করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের দেয়া হচ্ছে টিকা। কিন্তু চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কেন্দ্র সমুহে স্বাস্থ্যবিধি প্রায়ই উপেক্ষিত। নেই সামাজিক দূরত্ব। অনেকের মুখেও নেই মাস্ক। দাঁড়ানো হয়েছে গাদাগাদি করে। কেবল শিক্ষার্থী নয়, অভিভাবকদেরও স্বাস্থ্যবিধি না মানতে দেখা যায়। অধিকাংশের মুখে নেই মাস্ক।
তাই টিকা প্রদান কেন্দ্র সমুহের এমন পরিবেশ-পরিস্থিতে কেন্দ্র থেকেই সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, চট্টগ্রামে গত রবিবার থেকে শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই সময়ে চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় দেড় লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা দেওয়া না থাকলে তাদের ক্লাসে আসতে দেওয়া হবে না। নগরের তিনটি কমিউনিটি সেন্টারে টিকাদান চলছে। এগুলো হলো জামাল খানের রিমা কমিউনিটি সেন্টার, আগ্রাবাদ এক্সসেস রোডের আবদুল্লাহ কমিউনিটি সেন্টার এবং আন্দরকিল্লা সিরাজদৌলা রোডের সেভেন-ইলেভেন কমিউনিটি সেন্টার। বিশেষ এই ক্যাম্পেইনে ৫০টিরও বেশি টিম কাজ করছেন। যুক্ত আছেন নার্স থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীর ১৫০ জনের অধিক টিম।
চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদুল হোসাইনী বলেন, টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে ভিড়ের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে স্থানের তুলনায় শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় ভিড়টা বাড়ছে। চেষ্টা চলছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা প্রদান শেষ করতে। প্রয়োজনে প্রতিদিন যে পরিমাণ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আছে, আগামীতে তার অর্ধেক করে কার্যক্রম চালানো হবে।
প্রসঙ্গত, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এক নির্দেশনায় ১৫ জানুয়ারির মধ্যে করোনা প্রতিরোধে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ১২-১৮ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীর টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে বলেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন