ঈদুল আযহার ১০ দিন হয়ে গেল। রংপুর এক্সপ্রেসহ লালমনিরহাট ডিভিশনের রেলওয়ের ১৪ আন্তঃনগর ট্রেন ছাড়ছে নির্দিষ্ট সময়ের পরে। প্রতিটি ট্রেন আধা ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে চলাচল করছে। যাত্রীদের অভিযোগ যারা ডিজিটাল সিস্টেম জানে না তারা ট্রেন কখন অসবে কখন ছাড়বে এ তথ্যও সঠিকভাবে জানতে পারছেন না। ফলে স্টেশনে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকছেন।
রেলের লালমনিরহাট ডিভিশন সূত্রে জানা গেছে, এই ডিভিশন থেকে ১৪টি আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকায় যাতায়াত করে। ট্রেনগুলো হচ্ছে রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, একতা, দ্রুতযান, দোলনচাপা, করতোয়া এক্সপ্রেস ও বাংলাবন্ধা এক্সপ্রেস, চিলাহাটি এক্সপ্রেস। প্রতিদিন এসব ট্রেনে ৭ থেকে ৮ হাজার যাত্রী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। ঈদের পর থেকে প্রতিটি ট্রেনই নির্দিষ্ট সময়ে দেরিতে গন্তেব্যের পথে যাতায়াত করছে।
রংপুর থেকে রংপুর এক্সপ্রেস রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ছাড়ার কথা থাকলে ট্রেনটি এক ঘণ্টার বেশি সময় পরে ছেড়েছে।
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস সকালে ছেড়েছে ১ ঘণ্টা দেরিতে। লালমনি এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা লেটে ছেড়েছে। একইভাবে অন্যান্য ট্রেনগুলো নির্দিষ্ট সময়ের কিছু দেরিতে ছাড়ছে। এসব ট্রেন ঢাকা থেকে দেরিতে ছাড়ায় এই ধীরগতি বলে মনে করছেন রেল সংশ্লিষ্টরা। ফলে অনেকই নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে যেতে পারছে না। ট্রেনের ধীরগতির কারণে অনেকেই জরুরি কাজও করতে পারছে না।
যাত্রীদের অভিযোগ, যাত্রীরা রেল স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। ট্রেন কখন আসবে কখন যাবে এর কোন সঠিক নির্দেশনা নেই স্টেশনগুলোতে। ট্রেনের বিষয়ে সঠিক কোন তথ্য পাচ্ছেন না বলে অনেক ভুক্তভোগী যাত্রী অভিযোগ করেছেন।
রংপুর রেল স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত সুপার শঙ্কর গাঙ্গুলি বলেন সিডিউল বিপর্যয়ের শঙ্কা নেই। রংপুর এক্সপ্রেসসহ অন্যান্য ট্রেন কিছুটা দেরিতে ছাড়ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল