রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) কর্মীরা ১২ দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচি গতকালও পালন করা হয়। চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া বিক্ষোভকারীরা গতকাল দুপুরে রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক বরাবর দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন। বিক্ষোভে কর্মীরা আরএনবিতে চলমান অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। ১২ দফা দাবির মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে- স্থায়ীভাবে ভোলাগঞ্জ সার্কেল শিগগিরই প্রত্যাহার করা, আরএনবি আইন-২০১৬ অনুযায়ী কর্মচারী বাহিনী কি না, তা সুনিশ্চিত করা, বাহিনী হলে বাহিনীর সব সুযোগ-সুবিধাসহ অন্যান্য সবকিছু নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
নীতিমালা সংশোধন করে প্রতি বছর নিয়োগ কার্যক্রম অব্যাহত ও তিন বছর পর পর পদোন্নতি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা, বাহিনীর নীতিমালা অনুযায়ী নিজস্ব তত্ত্বাবধানে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তি, রেলওয়ে মহাপরিচালক, মহাব্যবস্থাপক এবং সব সরকারি বাহিনী ও নিজস্ব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কোনো সিভিল প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে কোনো আদেশ বা প্রটোকল ডিউটিতে নিয়োজিত না থাকা, হেডকোয়ার্টার ছাড়া বিশেষ ডিউটিতে বাহিনী নিজস্ব যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, রেলওয়ে সম্পত্তি (অবৈধ দখল উদ্ধার) আইন ২০১৬ মোতাবেক পূর্বের ন্যায় মামলা দায়েরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, প্রত্যেক সার্কেলের ব্যারাকগুলো সংস্কারসহ সব মৌলিক চাহিদা পূরণ করা, সদস্যদের ৮ কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হলে ভাতা প্রদান করা, অন্যান্য বাহিনীর মতো আরএনবির বেতনবৈষম্য দূর করা, রেলওয়ে সব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ, রেলওয়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় সুশৃঙ্খল বাহিনীতে রূপান্তর করা, সিজিপিওয়াই পাহাড়তলী কারখানা, পাহাড়তলী স্টোর, সিজিএমওয়াই ইত্যাদি কেপিআইভুক্ত এলাকাসমূহের ক্যারেজ ফিটিংয়ের কোনো মালামালের চার্জ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী বুঝে নেবে না, আরএনবি সদস্যদের কর্মবিরতি ও দাবি আদায় প্রসঙ্গ নিয়ে কোনো প্রকার বিভাগীয় বদলি ও হয়রানি করা যাবে না।