শরীরে ৪০০ স্পিন্টার নিয়ে যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারেন না বরিশালের আগৈলঝাড়ার তরুণ মো. হাসান সরদার (২১)। বিদেশে ছাড়া এ দেশে তার আর চিকিৎসা সম্ভব নয়। শরীরে স্পিন্টার আর ক্ষতের যন্ত্রণা নিয়ে রয়েছেন তিনি। আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের পতিহার গ্রামের মৃত মানিক সরদারের ছেলে হাসান ঢাকার বাড্ডা থানার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই প্রথমে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। সুস্থা হয়ে ৫ আগস্ট ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে পুলিশের ছররা গুলি বিদ্ধ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
হাসান বলেন, ‘স্থাানীয়রা প্রথমে আমাকে আফতাবনগর নাগরিক হাসপাতালে নেয়। তখন আমার জ্ঞান ছিল না। সবাই মনে করেছিল মারা গেছি। তাই নাগরিক হাসপাতালের ফ্লোরে ফেলে রাখা হয়। এরপর মুগদা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন জ্ঞান ফিরলে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই রাতে অপারেশনের জন্য ওটিতে নিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। ৭ আগস্ট সকালে কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। কুর্মিটোলা হাসপাতাল ভর্তি না করে আবার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে কয়েক দিন পরে আমাকে সাভার সিআরপিতে পাঠায় থেরাপি দেওয়ার জন্য। সেখানে থেরাপি শেষে আবার পঙ্গু হাসপাতালে চলে আসি। পঙ্গু হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর একটু সুস্থা হয়ে উঠি। এরপর চিকিৎসকরা বলেছেন আমার শরীরে যে গুলি রয়েছে তা বাংলাদেশে অপারেশন করে বের করা সম্ভব হবে না। আমার হাতে ও শরীরে প্রায় ৪০০ গুলি রয়েছে। এখন আমার বিদেশি চিকিৎসা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। আমি ধারদেনা করে চিকিৎসা করিয়েছি। বাড়িতে আসার পর কেউ কোনো খবর নেয় নাই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বণিক বলেন, ‘হাসান সরদারকে সরকার উন্নত চিকিৎসার জন্য চলতি মাসে সিঙ্গাপুর পাঠাবে।’