বগুড়ার শাজাহানপুরে ফুল চাষ করে ভাগ্য বদলেছে জান্নাতুল ফেরদৌস জনি নামে এক যুবকের। স্নাতক সম্পন্ন করা জনি ফুল চাষের মাধ্যমে স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন। তার বাগানের ফুল বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা মেটাচ্ছে। ফুল চাষ নিয়ে একটি ট্রেনিং সেন্টার খোলার আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন এই যুবক। ২০১২ সাল থেকে উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের ভান্ডারপাইকা গ্রামে ফুল চাষ করে আসছেন জনি। প্রায় ১১ বিঘা জমি নিয়ে চাষি ফ্লাওয়ার ফার্ম নামে একটি বাগান তৈরি করেন তিনি। সেখানে দেশি এবং থাই গোলাপ, রজনীগন্ধা, জারবেরা ও গাদা ফুল চাষ করেন। বর্তমানে তিনি ফুলের পাশাপাশি তিন বিঘা জমিতে ব্লাক ম্যাজিক ও গ্রিন লং জাতের আঙুর এবং জিএম-২, থাই ও ইতালিয়ান জাতের বেদানা চাষ করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি ডুমুর ও কমলার চাষও শুরু করেছেন। ফুল চাষি জনি জানান, প্রতি মাসে তার এক থেকে দেড় লাখ টাকার ফুল বিক্রি হয়। খরচ হয় প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তিনি ফুল চাষ নিয়ে ট্রেনিং সেন্টার খুলতে চান; যেখান থেকে যারা ফুল চাষে আগ্রহী তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে উৎপাদন বাড়াবেন। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান ফরিদ জানান, বগুড়া জেলায় ফুল চাষে সম্ভাবনা রয়েছে। এতে কৃষকদের বাড়তি উপার্জনের পথ খোলার পাশাপাশি অর্থনীতিও শক্তিশালী হবে।