রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

আড্ডায় মুখরিত যত চত্বর

আড্ডায় মুখরিত যত চত্বর

ফটোকপির দোকান থেকে শুরু করে বই, খাতা, কলম, সাজ-সরঞ্জাম ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত টুকিটাকি সব ধরনের জিনিস এখানে পাওয়া যায়। তাই এই চত্বরকে বলা হয় টুকিটাকি চত্বর। ক্যাম্পাসের আরেক বহুল আলোচিত জায়গা পশ্চিম পাড়া। ছাত্রীদের পাঁচটি হলের মধ্যবর্তী এই জায়গাটি বিকাল হতে না হতেই পরিণত হয় তারুণ্যের মেলায়। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামে, তবু শেষ হয় না আড্ডা...

 

সারি সারি তাল গাছ। তারই পাশে শান বাঁধানো বিশাল পুকুরঘাট। স্বচ্ছ পানিতে গাছের ছায়ায় দিনভর লুকোচুরি খেলে পানকৌড়ি। এক কোণে শামীম মামার চায়ের দোকান। সেখানে সকাল থেকেই জ্বলতে থাকে মাটির চুলা, শোনা যায় চায়ের কাপের টুং-টাং শব্দ। এসব দেখতে দেখতেই আড্ডামুখর হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। ব্যস্ত হয়ে পড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অতি পরিচিত 'ইবলিস চত্বর'। শুধু ইবলিস চত্বরই নয় ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এমন আরও অনেক চত্বর। প্রতিটি চত্বরেই রয়েছে মজার মজার নাম ও ঐতিহাসিকতা।

ক্যাম্পাসের সবচেয়ে ব্যস্ততম চত্বর 'টুকিটাকি চত্বর'। এখানে রয়েছে সারি সারি চা-নাস্তার দোকান, রাজনৈতিক দলের টেন্ট। এখানে গল্পে মেতে কেউ গরম চায়ে গাল পোড়ান, আবার কেউবা গিটারে সুর তোলেন। ফটোকপির দোকান থেকে শুরু করে বই, খাতা, কলম, সাজ-সরঞ্জাম ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত টুকিটাকি সব ধরনের জিনিস এখানে পাওয়া যায়। তাই এই চত্বরকে বলা হয় টুকিটাকি চত্বর। ক্যাম্পাসের আরেক বহুল আলোচিত জায়গা পশ্চিম পাড়া। ছাত্রীদের পাঁচটি হলের মধ্যবর্তী এই জায়গাটি বিকাল হতে না হতেই পরিণত হয় তারুণ্যের মেলায়। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামে, তবু শেষ হয় না আড্ডা।

তবে ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্রের সংখ্যাই বেশি। এ নিয়েও রয়েছে অনেক হাস্য-রসাত্দক গল্প। এসব চত্বর ছাড়াও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মিডিয়া চত্বর, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অ্যানথ্রো পয়েন্ট, লালন চর্চা কেন্দ্র, আমতলা চত্বর, লাইব্রেরি চত্বর, বৌবাজারসহ আরও অনেক চত্বর রয়েছে, যা রাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মনে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে। এসব চত্বরে গল্প গান আর আড্ডার সঙ্গে সঙ্গেই ছেলে-মেয়েরা নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে। এই তরুণ প্রজন্মই জাতির স্বপ্ন হয়ে ওঠে। তারপর এরাই একদিন জাতীর হাল ধরে, দেশকে নিয়ে যায় বহু দূর- এমনটিই মনে করেন রাবির সাবেক শিক্ষক ও কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক।

 

সর্বশেষ খবর