বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদের বীরোচিত আত্মত্যাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পায় ভিন্ন মাত্রা। আর সেই আত্মত্যাগের জন্য আবু সাঈদ হয়ে ওঠেন গণ অভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক। আবু সাঈদের জীবনের সেরা সময়কে ছবির অবয়বে ধরে রেখেছেন ফটো সাংবাদিক আদর রহমান। ওই সময় আবু সাঈদের তোলা ছবি নিয়ে প্রদর্শনী হলো রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এর আগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এসব ছবির প্রদর্শনী করা হয়। বসুন্ধরা শুভসংঘ গঙ্গাচড়া উপজেলা শাখা আয়োজিত এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর শেষ দিনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়। এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় করেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। দুই দিনের এই আয়োজনে কয়েক হাজার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও শিক্ষার্থী প্রদর্শনী দেখতে আসেন। বুধবার বিকাল ৫টা থেকে শুরু হয়ে প্রদর্শনী চলে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন আবু সাঈদের ছোট বোন সুমি খাতুন। শিক্ষার্থী থেকে রিকশাচালক, শিশু-কিশোর থেকে বিভিন্ন পেশাজীবীরাও আগ্রহের সঙ্গে প্রদর্শনীতে আসেন।
প্রদর্শনী দেখতে আসা গঙ্গাচড়া পাকুরিয়া শরীফ কলেজের ছাত্রী মোছা. আনিকা আক্তার বলেন, হাসিনা সরকার মানুষের প্রতি যে নির্যাতন করেছে আয়নাঘরের মাধ্যমে, এরূপ চিত্র যেন আমাদের আর দেখতে না হয়। আমরা একটা সুন্দর দেশ চাই। ফটো সাংবাদিক আদর রহমান বলেন, আমি ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে ৩০০ ছবি তুলেছি। এর মধ্যে বাছাই করা ৫০টি ছবি প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু আবু সাইদের বুক চিতিয়ে থাকার সময় তার বুকে গুলি চালানোর ভাইরাল ছবিটি দেখেছি। কিন্তু আবু সাঈদকে গুলি করার আগে পুলিশ তাকে বেধড়ক লাঠিপেটা করেছিল, সে ছবিগুলো কেউ দেখেনি। মূলত আবু সাঈদকে গুলি করার আগে ও পরের ছবি প্রদর্শন করা হয়েছে।