা বিতর্ক কোনো কিছুতেই পাত্তা দিতেন না তিনি। তিনি থাকতেন নিজের মতো করে। তাই তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া নিয়েও তাঁর মাঝে কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়নি। একবার সুনামগঞ্জে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে মাইকে ঘোষণা করা হলো- বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের হাতে তুলে দেওয়া হবে ৩ লাখ টাকার সম্মাননা চেক। আবদুল করিমের তখন বার্ধক্য চলছে। তিনি বোধহয় কানে ভুল শুনলেন। তাঁর বিশ্বাস হচ্ছিল না। তিনি পাশে বসে থাকা তাঁর একমাত্র সন্তান জালালকে বললেন, ‘জালাল ইতা কিতা কয়! ৩ হাজার টাকা! এ তো অনেক টাকা! এত টাকা দিয়ে আমি কী করতাম! আবদুল করিমকে আস্তে করে জানানো হলো- ৩ হাজার নয়, টাকার অঙ্কটা ৩ লাখ! শাহ আবদুল করিম অস্থির হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। তিনি হতভম্ব। তিনি বললেন, ৩ লাখ? সর্বনাশ, অত টাকা! এগুলো নিয়্যা আমরা কিতা করমু? আমরার টাকার দরকার নাই, মানুষ যে ভালোবাসা দিছে, সেইটাই বড় প্রাপ্তি। চল চল বাড়ি চল। এই বলেই তিনি বেরিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা দিলেন।  এমন সহজ-সরল মানুষ হলেই বোধহয় লেখা যায়- ‘আমার মন মজাইয়ারে দিল মজাইয়া মুরশিদ নিজের দেশে যাও...’

 

বিখ্যাত যত গান

♦ মানুষ হয়ে তালাশ করলে মানুষ পায়

♦ সখী কুঞ্জ সাজাও গো

♦ আসি বলে গেল বন্ধু আইলো না

♦ তোমার ইচ্ছায় চলে গাড়ি দোষ কেন পড়ে আমার

♦ দমে দমে পড় জিকির লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্

♦ গান গাই আমার মনরে বুঝাই

♦ আমি কূলহারা কলঙ্কিনী

♦ আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম

♦ বসন্ত বাতাসে সইগো

♦ ওকি গাড়িয়াল ভাই

♦ আমি বাংলা মায়ের ছেলে

♦ কেমনে ভুলিবো আমি বাঁচি না তারে ছাড়া

♦ গান গাই আমার মনরে বুঝাই মন থাকে পাগলপারা

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিটি পরিবারের হাতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে'
'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিটি পরিবারের হাতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে'

৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে চালু হচ্ছে ‘ই-ফ্যামেলি কোর্ট’
বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে চালু হচ্ছে ‘ই-ফ্যামেলি কোর্ট’

১১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কোষের বার্ধক্য থামাতে ন্যানোফ্লাওয়ার প্রযুক্তি উদ্ভাবন
কোষের বার্ধক্য থামাতে ন্যানোফ্লাওয়ার প্রযুক্তি উদ্ভাবন

১৭ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

দৌলতপুরে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ
দৌলতপুরে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

৩৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানালেন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং
বাংলাদেশে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানালেন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং

৩৪ মিনিট আগে | পরবাস

ধানের শীষকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে : মাজেদ বাবু
ধানের শীষকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে : মাজেদ বাবু

৩৬ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত বগুড়ার রাফিউলের দাফন সম্পন্ন
ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত বগুড়ার রাফিউলের দাফন সম্পন্ন

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আধুনিক নগরজীবন মানুষকে অসুস্থ করছে, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা
আধুনিক নগরজীবন মানুষকে অসুস্থ করছে, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা

৪৩ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

শার্শার নিজামপুর ইউনিয়নে তৃপ্তির গণসংযোগ
শার্শার নিজামপুর ইউনিয়নে তৃপ্তির গণসংযোগ

৪৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’
‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গোপালগঞ্জে নতুন আলো ব্রি ধান ১০৩
গোপালগঞ্জে নতুন আলো ব্রি ধান ১০৩

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা
বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুন্সীগঞ্জ উন্নয়ন সোসাইটির বৃত্তি পরীক্ষার সনদ প্রদান
মুন্সীগঞ্জ উন্নয়ন সোসাইটির বৃত্তি পরীক্ষার সনদ প্রদান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাইবেরিয়ার বরফে মিলল ৪০ হাজার বছরের প্রাচীন আরএনএ
সাইবেরিয়ার বরফে মিলল ৪০ হাজার বছরের প্রাচীন আরএনএ

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ
বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্যাতিত নারীদের পাশে দাঁড়াতে হবে: ফরিদপুরে কৃষক দল নেতা
নির্যাতিত নারীদের পাশে দাঁড়াতে হবে: ফরিদপুরে কৃষক দল নেতা

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক
মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন মাদক কারবারি গ্রেফতার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন মাদক কারবারি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীতে ভূমিকম্পের আতঙ্ক কটেনি এলাকাবাসীর
নরসিংদীতে ভূমিকম্পের আতঙ্ক কটেনি এলাকাবাসীর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২ সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২ সমঝোতা স্মারক সই

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশের ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বদলি
পুলিশের ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বদলি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চীনের নতুন ভাসমান দ্বীপ, থাকছে পারমাণবিক বোমা প্রতিরোধী বাংকার
চীনের নতুন ভাসমান দ্বীপ, থাকছে পারমাণবিক বোমা প্রতিরোধী বাংকার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে জাবির নতুন হলগুলোতে ফাটল, নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
ভূমিকম্পে জাবির নতুন হলগুলোতে ফাটল, নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

২১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা

২৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

২০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন ভূমিকম্প আগে কখনও অনুভব করিনি : ফারুকী
এমন ভূমিকম্প আগে কখনও অনুভব করিনি : ফারুকী

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়
বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

নগর জীবন

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের
ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা