ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের আয়োজনে চট্টগ্রামের বৌদ্ধমন্দির সড়কস্থ ফুলকি স্কুলের এ কে খান স্মৃতি মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও আদর্শ অর্জনে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষাবিদ ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের মহাপরিচালক এবং বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ ইমাম আলী।
তিন পর্বে বিভক্ত এই সেমিনারে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইয়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তাসনিম ইমামের উপস্থাপনায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী ভালদোসতা স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক (অব.) ড. মিজানুর রহমান মিয়া, আমেরিকার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নর্থ আমেরিকার আহ্বায়ক আবু জাফর মাহমুদ, কানাডার কলামিস্ট উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান এবং কানাডার প্রবাস বাংলা ভয়েসের প্রধান সম্পাদক আহসান রাজীব বুলবুল।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক, সেন্টার ফর ল্যাঙ্গুয়েজ স্টাডিজ, ইউল্যাবের পরিচালক ড. ফাহিম হাসান শাহেদ, সরকারি সিটি কলেজ চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ ড. সুদীপ্তা দত্ত, শিক্ষকনেতা ও বিজয় স্বরণী কলেজ, চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সমাজ গবেষক ও লেখক খন্দকার শাখাওয়াত আলী, রাঙ্গুনিয়া হাসিনা জামাল ডিগ্রি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শীলা দাশগুপ্তা।
বক্তারা বলেন, শিক্ষা এখন শুধু পরীক্ষা ও পরীক্ষার ফলাফলভিত্তিক হয়ে গেছে। বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে না পারলে ও শিক্ষাকে শুধুমাত্র অর্থপ্রাপ্তির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হলে সেই শিক্ষা থেকে কোনো মানবিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারনকারী সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে পারবে না। তাই শিক্ষাকে সময় উপযোগী করে যৌক্তিকভাবে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করা সময়ের দাবি। তাই মুক্তিযদ্ধের আদর্শের ওপর ভিত্তি করে তৃণমূল পর্যায় থেকে অভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক ও সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থার প্রচলন করাটি জরুরি। এছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণে সরকার দৃঢ় পদক্ষেপ নেবেন বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
সংগঠনটির মহাপরিচালক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতত্ত্ব বিভাগের সাবেক সুপারনিউমারি প্রফেসর ড. ইমাম আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে পাঁচজন শিক্ষাবিদ তাদের প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। কবি-সাংবাদিক-শিক্ষাবিদ আবুল মোমেন ‘শিশুর বিকেল ও আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা’, যশোরের সরকারি মাইকেল মধুসূধন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. স ম রেজাউল করিম ‘গুণগত মানসম্মত শিক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন’, বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যাপক ও শিক্ষকনেতা কানাই দাশ ‘মুক্তিযুদ্ধের শিক্ষাদর্শন ও মাধ্যমিক শিক্ষার চালচিত্র’, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আবদুল আউয়াল বিশ্বাস ‘বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য গুণগত শিক্ষা’ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই