চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের দুই কর্মচারীকে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার সরকারি ওষুধসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব ওষুধ রোগীদের বিনামূল্যে দেওয়ার কথা। এ ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-হাসাপাতালের স্থায়ী কর্মচারী আশু চক্রবর্ত্তী (৩৫) এবং আউট সোর্সিং কর্মচারি মো. সৈয়দ (৬২)।
মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ সব তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) মোখলেসুর রহমান। এ সময় পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল কবির। এর আগে গত সোমবার হাসপাতালের পূর্ব গেইট থেকে তাদের ওষুধসহ গ্রেফতার করা হয়।
সিএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) মোখলেসুর রহমান বলেন, চমেক হাসপাতালের দুই কর্মচারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা ওষুধ হাসপাতালের দুই কর্মচারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা। তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। সেগুলোর বাজার দর এক লাখ ১০ হাজার টাকার মত। দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আশুর বাসা থেকে আরও দুই লাখ ৪০ হাজার টাকার ওষুধ উদ্ধার করা হয়।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল কবির বলেন, হাসাপাতাল থেকে বিভিন্ন সময়ে ওষুধ পাচারের অভিযোগ আছে। এসব ওষুধ হাসপাতালের আশপাশে বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করা হয়। এ চক্রের সাথে আরও অনেকেই জড়িত থাকতে পারে। সেগুলো তদন্ত করে বের করা হবে। তাছাড়া এ ঘটনায় হাসপাতালের স্টোর অফিসার ডা. মো. হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। গ্রেফতার দুজনকে সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, হাসপাতালের ওষুধ চুরির ঘটনায় সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মতিউর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তাদের সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে দুই-এক জন নয়, আরও অনেকেই জড়িত থাকতে পারে। ইতোমধ্যে নার্সদের নিয়ে বৈঠক করেছি। চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কথা বলব। যাতে করে পুরোপুরিভাবে ওষুধ পাচার বন্ধ করা যায়।
বিডি প্রতিদিন/এএম