চট্টগ্রামে ক্রমান্বয়ে কমছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার। একই সঙ্গে কমছে মৃত্যু। গত তিনদিনে চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোনো ঘটনা ছিল না। তবে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ১১ দিনে চট্টগ্রামে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার ছিল ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে গত ১ ফেব্রুয়ারি ৩ জন, ২ ফেব্রুয়ারি একজন ও ৮ ফেব্রুয়ারি একজন মারা যান। ফেব্রুয়ারি মাসে আর কোনো মৃত্যু ছিল না। তাছাড়া, চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে কমছে সংক্রমণ। শুক্রবার নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণ হার ছিল ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সংক্রমণ হার ছিল ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ৯ ফেব্রুয়ারি সংক্রমণ হার ছিল ১১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ৮ ফেব্রুয়ারি সংক্রমণ হার ছিল ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ। এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামে সংক্রমণ হার ছিল প্রায় ৩৯ শতাংশ।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, এখন সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই কমছে। গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রামে কোনো মৃত্যু ছিল না। এটা সুখের খবর। তবে সবাইকে অবশ্যই সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এর খেসারত দিতে হবে।
এভার কেয়ার হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. সায়মা সাদিয়া বলেন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রণে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে সেটি মানুষের তীব্র আকারে অসুস্থ করে তুলছে না। তাছাড়া এরই মধ্যে মানুষের শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে মানুষ করোনা মোকাবিলা নিয়ে কিছুটা সাহসী, কিছুটা সতর্ক এবং কিছুটা সচেতন হয়েছে। ফলে পজেটিভ হলেও তা তীব্রতর হচ্ছে না। তবুও সবাইকে স্বাস্থবিধি মেনে চলা উচিত।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৮১৯ জন। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৯০ হাজার ৭৯৬ জন এবং উপজেলায় ৩৪ হাজার ২৩ জন। ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৩৬০ জন। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৭৩৪ জন এবং উপজেলায় ৬২৬ জন। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ ১২টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন