চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ের সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ আমির উদ্দিন বলেন, সিটি কর্পোরেশন আজ দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। একদিকে তারা সরকারি টাকা লুটপাট করছে, অন্যদিকে হোল্ডিং ট্যাক্সের আপিলের নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বাড়িভাড়ার উপর অন্যায্য গৃহকর প্রত্যাহার করা না হলে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর গণমিছিল থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করা হবে।
মঙ্গলবার বিকালে নগরের দেওয়ানহাট সুপারিওয়ালা পাড়ায় স্থানীয় অধিবাসিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি মো. নুরুল আবছার, সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস পপি, সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমী, সংগঠনের অর্থসচিব হাজী সৈয়দ হোসেন, মুজিবুল হক, শ্রমিক নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম, সংগঠক ইরফান উদ্দিন খালেদ, সাজ্জাদ হোসেন জাফর, মীর আক্তার হোসেন, সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাবুল, হাজী মুসলিম উদ্দিন, মীর মো. শাহ আলম, সৈয়দ মাহবুব হাসান জনি প্রমূখ। সভার শুরুতে সুরক্ষার প্রয়াত নেতা হাজী জহিরুল, আলহাজ্ব মোহাম্মদ উল্যাহ, কামাল আহমেদ সিদ্দিকী ও মীর মো. মুসার রূহের মাগফিরাত কামণা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন সৈয়দ আফসার উদ্দিন। হাসান ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা সঞ্চালনা করেন হাসান মুরাদ।
সংগঠনের সভাপতি মো. নুরুল আবছার বলেন, ৩৬ বছরেও কার্যকর করা যায়নি এমন আইনের দোহাই দিয়ে চট্টগ্রামবাসীর উপর অসহনীয় করের বোঝা চাপিয়ে আবার আপিল করতে বলা সম্পূর্ণ বেআইনি। বাড়িভাড়ার উপর কর নির্ধারণের ফলে পূর্বের চেয়েও গৃহকর বহুগুণ বেড়েছে। এ কর দেয়ার সামর্থ চট্টগ্রামবাসীর নেই। চট্টগ্রামবাসী আজ অস্তিত্বের সংকটে ভূগছে। বাধ্য হয়ে তারা রাজপথে নেমেছে। এভাবে করারোপে কর্পোরেশনের কোনো লাভ হয়নি, কেবল দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাতারাতি কোটিপতি বনে যান। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর কদমতলীর গণমিছিলে দলে দলে যোগ দিয়ে এ হয়রানির দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়ার জন্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।
সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস পপি বলেন, কর্পোরেশনকে জনগণের কর্পোরেশনে রূপান্তরিত করতে হবে। তা না হলে এমন উৎপাত চলতেই থাকবে। নগরের রাস্তাঘাট, পয়ঃনিস্কাশন, সড়ক বাতি বেহাল, বর্ষায় নগরের বেশিরভাগ পানিতে ডুবে থাকে। সেবা দিতে ব্যর্থ কর্পোরেশনের অন্যায্য গৃহকর কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে মোকাবেলা করা হবে।
হাসান মারুফ রুমী বলেন, চট্টগ্রাম আন্দোলন করে ২০১৭ সালে গৃহকর স্থগিত করতে বাধ্য করেছিল। সে কারণে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা সিটি কর্পোরেশনেও তা স্থগিত হয়ে গেলেও চট্টগ্রাম কেন আন্দোলন করলো, তার শাস্তি হিসেবে কেবল চট্টগ্রাম থেকেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো, অন্য জেলাগুলো থেকে নয়। আমরা মনে করি, এটি চট্টগ্রামের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ। এটি মেনে নেয়া যায় না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল