শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২১

রাখাল থেকে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম

সাইফ ইমন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
রাখাল থেকে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম ছিলেন একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। তিনি মানুষকে ভালোবেসে জীবনের স্বরূপকে পুঁজি করে স্রষ্টাকে খুঁজেছেন গানে গানে। মানবিক সীমাবদ্ধতার বাইরে মুক্তির পথ খুঁজেছেন। তাঁর কণ্ঠে তৈরি হয়েছে মানবতার জয়গান। চর্যাপদের মতো তাঁর গানের অন্তর্নিহিত বিষয়াদি দিনের পর দিন মানুষের বোধকে ত্বরান্বিত করছে সাম্যবাদিতা আর অসাম্প্রদায়িকতার দিকে। অন্যায়, জুলুম আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের গান এক নীরব শানিত অস্ত্র...

১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলাধীন ধল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ইব্রাহিম আলী ও মা নাইওরজান। ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ৯৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ভাটির এই গুণী মানুষ। মৃত্যুর পর সর্বস্তরের বিশেষ করে সাধারণের কাছে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বাউল শাহ আবদুল করিম। দারিদ্র্য ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া বাউল শাহ আবদুল করিমের সংগীত সাধনার শুরু ছেলেবেলা থেকেই। শৈশব থেকেই একতারা ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। সাদাসিধে জীবন কেটেছে। বাউল ও আধ্যাত্মিক গানের তালিম নেন কমর উদ্দিন, সাধক রসিদ উদ্দিন, শাহ ইব্রাহিম মোস্তান বকসের কাছ থেকে। কিংবদন্তি এই বাউল সশরীরে আমাদের মাঝে না থাকলেও তাঁর গান ও সুরধারা কোটি কোটি তরুণসহ সব মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। শাহ আবদুল করিম বাংলার লোকজ সংগীতের ধারাকে আত্মস্থ করেছেন অনায়াসে। ভাটি অঞ্চলের সুখ-দুঃখ তুলে এনেছেন গানে। নারী-পুরুষের মনের কথা ছোট ছোট বাক্যে প্রকাশ করেছেন আকর্ষণীয় সুরে। ভাটি অঞ্চলের মানুষের জীবনের সুখ প্রেম-ভালোবাসার পাশাপাশি তাঁর গান কথা বলে সব অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। তিনি তাঁর গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউলসম্রাট ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ এবং দুদ্দু শাহর দর্শন থেকে। জীবিকা নির্বাহ করেছেন কৃষিকাজ করে। কিন্তু কোনো কিছু তাঁকে গান সৃষ্টি করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। অসংখ্য গণজাগরণের গানের রচয়িতা বাউল শাহ আবদুল করিম অত্যন্ত সহজ-সরল জীবনযাপন করতেন। গানে গানে অর্ধশতাব্দীরও বেশি লড়াই করেছেন ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে। এ জন্য মৌলবাদীদের দ্বারা নানা লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, কাগমারী সম্মেলন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে মানুষকে প্রেরণা জোগায় শাহ আবদুল করিমের গান। গানের জন্য মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহচর্যও পেয়েছেন তিনি। শাহ আবদুল করিম লিখেছেন ও সুর দিয়েছেন ১৬শর বেশি গানে।

তবে জীবনটা মোটেই মসৃণ ছিল না বাউল শাহ আবদুল করিমের। ছোটবেলা থেকেই দারিদ্র্য আর ক্ষুধার যন্ত্রণা নিয়ে বেড়ে উঠেছেন। সমাজের স্তরে স্তরে দেখেছেন অর্থনৈতিক বৈষম্য। এমনকি তাঁকে পরিবারের হাল ধরতে রাখাল বালকের কাজ করতে হয়েছে।

কিন্তু যাঁর অন্তরে সুরের মূর্ছনা খেলা করে সে কি পারে নিজেকে আটকে রাখতে। বাউল শাহ আবদুল করিমও পারেননি।

কিন্তু তাঁর ছিল গানের প্রতি, সুরের প্রতি প্রচণ্ড ঝোঁক। কালনী নদীর পাড়ে বসে একসময় গান লিখতে আর সুরে সুরে গাইতে শুরু করেন। এভাবে গাইতে গাইতেই হয়ে ওঠেন ভাটি-বাংলার অন্যতম বাউল ও গণমানুষের কণ্ঠস্বর। মাত্র আট দিন ব্রিটিশদের পরিচালিত নৈশ বিদ্যালয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে গুজব রটানো হলো বিদ্যালয়ের ছাত্রদের ব্রিটিশ বাহিনীতে যোগ দিয়ে যুদ্ধ করতে হবে। সেই আশঙ্কায় সব ছাত্রের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও ছাড়লেন বিদ্যালয়। কিন্তু নিজের চেষ্টা আর সাধনায় কাজ চালানোর মতো পড়াশোনা ঠিকই শিখেছিলেন তিনি। সেই পড়াশোনা আর জীবনের বাস্তবতাকে কাজে লাগিয়ে রচনা করে ফেলেন প্রায় দেড় হাজার গান। যার অনেকগুলোই এখন মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

আবদুল করিম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক পেয়েছেন। তাঁকে ঘিরে কমার্শিয়াল আয়োজন করে অনেকে নিজের নাম প্রচার করেছেন বিভিন্ন সময়। সরল মনের শাহ আবদুল করিম সেসব বুঝতেন কদাচিৎ। তাই পদক-টদক নিয়ে তাঁর উচ্ছ্বাসও ছিল কম। পদক দিয়ে কি আর জীবন চলে! তিনি বলেন, ‘পদক আনতে শহরে গেছি, আইবার সময় পকেটে টাকা নাই। এই পদক-টদকের কোনো দাম নাই। সংবর্ধনা বিক্রি করে দিরাই বাজারে এক সের চালও কেনা যায় না।’ এক সাক্ষাৎকারে তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার পাঞ্জাবি ছেঁড়া তো কী হয়েছে, আমি কি এই দেশের নাগরিক না? আমার লুঙ্গিতে না হয় তিনটা তালি বসানো কিন্তু আমি তো ট্যাক্স ফাঁকি দেই নাই কখনো। তাহলে এত ব্যবধান, এত বৈষম্য কেন? মানুষ তো মানুষের কাছে যায়। আমি তো কোনো বন্যপশুর কাছে যাইনি। বন্যপশুরও অনেক দাম আছে, এ দেশে মানুষের কোনো দাম নেই, ইজ্জত নেই।’  আবদুল করিমের গানের কথা অনেকে ব্যবহার করেছেন বিভিন্ন সময়। সুনামও কুড়িয়েছেন অনেকে।  অথচ কেউ কখনো আবদুল করিমের কাছে অনুমতি নেননি। সম্মানী দেওয়ার বিষয় তো আরও দূরের। 

 

গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়

বাউল শাহ আবদুল করিমের মতো দার্শনিকদের বরাবরই সমাজে নানা বঞ্চনার শিকার হতে হয়। সক্রেটিসের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সমাজচ্যুত হতে হয়েছে লালনকেও। গ্যালিলিওকে বরণ করতে হয়েছে করুণ মৃত্যু। হাইপেশিয়ার শরীর থেকে জীবিত অবস্থায় গায়ের চামড়া খুলে নেওয়া হয়েছিল। আমাদের বাউল শাহ আবদুল করিমের জীবনেও আছে এমন ঘটনা।

করিম নিজের গ্রামের মানুষের কাছে ভর্ৎসনা পেয়েছিলেন শুধু মিথ্যা বলতে না চাওয়ায়। শাহ আবদুল করিমকে নিজ গ্রামছাড়া হতে হয়েছিল- তিনি গান গেয়ে থাকেন এ কারণে। যুবক বয়সের শাহ আবদুল করিমকে অনেকেই যেমন পছন্দ করত, তেমনি অনেকেই আবার গান-বাজনার অভ্যাসকে ভীষণ অপছন্দ করত। একবার শাহ আবদুল করিমকে বাধা দেওয়া হলো। তাঁকে বলা হলো- গান গাওয়া খারাপ কাজ। করিম যেন সবার সামনে গান গাওয়া ত্যাগ করেন। এ কথা শুনে শাহ আবদুল করিম অবাক হন। নিজ গ্রামেই এমন কথা শুনবেন ভাবেননি। তিনি শান্ত এবং দ্বিধাহীনভাবে বললেন,

‘পরে করিব যাহা এখন যদি বলি করব না,

সভাতে এই মিথ্যা কথা বলতে পারব না।’

করিম বোঝাতে চেয়েছিলেন, এখন যদি বলেন তিনি আর গান গাইবেন না, সেটা তো সত্য না। গান ছাড়া তিনি থাকতে পারবেন না। এই দরিদ্র, নিস্তরঙ্গ জীবনে আছে কী শুধু গানটা ছাড়া! স্বাভাবিকভাবেই আবদুল করিমের উত্তরে গ্রামবাসী হতাশ হয়।  আর তখনই শাহ আবদুল করিমকে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি গ্রাম ত্যাগ করে চলে আসেন; গানকে বুকের মধ্যে লালন করেন।

 

অসাম্প্রদায়িক একজন

গবেষকরা বলেন, দরিদ্র মানুষের কষ্টাচ্ছন্ন মুখ, মানুষের দুঃখ-দুর্দশার ছবি বারবার উঠে এসেছে বাউল শাহ আবদুল করিমের কণ্ঠে। এমনকি আমাদের দেশের নানা সংকটেও তাঁর গান মানুষকে উজ্জীবিত করেছে। অনেকেই লিখে গেছেন তাঁর কথা। সাতচল্লিশের দেশ ভাগ, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর গান ভাটি অঞ্চল তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে জাগিয়ে দেওয়ার কাজ করেছে। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আরও অনেক খ্যাতিমান নেতার সঙ্গে একই মঞ্চে গান গেয়েছেন তিনি। মানুষ বাউল শাহ আবদুল করিমের গান ভালোবেসে আপন করে নিয়েছে। কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম। তিনি বিশ্বাস করতেন সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। তিনি বিশ্বাস করতেন মানবতায়। প্রেম আর ভালোবাসা দিয়ে তিনি গান রচনা করতেন, সেখানে সৃষ্টি করতেন সুরের মূর্ছনা। কেউ যদি তাঁর গান অন্য সুরে বিকৃত করেও গাইতেন তিনি কিছু মনে করতেন না। বলতেন, মূল বক্তব্য ঠিক থাকলেই হলো। অর্থাৎ বাউল শাহ আবদুল করিমের উদ্দেশ্য ছিল পরিষ্কার। তিনি খ্যাতি চাননি।  চেয়েছেন মানুষের মধ্যে প্রেমের সৃষ্টি হোক। চেয়েছিলেন মানুষ মানুষকে ভালোবাসলে পৃথিবী হবে মানবতার পক্ষে।  

 

আট দিনের স্কুলজীবন

বাউল শাহ আবদুল করিম প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা করেননি। সংসারের প্রয়োজনে কাজ করতে হয়েছে। এমনকি রাখাল বালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। তবে এই রাখাল বালকের জীবনেও পড়ালেখা এসেছিল একবার। ব্রিটিশ আমলে ভাটি অঞ্চলে একটি নাইট স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। অনেকের মতো শাহ আবদুল করিমও ভর্তি হয়েছিলেন সেই স্কুলে। কিন্তু হঠাৎ গুজব ছড়িয়ে পড়ে, নাইট স্কুলে পড়লে ব্রিটিশ সৈন্যদের সঙ্গে জার্মানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। তখন ছাত্ররা পালাতে লাগল নাইট স্কুল ছেড়ে। ফলে নাইট স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। আট দিন এই স্কুলে ক্লাস করার পর শিক্ষাজীবনের ইতি ঘটলেও শাহ আবদুল করিম নিজ উদ্যোগে অনেক কিছু শিখেছেন। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি শিখেছেন জীবন থেকে, মাটি থেকে, মানুষ থেকে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে রাখাল বালকের জীবনে। হয়ে উঠেছেন বাংলার বাউল সম্রাট।

তাঁর গানের মতোই তাঁর জীবন-

গান গাই আমার মনরে বুঝাই, মন থাকে  পাগলপারা

আর কিছু চাই না মনে গান ছাড়া...

 

প্রথম প্রেম গান, বিয়ে...

শাহ আবদুল করিম সংসার করেন। বিয়েও করেন। কিন্তু বাউলিয়ানা মনের কাছে প্রথম সংসার টিকেনি। কারণ তিনি প্রেম করেছিলেন গানের সঙ্গে। তখন তিনি পুরোদমে গান লিখছেন, গান বাঁধছেন, গান গাইছেন। নানান জায়গায় গানের আসর বসে। মজমার মধ্যে থেকে থেকে রাত ভোর হয়। মনেই থাকে না, ঘরে তাঁর সদ্য বিবাহিত স্ত্রী। নাম কাচামালা। কিন্তু গানের উদ্দেশ্যে বেশির ভাগ সময়ই তিনি ছুটে চলতেন এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। সারা রাত গান করে ফিরতেন ঘরে। তাই সংসারে খুব একটা খেয়াল দেওয়া হয়ে ওঠেনি তাঁর। এ অবস্থায় প্রথম বিয়ে বেশি দিন টিকল না। অথবা বলা যায়, বিয়ে টিকল না গানের প্রতি তাঁর প্রেমের কাছে। অনেকে সে সময়ের ঘটনা বলেছেন এভাবে- শ্বশুরবাড়িতে শাহ আবদুল করিমকে ডাকা হলো। তাঁকে শর্ত দিয়ে বলা হলো, যে কোনো একটা বেছে নিতে হবে। হয় বউ, নয়তো গান। বউ চাইলে গান চাইতে পারবে না। শাহ আবদুল করিম বউকে ছেড়ে দিলেন। হয়তো তিনিও জানেন, জোর করে সংসার করলে মেয়েটির ওপর অবিচার করা হবে, তাঁকে সময় দিতে পারবেন না। তিনি তো সাময়িক সুখ, স্বস্তি পেতে মিথ্যার আশ্রয় নেন না। তিনি গান ত্যাগ করেননি সে সময়। গানের জন্য গ্রাম ত্যাগ করে চলে এসেছিলেন। মিথ্যার আশ্রয় নেননি। গানকে ভালোবেসে আঁকড়ে ধরেছিলেন। তাঁর গানের মতোই তাঁর জীবন বয়ে চলে।  জীবনে কোনো দিন ধন-সম্পদের লোভ করেননি তিনি। চলেছেন নিজের মতো করে গানকে ভালোবেসে। 

 

সরলার প্রেমে মন মজাইয়া

গ্রামে গঞ্জে আবদুল করিম থাকতেন গানের বায়না নিয়ে এতে সরলা কখনো অভিমান করে থাকেননি কারণে সরলার কথা মনে উঠলেই শেষ বয়সে কেঁদে কেটে বিষণ্ন হয়ে যেতেন আবদুল করিম...

প্রথম বিয়েটা টিকেনি ঠিকই বাউল শাহ আবদুল করিমের। কারণ তিনি গান ছাড়তে চাননি। তাই তাঁর জীবনে এমন একজন রমণীর প্রয়োজন ছিল যে বাউলের গানকে বাউলের মতো করেই ভালোবাসবেন। এমন একজন পেলেনও তিনি। নাম আফতাবুন্নেসা। বাউল শাহ আবদুল করিম দ্বিতীয় বিয়ে করেন এই নারীকে। অনেকে বলেন, যে নারী তাঁর জীবনের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন শুধু সহচর হয়ে থাকার জন্য। মানুষটিকে আবদুল করিম ডাকতেন সরলা বলে। সরলা কখনো আবদুল করিমের কাছে কিছু চাননি। বরং আবদুল করিমের গান নিয়ে অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছেন জনমভর। দিনের পর দিন আবদুল করিম থাকতেন বাইরে বাইরে। নানা জায়গায় গানের বায়না নিয়ে ঘুরতেন শাহ আবদুল করিম। সময় দিতে পারেননি সংসারে। এ কথা মনে করে বাউল শাহ আবদুল করিম আক্ষেপ করতেন। কারণ গান নিয়ে সরলা কখনো অভিমান করে থাকেননি। এ কারণে সরলার কথা মনে উঠলেই শেষ বয়সে কেঁদে কেটে বিষণ্ন হয়ে যেতেন আবদুল করিম। অনেকে দাবি করেন, তিনি নিজের স্ত্রীকে মুরশিদ বলে মানতেন। নিজের স্ত্রীকে মুরশিদ বলে সম্মানিত করা সহজ কথা নয়। সরলার সঙ্গে আবদুল করিমের প্রেমের মাহাত্ম্য লিখে বোঝানো কার সাধ্য। কারণ একজন স্ত্রীর পক্ষে এমন বাউলিয়ানা স্বভাবের স্বামী মেনে নেওয়া সহজ কথা নয়।  কিন্তু সরলা তা পেরেছিলেন।

 

বড্ড সরল মানুষের সংবর্ধনা

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের হাতে তুলে দেওয়া হবে লাখ টাকার সম্মাননা চেক আবদুল করিম বার্ধক্যে উপনীত তখন তিনি বোধহয় কানে ভুল শুনলেন তাঁর বিশ্বাস হচ্ছিল না এত টাকা...

বাউল শাহ আবদুল করিমের পাশে যারা এসেছেন সবাই একবাক্যে স্বীকার করেন, মানুষটি বড্ড সরল ছিলেন। তাঁকে ঘিরে আলোচনা, উৎসাহ বা বিতর্ক কোনো কিছুতেই পাত্তা দিতেন না তিনি। তিনি থাকতেন নিজের মতো করে। তাই তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া নিয়েও তাঁর মাঝে কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়নি। একবার সুনামগঞ্জে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে মাইকে ঘোষণা করা হলো- বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের হাতে তুলে দেওয়া হবে ৩ লাখ টাকার সম্মাননা চেক। আবদুল করিমের তখন বার্ধক্য চলছে। তিনি বোধহয় কানে ভুল শুনলেন। তাঁর বিশ্বাস হচ্ছিল না। তিনি পাশে বসে থাকা তাঁর একমাত্র সন্তান জালালকে বললেন, ‘জালাল ইতা কিতা কয়! ৩ হাজার টাকা! এ তো অনেক টাকা! এত টাকা দিয়ে আমি কী করতাম! আবদুল করিমকে আস্তে করে জানানো হলো- ৩ হাজার নয়, টাকার অঙ্কটা ৩ লাখ! শাহ আবদুল করিম অস্থির হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। তিনি হতভম্ব। তিনি বললেন, ৩ লাখ? সর্বনাশ, অত টাকা! এগুলো নিয়্যা আমরা কিতা করমু? আমরার টাকার দরকার নাই, মানুষ যে ভালোবাসা দিছে, সেইটাই বড় প্রাপ্তি। চল চল বাড়ি চল। এই বলেই তিনি বেরিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা দিলেন।  এমন সহজ-সরল মানুষ হলেই বোধহয় লেখা যায়- ‘আমার মন মজাইয়ারে দিল মজাইয়া মুরশিদ নিজের দেশে যাও...’

 

বিখ্যাত যত গান

♦ মানুষ হয়ে তালাশ করলে মানুষ পায়

♦ সখী কুঞ্জ সাজাও গো

♦ আসি বলে গেল বন্ধু আইলো না

♦ তোমার ইচ্ছায় চলে গাড়ি দোষ কেন পড়ে আমার

♦ দমে দমে পড় জিকির লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্

♦ গান গাই আমার মনরে বুঝাই

♦ আমি কূলহারা কলঙ্কিনী

♦ আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম

♦ বসন্ত বাতাসে সইগো

♦ ওকি গাড়িয়াল ভাই

♦ আমি বাংলা মায়ের ছেলে

♦ কেমনে ভুলিবো আমি বাঁচি না তারে ছাড়া

♦ গান গাই আমার মনরে বুঝাই মন থাকে পাগলপারা

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’
‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন
জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা
শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’
জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ
ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি
৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু
২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির
ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ
ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার
ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড
দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু
এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত
৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ
গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মির্জাপুরে বন বিভাগের সাড়ে ৭ একর জমি দখলমুক্ত
মির্জাপুরে বন বিভাগের সাড়ে ৭ একর জমি দখলমুক্ত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু
মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প
ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!
নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল
ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ
আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার
তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান
ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আসলে কতোটা?
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আসলে কতোটা?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান
পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ইরানকে উপড়ে ফেলার ইসরায়েলি চেষ্টা ব্যর্থ’
‘ইরানকে উপড়ে ফেলার ইসরায়েলি চেষ্টা ব্যর্থ’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা
অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়
কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’

৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি
ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান
আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুন)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান
রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
থমথমে নির্বাচন কমিশন
থমথমে নির্বাচন কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই জুলাই শুরু আজ
সেই জুলাই শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ

শিল্প বাণিজ্য

কেমন আছে সেন্ট মার্টিন
কেমন আছে সেন্ট মার্টিন

পেছনের পৃষ্ঠা

সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন
সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন
ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা
বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা
শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে
ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ
রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ

নগর জীবন

পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়
পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ
এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ

মাঠে ময়দানে

সংকট জুলাই সনদ নিয়ে
সংকট জুলাই সনদ নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি
বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি

নগর জীবন

তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের
বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে
এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে

নগর জীবন

মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই
মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই

নগর জীবন

ইরানের শোকবইয়ে স্বাক্ষর জামায়াতের
ইরানের শোকবইয়ে স্বাক্ষর জামায়াতের

পেছনের পৃষ্ঠা

আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী
আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল
পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল

নগর জীবন

অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা থাকবে
অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা থাকবে

নগর জীবন

জাগপার জুলাইব্যাপী গণসংযোগ
জাগপার জুলাইব্যাপী গণসংযোগ

নগর জীবন

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

নগর জীবন

সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পেরেছে
সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পেরেছে

নগর জীবন

পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ
পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ

পেছনের পৃষ্ঠা